৮৯ লাখ টাকা নিয়ে সৌদি থেকে উধাও বাংলাদেশি
সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের সবচেয়ে বড় সবজি বাজার ‘আজিজিয়া মার্কেট’। এটি স্থানীয় পাইকারি বাজার হিসেবে পরিচিত। কাঁচামাল ছাড়াও সব ধরনের দোকান রয়েছে এখানে। এখানে ৬০ শতাংশই বাংলাদেশি ব্যবসায়ী। এসব ব্যবসায়ীর কাছ থেকে কৌশলে ৪ লাখ সৌদি রিয়াল (৮৯ লাখ টাকা) নিয়ে পালিয়েছেন এক বাংলাদেশি।
নাম রফিক মিয়া। বাড়ি ফতেয়াবাদ, চৌধুরীহাট শাহাজান কমিশনারের বাড়ি। পাসপোর্টে তার বাবার নাম ছালেহ আহাম্মদ।
ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন, আজিজিয়া সবজি বাজার থেকে নগদ ও বাকিতে মাল নিয়ে সৌদি আরব থেকে বাহরাইন পাঠাতেন তিনি। এভাবেই আজিজিয়ার সবজি ব্যবসায়ীদের কাছে তার মোটা অংকের বকেয়া।
দিব দিচ্ছি বলে বকেয়া পরিশোধ না করেই একসময় সে পালিয়ে যায় রিয়াদ থেকে। কিছুদিন ধরে তাকে সবজি মার্কেটে না দেখে খবর নিয়ে ব্যবসায়ীরা জানতে পারেন, রফিক মিয়া দেশে পালিয়ে গেছেন।
এ প্রতিবেদককে পলাতক রফিকের স্ত্রী জানান, ‘রফিক মিয়ার সঙ্গে তাদের কোনো যোগাযোগ নেই। তবে সৌদি থেকে যাওয়ার পর শুনেছেন সে ব্যবসায় মার খেয়েছেন। তার (স্ত্রী) কাছ থেকেও টাকা নিয়ে পালিয়েছেন তিনি। স্ত্রী ব্যবসায়ীদের কাছে আরো সময় চেয়েছেন। যেহেতু ব্যবসায় লস হয়েছে সেহেতু দেনা পরিশোধে আরও সময় দিতে হবে বলে জানান রফিকে স্ত্রী।’
তার কাছে কত টাকা পাওনা তার একটা লিস্ট তৈরি করা হয়েছে। পাওনাদাররা হলেন- জামাল হোসেন ১ লাখ ৯৫ হাজার, মিজান ২৫ হাজার, আবুল কালাম ৭০ হাজার, কামাল ৪০ হাজার, জাকির, ছালেহ ৫ হাজার। এভাবে প্রায় ৪ লাখ সৌদি রিয়াল নিয়ে বর্তমানে তিনি পলাতক বলে অভিযোগ করেন ব্যবসায়ীরা।
তাকে কেন বাকিতে মাল দেয়া হয়েছে জানতে চাইলে ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘রফিক বাংলাদেশি ভাই, সেক্ষেত্রে তাকে বিশ্বাস করাই যায়। এছাড়া ব্যবসা-বাণিজ্যে বাকি লেনদেন থাকাটা স্বাভাবিক। সে আমাদের এত বড় সর্বনাশ করবে সেটা বুঝতেই পারিনি। তার কাছে টাকা চাইলে বিভিন্ন অজুহাতে দেখাত। আমরা বিপদে আছি। কি যে করব বুঝতে পারছি না।
এদিকে সৌদি মালিকরাও নানাভাবে আমাদের চাপ দিচ্ছে। জানি না শেষ পর্যন্ত কপালে কি আছে।’
ব্যবসায়ীরা বলেন, এ টাকার জন্য তারা তাদের কফিলের (মালিক) কাছে জিম্মি। কফিলের কাছ থেকে বিশ্বাস হারাচ্ছেন। এ অবস্থায় তারা নানা সমস্যার মধ্যে দিন যাপন করছেন।
এর আগে রাজধানী রিয়াদের সবজি মার্কেট আজিজিয়া সবজি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ১৩ লাখ সৌদি রিয়াল নিয়ে পালিয়ে যান এক বাংলাদেশি। জাগো নিউজে সংবাদ প্রকাশের পর আজিজিয়া সবজি বাজার থেকে আরো কয়েকজন ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন আরেক বাংলাদেশির বিরুদ্ধে।
এমআরএম/পিআর