ভিডিও EN
  1. Home/
  2. প্রবাস

মার্কিন কংগ্রেসে লড়ছেন বাংলাদেশি নীনা আহমেদ

প্রবাস ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৯:৩৯ এএম, ০৭ ডিসেম্বর ২০১৭

ফিলাডেলফিয়া সিটির ডেপুটি মেয়র পদ ছেড়ে মার্কিন কংগ্রেসে লড়ছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ড. নীনা আহমেদ। পেনসিলভেনিয়া অঙ্গরাজ্যের ফিলাডেলফিয়া সিটি (দক্ষিণ এবং কেন্দ্রীয়), সিটি অব চেস্টার, ফিলাডেলফিয়া আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্টসহ দেলওয়ারে কাউন্টির কয়েকটি এলাকা নিয়ে গঠিত ‘পেনসিলভেনিয়া কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিক্ট-১’ থেকে ডেমক্র্যাটিক পার্টির মনোনয়নের লড়াইয়ে (প্রাইমারি নির্বাচন) নেমেছেন।

বুধবার বাংলাদেশি-আমেরিকান নীনা আহমেদ এ তথ্য জানান। গত দু’বছর যাবৎ ডেপুটি মেয়রের দায়িত্ব পালনের পর গত সপ্তাহে পদত্যাগপত্র দাখিল করেছেন। এর আগে তিনি প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ‘এশিয়ান-আমেরিকান অ্যান্ড প্যাসিফিক আইল্যান্ডার্স’ বিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন। সে মেয়াদ শেষ হত জুলাই মাসে। কিন্তু জানুয়ারির ২০ তারিখে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের সময়েই পদত্যাগ করেছেন নীতিগত কারণে।

এ আসনের বর্তমান কংগ্রেসম্যান (ডেমক্র্যাট) রোবার্ট ব্র্যাডির বিরুদ্ধে নির্বাচনী তহবিল অপব্যবহারের গুরুতর অভিযোগের তদন্ত চালাচ্ছে এফবিআই। ইতোমধেই ওই অপকর্মে জড়িত দু’ব্যক্তির বিরুদ্ধে চার্জ গঠিত হয়েছে। এ অবস্থায় সামনের বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে ব্র্যাডির প্রার্থীতা নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি হওয়ায় ডেমক্র্যাটিক পার্টির সংগঠক ড. নীনা মাঠে নামলেন।

সেনসাস ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, এই নির্বাচনী এলাকার মোট ভোটারের ৩৭ শতাংশ শ্বেতাঙ্গ। অপরদিকে কৃষ্ণাঙ্গ ৪৫ শতাংশ, এশিয়ান ৪ দশমিক ৯ শতাংশ, হিসপ্যানিক ১৫ শতাংশ, আদি আমেরিকান-০ দশমিক ৩ শতাংশ। দুই দশকেরও অধিক সময় যাবত ইমিগ্র্যান্টদের অধিকার ও মর্যাদা দিয়ে তৃণমূলে ব্যাপক জনপ্রিয় ড. নীনা কৃষ্ণাঙ্গ, এশিয়ান এবং হিসপ্যানিকদের একচেটিয়া ভোট পাবেন বলে নির্বাচনী বিশ্লেষকরা ইতিমধ্যেই বলাবলি করছেন।

স্থানীয় মিডিয়াসমূহেও এ নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য, ফিলাডেলফিয়াসহ আশপাশে ভোটার হিসেবে তালিকাভুক্তদের ৭৮ শতাংশ এরও বেশি হচ্ছেন ডেমক্র্যাট। অর্থাৎ দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ের নির্বাচনে (প্রাইমারি) জয়ী হলেই মূল নির্বাচনে জয়ী হওয়ার সামিল।

ড. নীনা বলেন, ‘বর্তমান কংগ্রেসম্যানের সঙ্গে (যদি এফবিআইয়ের তদন্তে তিনি অভিযুক্ত না হন) জয়ী হতে হলে ভোটের রাজনীতির হিসাব অনুযায়ী বিপুল অর্থ লাগবে। বিধি অনুযায়ী নির্বাচনী তহবিল গঠনের উদ্দেশে শিগগিরই একটি সমাবেশ করব। সে সময় বাংলাদেশি-আমেরিকানদেরও সহায়তা লাগবে। তারাই হবেন আমার মূল ভিত্তি। ’

মার্কিন কংগ্রেসে প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কংগ্রেসম্যান হয়েছিলেন হাসিম ক্লার্ক (২০১১-২০১৩)। কিন্তু তিনি দু’বছরের এক মেয়াদের বেশি সে আসন (মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ১৩তম কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিস্ট) ধরে রাখতে সক্ষম হননি। এরপর আরও কয়েকজন লড়েছেন বিভিন্ন আসন থেকে। এখন পর্যন্ত কেউই জয়ী হতে পারেননি।

এমআরএম/জেআইএম

আরও পড়ুন