কনস্যুলার সেবা নিতে জহুরবারুতে শত প্রবাসীর ভিড়
মালয়েশিয়ার জহুরবারু অগ্রণী রেমিট্যান্সে চলছে দূতাবাসের কনস্যুলার সেবা। আর এ সেবা নিতে শত শত প্রবাসী ভিড় জমিয়েছেন সেখানে। স্থানীয় সময় শনিবার (১৮ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে দুই দিনব্যাপী শুরু হয়েছে কনস্যুলার সেবা। মালয়েশিয়ার সীমান্ত প্রদেশ জহুরবারুতে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সেবা দিতে কাজ করে চলেছেন দূতাবাসের কর্মকর্তারা। এ সেবা চলবে আগামীকাল রোববার পর্যন্ত।
দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে, দেশটির অভিবাসন বিভাগের চলমান রি-হিয়ারিং প্রোগ্রামের আওতায় বৈধ হতে নতুন পাসপোর্ট করতে দূতাবাসসহ দেশটির বিভিন্ন প্রদেশে থাকা দূতাবাসের কনস্যুলার সেবাকেন্দ্রে শেষ সময়ে ভিড় করছেন প্রবাসীকর্মীরা। আগামী ৩১ ডিসেম্বর শেষ হচ্ছে দেশটিতে থাকা অবৈধদের বৈধ হওয়ার সুযোগ।
এ বিষয়ে জহুর প্রদেশে অবস্থানরত দূতাবাসের পাসপোর্ট ও ভিসা শাখার প্রথম সচিব মো. মশিউর রহমান তালুকদারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, সিরিয়াল অনুযায়ী ডিজিটাল পাসপোর্ট তৈরি এবং নবায়ন থেকে শুরু করে সবই হচ্ছে নিয়ম মোতাবেক। হাইকমিশনের প্রতিটি কর্মকর্তা-কর্মচারীর অক্লান্ত প্রচেষ্টায় জহুর প্রদেশে কর্মরত প্রবাসীরা দ্রুত সেবা পাচ্ছেন।
অগ্রণী রেমিট্যান্সে নতুন পাসপোর্ট করতে আসা প্রবাসীকর্মী জুয়েল বলেন, সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়েছিলাম। দালাল ছাড়াই রিসিট হাতে পেলাম। যেখানে পাসপোর্ট করতে ৩ থেকে সাড়ে ৩শ রিঙ্গিত খরচ হতো সেখানে ১১৬ রিঙ্গিত ব্যাংকড্রাফ্ট করে পাসপোর্ট করতে পারছি।
কনস্যুলার সেবা থেকে নতুন পাসপোর্ট নিতে আসা মোশাররাফ হোসেন বলেন, এক মাস আগে এখানে ১১৬ রিঙ্গিত দিয়ে পাসপোর্টের আবেদন করেছিলাম। দালাল ছাড়াই দূতাবাসের কর্মকর্তাদের আন্তরিকতায় নতুন পাসপোর্ট হাতে পেলাম। কনস্যুলার সেবা অব্যাহত থাকলে দালালদের কাছে যেতে হবে না।
শনিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে জহুরবারু অগ্রণী রেমিট্যান্স হাউজে দিনব্যাপী শুরু হওয়া কনস্যুলার সেবা চলবে রোববার ৫টা পর্যন্ত। প্রবাসীদের আবেদন জমা দেয়া এবং ডিজিটাল পাসপোর্ট বিতরণে রয়েছেন দূতাবাসের পাসপোর্ট ও ভিসা শাখার অফিস সহকারি সুশান্ত সরকার, আরিফুল ইসলাম। এ ছাড়া রয়েছেন হাইকমিশনারের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা সোবহান মন্ডল ও কামরুল ইসলাম।
বিএ/এমএস