কুয়ালালামপুরে দুই দিনব্যাপী ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক সোমবার শুরু
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশেরর শ্রমবাজারের অচলাবস্থা কাটাতে আগামীকাল (২৪ সেপ্টেম্বর) কুয়ালালামপুরে শুরু হচ্ছে যৌথ ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক।
বৈঠকে অংশ নিতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রীর নেতৃত্বে ৯ সদস্যের প্রতিনিধিদল ঢাকা থেকে রোববার সন্ধ্যায় কুয়ালালামপুর যাচ্ছেন। তারা সেখানে চারদিন অবস্থান করবেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রতিনিধিদলে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. সেলিম রেজা, অতিরিক্ত সচিব ড. মনিরুস সালেহিন (কর্মসংস্থান), মন্ত্রীর একান্ত সচিব, উপসচিব মোহাম্মদ সাহিন (কর্মসংস্থান), পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডিজি ও একজন উপসচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একজন প্রতিনিধি, আইন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন উপসচিব রয়েছেন।
অপরদিকে মালয়েশিয়ার ওয়ার্কিং কমিটিতে তানশ্রি আচিহের নেতৃত্বে থাকবেন সাবেক বিচারপতি, ডেপুটি ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা, আইনজীবি ও ডিআইজিসহ ৭ সদস্যর প্রতিনিধি দল।
এমওইউ মোতাবেক দুই দেশের যৌথ ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যরা মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারের সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে ২৪ ও ২৫ সেপ্টেম্বর বৈঠক করবেন।
এদিকে যৌথ ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সব যোগ্য রিক্রুটিং এজেন্সিকে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর সুযোগ করে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
অপরদিকে মালয়েশিয়ার শ্রম বাজার নতুন করে আবারও দখলে নিতে সিন্ডিকেটের পায়তাঁরা চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সাফ জানিয়ে দিয়েছে, নতুন করে শ্রমবাজারে কোনো ধরনের সিন্ডিকেশন হবে না। সব এজেন্সিই কাজ করতে পারে, এমন প্রপোজাল ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে আলোচনা হবে। ৫৬ এজেন্সির যে কথা উঠেছে সেটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ।
না গেছে, গত ১ সেপ্টেম্বরের পর থেকেই নতুন করে ২৫ থেকে ৩০টি রিক্রুটিং এজেন্সি দিয়ে আবারও মালয়েশিয়ার শ্রম বাজার দখলে নিতে পায়তাঁরা করছে একটি সিন্ডিকেট। অভিযোগ আছে, মালয়েশিয়ার নতুন সরকারের ঘনিষ্টজন পরিচয় দেয়া দাতো ড. রইস হুসিন এরই মধ্যে বৈঠক করে গেছেন একাধিক মন্ত্রণালয় ও দেশের প্রভাবশালী এজেন্সি মালিকদের সঙ্গে।
শ্রম রফতানির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নেতারা বলছেন, কোন সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হতে চান না তারা। ১৪ আগস্ট মালয়েশিয়ার প্রধামন্ত্রী ড. মাহথির মোহাম্মদের ঘোষণা অনুসারে সব এজেন্সির জন্য বাজার উন্মুক্ত করা, কর্মীদের অভিবাসন ব্যয়, বেতন এবং কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার বিষয়টি দু’দেশের বৈঠকে অগ্রাধিকার দেয়ার দাবি জানান তারা।
এ দিকে জিটুজি প্লাস পদ্ধতিতে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর অনলাইন সিস্টেম এসপিপিএ ১ সেপ্টেম্বর বন্ধ হয়ে যায়। কথা ছিল পাইপলাইনে থাকা কর্মীদের সব কাজ চলবে। কিন্তু এখন চিত্র সম্পূর্ণ উল্টো। কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে দেয়া হচ্ছে না ভিসার সত্যায়ন। বন্ধ আছে ঢাকায় মালয়েশিয়ান হাইকমিশনের ভিসা স্ট্যাম্পিংও।
এছাড়া এসপিপিএ সিস্টেম বন্ধ হওয়ার পর যেসব শ্রমিক মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি তাদের বিষয়টিও জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে আলোচনায় উঠবে বলে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন সূত্রে জানা গেছে।
এমএমজেড/এমএস