বেলজিয়ামে বাংলা নববর্ষকে বরণ
বাংলাদেশের কৃষ্টি-সংস্কৃতিকে বিশ্ব দরবারে এবং নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সংগঠন বেলজিয়াম-বাংলাদেশ উইমেন অ্যান্ড চাইল্ড কেয়ারে’র আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলে গেল নববর্ষ উৎসব ও বৈশাখী মেলা ১৪২৫।
অ্যান্টওয়ারপেন নগরীতে অনুষ্ঠিত বৈশাখী আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বেলজিয়ামে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ সাহাদৎ হোসেন। এছাড়াও সংগঠনের সভাপতি ও বিশিষ্ট সামাজিক ব্যক্তিত্ব শায়লা শারমিন, বেলজিয়ামের স্থানীয় জনপ্রতিনিধি পিটার মারটিন্স, ক্যারোলিন বাস্টিয়েন্সসহ স্থানীয় কমিউনিটির শীর্ষ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত মো: সাহাদৎ হোসেন আয়োজনের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, অসাধারণ এই আয়োজনের মাধ্যমে বিদেশীদের কাছে বাংলাদেশকে ফুটিয়ে তুলতে পেরে, উভয় দেশের সেঁতুবন্ধন আরও দৃঢ় হয়েছে।
বেলজিয়ামের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা মনে করেন, বৈশাখী উৎসব বাংলাদেশের কৃষ্টি-সংস্কৃতি সর্ম্পকে জানানোর অনন্য আয়োজন। এ আয়োজনের ফলে তারা বাংলাদেশ সর্ম্পকে অনেকটাই জানাতে পেরেছেন বলে মন্তব্য করেন।
অ্যান্টওয়ারপেন প্রবাসীদের এ প্রয়াসে বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, ইটালি ও ফ্রান্সের বিভিন্ন নগরীতে বসবাসকারী কয়েক শতাধিক বাঙালি এবং ইউরোপীয় অতিথি উপস্থিত ছিলেন।
বৈশাখী মেলায় ঐতিহ্যবাহী বাঙ্গালি খাবার পান্তা-ইলিশ, দেশীয় পিঠা ও মুখরোচক বিভিন্ন স্বাদের ভর্তা অতিথিদের পরিবেশন করা হয়।
অনুষ্ঠানে শিমু নাহার, আয়েশা ইকবাল সরকার, আবু জাফর এবং রাজীব আহসানের উপস্থাপনায় অতিথিদের শুভেচ্ছা বক্তব্য শেষে যুক্তরাজ্য, ইটালি ও জার্মানিসহ স্থানীয় শিল্পীরা সংগীত, নৃত্য, কবিতা এবং শিশুদের অসাধারণ পরিবেশন মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
সব ভেদাভেদ দূর করে ভ্রাতৃত্ব ও ঐক্যের বন্ধনে, বাঙ্গালির সার্বজনীন উৎসব বাংলা নববর্ষ সকলের জন্য আশীর্বাদ ও বয়ে আনুক অনাবিল সুখ-সমৃদ্ধি এবং অফুরন্ত আনন্দ-এমনই প্রত্যাশা করেন আয়োজকরা।
এসআর/পিআর