অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে: নজরুল
একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্যদিয়ে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। কৃষকদলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচির আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কৃষকদল।
অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের দিকে ইঙ্গিত করে নজরুল ইসলাম বলেন, এখন যারা ক্ষমতায় আছে, তারা জোর করে ক্ষমতা গ্রহণ করেননি। আমরা জনগণ তাদের ক্ষমতা দিয়েছি। তারা দেশটাকে সুন্দরভাবে পরিচালনা করবেন। আগের মতো বিনাভোটে না, রাতের ভোটে না, ডামি ভোটে না, জনগণের ভোটে একটি সরকার নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন। যারা দায়িত্ব পাবেন, জনগণ ভোট দেবেন, তারা জনগণের জন্য কাজ করবেন। দেশ থেকে দুর্নীতি-অনাচার উচ্ছেদ করবেন। গরিব মানুষকে সাহায্য-সহযোগিতা করবেন, যেন তারা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারেন, কারও কাছে যেন হাত পাততে না হয়। সেজন্য পরিবর্তন দরকার।
- আরও পড়ুন
- নির্বাচনে নতুন করে আসন পুনর্বিন্যাস করতে হবে: জামায়াত আমির
- তারেক রহমান কি আসলেই ‘শিগগির’ দেশে ফিরছেন?
‘আল্লাহর মেহেরবানি, সেই পরিবর্তনের সূচনা হয়েছে। আশা করবো এই পরিবর্তন শিগগির সম্পন্ন হবে। আমরা ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়েছি কিন্তু গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে পারিনি। এই গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্যদিয়ে। তার কিছু প্রস্তুতি আছে, তা চলছে। আমরা আশা করবো সেই প্রস্তুতি শেষে জনগণের ক্ষমতা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।’
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, দেশটাকে তো নিঃস্ব করে দেওয়া হয়েছে। আপনারা কদিন আগে দেখেছেন বিগত সরকার বছরে ১৬ হাজার কোটি ডলার বিদেশে পাচার করে দিয়েছে। আমার দেশের গরিব শ্রমিক, মধ্যপ্রাচ্যের মরুভূমি বা মালয়েশিয়ার জঙ্গলে কাজ করে যে বৈদেশিক মুদ্রা পাঠান সেটা জনগণের কল্যাণে না লাগিয়ে পাচার করে দিয়েছে।
চুরি ও দুর্নীতি করা অন্যায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এরা (আওয়ামী লীগ) সেই অন্যায়ের পাশাপাশি এই টাকা বাইরে পাঠানোর অন্যায়ও করেছে। দেশের মানুষের কোনো কাজে আসেনি। যদি দুর্নীতি, অনাচার কম হতো তাহলে আমার এত ভাইবোন এত কষ্ট করতেন না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আমরা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনগুলো ১৬ বছর লড়াই করেছি। ৭০০ এর বেশি নেতাকর্মী গুম হয়েছে। হাজারেরও বেশি নেতাকর্মী খুন হয়েছে। লাখ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা কায়েমি মামলা দিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। আমরা থামিনি। সেই লড়াইয়ের মাধ্যমে গত জুলাইয়ের মাসে যে অভ্যুত্থান হয়েছে, তার মাধ্যমে বিশাল ক্ষমতার দাবিদার, অত্যাচার নিপীড়ন করতো, জুলুম করতো, রাজনৈতিক নেতা থেকে ফুটপাতের হকারও রেহায় পায়নি, তারা পালিয়ে গেছে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কৃষকদের আহ্বায়ক মো. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষকদলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম খান বাবুল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কৃষকদলের সদস্যসচিব মীর হাসান কামাল তাপস প্রমুখ।
কেএইচ/ইএ/জিকেএস