জাপান দূতাবাসে গণহত্যা দিবস পালিত
জাপানের টোকিওস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযথ মর্যাদায় ২৫ মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’ পালন করেছে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে ঘুমন্ত, নিরস্ত্র ও নিরপরাধ বাঙালির ওপর মানব ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাযজ্ঞ চালায় তৎকালীন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী।
এ দিবস উপলক্ষে রোববার সকালে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে বিভিন্ন কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধে সব শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে জীবন উৎসর্গকারী শহীদদের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করে দোয়া করা হয়।
আলোচনা অনুষ্ঠানে জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা ও প্রবাসী বাংলাদেশি নেতারা অংশগ্রহণ করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ বিশ্ব ইতিহাসে এক কলঙ্কময় অধ্যায়। বাঙালি জাতিকে পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন করার অভিপ্রায়ে পাকিস্তানি বর্বর হানাদার বাহিনী সেদিন যে পৈশাচিক নির্যাতন চালিয়েছিলো তা বাংলার মুক্তিকামী মানুষকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। বীর বাঙালি ত্রিশ লক্ষ মানুষের জীবন বিসর্জন ও দুই লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে বিজয় ছিনিয়ে আনে। আজ আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, গণহত্যা দিবস পালনের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো, ইতিহাসের জঘন্যতম এই হত্যাযজ্ঞের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায় করা, আর এজন্য সরকার এবং বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের দূতাবাস সমূহ কাজ করে যাচ্ছে। আর এই স্বীকৃতি অর্জনের মাধ্যমেই শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন পরিপূর্ণতা পাবে।
প্রবাসী বাংলাদেশি নেতারা বলেন, বাঙালি জাতি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীনতা এনেছে আর বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে আধুনিক, উন্নত, সমৃদ্ধশালী ‘সোনার বাংলা’ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
এ সময় দূতাবাসের সব কর্মকর্তা, কর্মচারী ও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি উপস্থিত ছিলেন।
এমআরএম/জেআইএম