জিয়াউর রহমান ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের প্রতীক: মেজর হাফিজ
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে মুক্তিযুদ্ধের প্রতীক বলে অভিহিত করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম। রোববার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় নগরীর কাজীর দেউড়ি সংলগ্ন নাসিমন ভবন দলীয় কার্যালয় সামনে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি আয়োজিত মহান বিজয় দিবসের স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মেজর হাফিজ বলেন, ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের সূচনা করেছিলেন জিয়াউর রহমান। তার নির্ভীক কণ্ঠের আহ্বানে এদেশের মুক্তিকামী জনতা সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। নিশ্চিত মৃত্যুর পরোয়া না করে তিনি যুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয় লাভ অবধি নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী শেখ মুজিব সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, যে গণতন্ত্রের জন্য এদেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধ করেছিল, স্বাধীনতা পরবর্তী আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্রের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে গলাটিপে হত্যা করে একদলীয় রাষ্ট্র গঠন করেছিল। বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ মেয়ে শেখ হাসিনাও দেশে একনায়কতন্ত্র কায়েম করে গণতন্ত্রের স্থায়ী কবর রচনা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু গত ১৬টি বছর বিএনপির স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় এদেশের ছাত্রসমাজ স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে রাজপথে নেমে আসে। এদিকে তারেক রহমানের নির্দেশে বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা ছাত্রদের সঙ্গে নিয়ে চূড়ান্ত লড়াইয়ে অবতীর্ণ হন। রচিত হয় নতুন ইতিহাস। ভারতের মদদপুষ্ট স্বৈরাচার ভারতে পালিয়ে গেলেন। ফ্যাসিবাদমুক্ত হলো প্রিয় স্বদেশ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দিন বলেন, দীর্ঘ ১৬টি বছর দেশে একনায়কতন্ত্র কায়েমের মাধ্যমে পতিত আওয়ামী লীগ সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করেছিল। পলাতক স্বৈরাচার বিভিন্ন কায়দায় দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে। নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকার কায়েমের মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সুসংহত করতে হবে।
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহর সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব নাজিমুর রহমানের সঞ্চালনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, নগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বক্কর, অ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার, সৈয়দ আজম উদ্দিন, এস এম সাইফুল আলম, কাজী বেলাল উদ্দিন, হারুন জামান, শাহ আলম, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, শওকত আজম খাজা, ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, শিহাব উদ্দিন মোবিন, মঞ্জুরুল আলম।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক কাজী শেখ নুরুল্লাহ বাহার, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, মহানগর ছাত্রদলের সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন, মহানগর কৃষক দলের আহ্বায়ক মোহাম্মদ আলমগীর, সদস্য সচিব সাবের আহমেদ টারজান প্রমুখ।
এমডিআইএইচ/জেএইচ/জেআইএম