জার্মানিদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিরা
ভিনদেশে বাঙালিদের শক্ত অবস্থান জানতে হলে প্রথমেই আসবে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও মধ্যপ্রাচ্য প্রসঙ্গ। এসব দেশে বেশ ভালোভাবেই শিকড় গেড়ে বসেছে প্রবাসী বাংলাদেশিরা। শুধু এখানেই থেমে নেই। বাঙালিরা প্রতিনিয়ত পাড়ি জমাচ্ছে ইউরোপ আমেরিকার বিভিন্ন দেশে।
এর মধ্যে ইউরোপই বেশি। প্রবাসে দৃঢ় অবস্থানের ধারাবাহিকতায় এবার বাঙালিরা শক্ত ভিত করছে ইউরোপের দেশ জার্মানে।
জার্মানিতে গত এক দশকে একেক করে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছেন অনেক বাঙালি। দেশটির সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ক্রমান্বয়ে উত্থান ঘটছে তাদের। বিভিন্নভাবে সেখানে বসবাসরত প্রবাসীরা জড়িয়ে পড়েছেন দেশটির মেইনস্ট্রিম পলিটিক্সে।
সম্প্রতি সেলিম রহমান নামের এক বাঙালি জার্মানির প্রধান বিরোধী দল এসপিডি (Social Democratic Party of Germany) এর সোলিংগেন শহরের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি জার্মানির সোলিংগেন শহরে বসবাসরত এক বাংলাদেশি জার্মান নাগরিক।
এর আগেও জার্মানির পার্লামেন্ট ইলেকশনের সময় আরেক বাঙালি সাহাবুদ্দিন মিয়া গ্রিন পার্টি থেকে এমপি নির্বাচন করেছিলেন।এভাবে সে’দেশের সাদা মানুষের সঙ্গে তাল মেলাচ্ছেন বাংলাদেশি প্রবাসীরা।
বাঙালিদের মতে, সমাজতান্ত্রিক মতাদর্শকে ধারণ করে সেলিস সেখানকার গণতান্ত্রিক মুক্তির আন্দোলনে নিজেকে সম্পৃক্ত করেছেন। ইচ্ছে আর কঠোর পরিশ্রম করে কিনা করতে পারে মানুষ? তেমনই প্রমাণ রেখেছেন তিনি। এক কালো চামড়ার বাঙালি আজ চেয়ারে বসছে জার্মান সাদাদের সঙ্গে। সেখানকার মানুষের ধারণা মূলত সেলিমের মাধ্যমে আগামী দিন জার্মানে বাঙালির ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে। বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করবেন তিনি।
সেখানকার বসবাসরত বাঙালিদের মতে, সেলিম ও শাহাবুদ্দিনরা জার্মানির প্রথম বাঙালি জেনারেশন আর এখন পর্যন্ত যারা সেখানে পাড়ি দিচ্ছেন সেকেন্ড জেনারেশন।
জার্মানিতে বেশ আগে থেকে আওয়ামী লীগ, বিএনপি সংগঠন ছিলো। এছাড়া দেশটিতে বেশ কয়েকটি বাংলাদেশি কমিউনিটি রয়েছে। যারা বাংলাদেশিদের কল্যাণে প্রতিনিয়ত কাজ করে আসছে।
মেহেদি হাসান মুন্না, জার্মান থেকে
এমআরএম/পিআর