দলত্যাগীদের ফিরতে এরশাদ ও রওশনের আহ্বান
‘দল ছেড়ে যারা চলে গেছেন, তারা ফিরে আসুন। এসে দলে নেতৃত্ব দিন।’ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দলত্যাগীদের উদ্দেশ্য এমন আহ্বান জানান। এরশাদের আগে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একই আহ্বান জানান পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ।
এরশাদ বলেন, আমরা হারিয়ে যাইনি, আজকের এই সম্মেলন তার প্রমাণ। গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা দিতেই জাতীয় পার্টির জন্ম। দেশের ক্রান্তিকালে দায়িত্ব নিয়েছিলাম। আজও সেই ক্রান্তিকাল চলছে। পেশী শক্তির ওপর ভর করে নির্বাচনে মনোনয়ন দিচ্ছে সরকার দলীয় সংগঠন। শক্তি দিয়েই জয় নিশ্চত করছে, মানুষের ভোটে নয়।
আগামী নির্বাচনে ৩শ` অাসনে প্রার্থী দেয়া হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, হিংসা-প্রতিহিংসার রাজনীতি চলছে। এই প্রশাসন দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করতে হলে রাজনীতির বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে। এর জন্য প্রাদেশিক সরকার ব্যবস্থা সময়ের দাবি।
বর্তমান নির্বাচন পদ্ধতি জনগণের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করে না বলে তিনি জানান। এরশাদ বলেন, ক্ষমতায় যেতে পারলে এই পদ্ধতির পরিবর্তন করা হবে। সবাই জানেন কীভাবে দেশ চলছে। সন্ত্রাস, খুন, জঙ্গিবাদ, চাঁদাবাজিতে দেশ ভরে গেছে। সমাজে কেউ নিরাপদ নেই।
সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতীয় পার্টিই একমাত্র জনগণের দল। অামরাই বলছি, ৬৮ হাজার গ্রাম বাঁচলে জীবন বাঁচবে। গ্রামের সাধারণ মানুষের উন্নয়ন করতে পারলেই দেশের উন্নয়ন ঘটবে।
সম্মেলনের অভাবনীয় সাফল্য আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি মরে যায়নি। পার্টি অাছে, থাকবে। জাতীয় পার্টির সৃষ্টিই হয়েছে পরিবর্তনের জন্য। আমরা ক্ষমতায় গিয়ে পরিবর্তন আনবোই।
উল্লেখ্য, জাতীয় পার্টির অষ্টম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ। রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তন ও পাশের মাঠে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ সম্মেলন। এরশাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করছেন।
বেলা ১০টা ২৫ মিনিটে দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় নেতা এরশাদ পত্নী রওশন এরশাদ, কো-চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী জিএম কাদের এবং দলের মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদরকে সঙ্গে নিয়ে তিনি মঞ্চে ওঠেন এরশাদ।
এর আগে, এরশাদ জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়। প্রথম পর্বে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সাধারণ সম্মেলন, দুপুর ২টা থেকে মিলনায়তনে কাউন্সিলরদের নিয়ে মূল সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
এএসএস/বিএ/এবিএস