তুরস্কে নানা কর্মসূচিতে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উদযাপন
বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে তুরস্কে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’র ৯৯তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করা হয়েছে। বাংলাদেশ দূতাবাস তুরস্কের রাজধানীতে অবস্থিত দুটি স্কুলে সপ্তাহব্যাপী চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
এ বছরে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার বিষয়বস্তু ছিল- জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ এবং কক্সবাজার বাংলাদেশের পর্যটন রাজধানী।
প্রতিযোগিতায় আঙ্কারাস্থ ওয়েসিস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এবং ড. রাশিদ গালীব লিকোগ্রিটিম স্কুলে অধ্যয়নরত বিভিন্ন দেশের প্রায় ৬০০ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে যাদের বয়স ভিত্তিক বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ১৬ মার্চ ২০১৮ ওয়েসিস ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে বিজয়ী ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আল্লামা সিদ্দীকী স্মারক ক্রেস্ট এবং সার্টিফিকেট বিতরণ করেন।
এছাড়া রাষ্ট্রদূত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ঘটনাবহুল জীবনের বিবরণসহ বাংলাদেশের মানুষের স্বাধীনতা ও মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধুর আত্মত্যাগ এবং অবদানকে তুলে ধরেন। তিনি বাংলাদেশের পর্যটন নগরী কক্সবাজারের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তুলে ধরেন।
দূতাবাসে আলোচনা সভারও আয়োজন করা হয়। আলোচনা পর্বের শুরুতেই দূতাবাসের সব কর্মর্কতা/কর্মচারী এবং প্রবাসী বাঙালিদের উপস্থিতিতে এ দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রী’র বাণী পাঠ করা হয়।
রাষ্ট্রদূত বলেন, এ দিবসের তাৎপর্য ও গুরুত্ব অনেক। বঙ্গবন্ধু সারাজীবন সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি দেশের আপামর জনসাধারণের কল্যাণে ও তাদের অধিকার নিশ্চিতকল্পে, আমৃত্যু নিরলস পরিশ্রম করে গেছেন।
জেপি/এমআরএম/এমএস