মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের বৈশাখ উদযাপন
প্রতিবারের মতো এবারও পহেলা বৈশাখ উদযাপন করেছে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস। ৩০ এপ্রিল স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় দূতাবাসের আয়োজনে হোটেল রেনিসনের হল রুমে জাঁকজমক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বর্ষবরণ পালন করা হয়।
সবখানেই যেন নতুন সুর। উৎসবের এ রঙ ছড়িয়ে বাংলা নববর্ষ ১৪২৫ সালকে বরণ করে নিলো প্রবাসীরা। দূতাবাসের আয়োজনে অংশ নিতে সেখানে সমবেত হন মালয়েশিয়াস্থ, ভারত, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, নেপাল, ভেনিজুয়েলা, কিউবা, আফগানিস্তান, রাশিয়াসহ ২০টি দেশের রাষ্ট্রদূত এবং মালয়েশিয়া সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা। কমিউনিটি ও দূতাবাসের সব শ্রেণির কর্মকর্তাদের পরনে ছিল রঙিন পোশাক।
মিনিস্টার (পলিটিক্যাল) মো. রইছ হাসান সারোয়ারের প্রাণবন্ত উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাষ্ট্রদূত মুহা. শহীদুল ইসলাম। তিনি বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং উন্নয়নের মহাসড়ক বেগবান করছেন তার কন্যা শেখ হাসিনা। এ উন্নয়নে প্রবাসীদের অবদান অনেক। দেশের সুনাম বৃদ্ধির জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
হাইকমিশনার মুহা. শহীদুল ইসলাম বলেন, সময় ও নদীর স্রোত কারও জন্য অপেক্ষা করে না। একবার চলে গেলে তা আর ফিরে আসে না। আপন গতিতে বয়ে চলে যাওয়াই সময়ের ধর্ম। তবুও মানব জীবনের প্রতিদিনকার বেশ কিছু বাস্তবতা কিংবা ঘটনা স্থান করে নেয় ইতিহাসের পাতায়। ইতিহাস মানবজীবনে সব সময় গুরুত্ব বহন করে। পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে আগত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান তিনি।
এ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য ফখরুল ইসলাম এমপি, দূতাবাসের ডিফেন্স উইং প্রধান এয়ার কমডোর মো. হুমায়ূন কবির, দূতালয় প্রধান ওয়াহিদা আহমেদ, ফার্স্ট সেক্রেটারি মাসুদ হোসাইন কমার্শিয়াল উইং মো. রাজিবুল আহসান, শ্রম শাখার প্রথম সচিব মো. হেদায়েতুল ইসলাম, পাসপোর্ট/ভিসা শাখার ফার্স্ট সেক্রেটারি মো. মশিউর রহমান তালুকদার, হাইকমিশনের শ্রম শাখার ২য় সচিব মো. ফরিদ আহমদ, কমিউনিটি নেতা কামরুজ্জামান কামাল, মনিরুজ্জামান মনি।
এছাড়া মালয়েশিয়া বাংলাদেশ ফোরাম অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. ফারুকুল এসলাম শোভা, সহ-সভাপতি শংকর চন্দ্র পুদ্দার, নাজমুল ইসলাম বাবুল, শাহ আলম হাওলাদার, মাসুদ রানাসহ বিপুল সংখ্যক প্রবাসী।
শ্রম কাউন্সিলর মো. সায়েদুল ইসলামের পরিকল্পনায় অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বড়দের পাশাপাশি শিশুশিল্পীরা নাচে-গানে মাতিয়ে তোলেন অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার প্রদান করেন রাষ্ট্রদূত মুহা. শহীদুল ইসলাম।
এমআরএম/এমএস