ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

২ মার্চকে ‌‌‘জাতীয় পতাকা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৭:৪১ পিএম, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

২ মার্চকে জাতীয় পতাকা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।

তিনি বলেন, অতীতের সরকার যদি সঠিক ইতিহাস নির্ধারণ না করে থাকে তাহলে আপনারা সঠিক ইতিহাস নির্ধারণ করুন। তারই ধারাবাহিকতায় যথাযথ মর্যাদায় স্বীকৃতি দিয়ে ২ মার্চ জাতীয় পতাকা দিবস পালন করুন। এতে শুধু আসম আব্দুর রব নয়, দেশের প্রতিটি মানুষ গৌরবান্বিত হবেন।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ২ মার্চ পতাকা দিবস ঘোষণার দাবিতে প্রতিবাদী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। এ সমাবেশের আয়োজন করে ‘হৃদয়ে পতাকা ২ মার্চ’ নামের একটি সামাজিক সংগঠন।

মঈন খান বলেন, অবাক লাগছে স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর আমাদের কেন জাতীয় পতাকা দিবসের ঘোষণার দাবি জানাতে আলোচনা করতে হবে। ১৯৭১ সালের ২ মার্চ কলাভবনের সামনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেছিলেন আসম আব্দুর রব। ওই দিন পূর্ব পাকিস্তানের গণতন্ত্রকামী মানুষের প্রতিবাদ মুখে তৎকালীন সংসদ অধিবেশন বাতিল হয়েছিল। সেদিনের পতাকা শুধু লালসবুজের পতাকা ছিল না, কেন্দ্র ছিল সোনালী বাংলাদেশ। তখনও কিন্তু স্বাধীনতার ঘোষণা হয়নি। ইতিহাস বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, স্বাধীনতার ঘোষণার আগেই স্বাধীন দেশের পতাকা উত্তোলন হয়েছিল। এটা একটা ইউনিক। সেদিন হাজার হাজার মানুষ রাজপথে নেমেছিল। গত ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের চেয়ে আলাদা ছিল না।

সেদিন আ স ম আবদুর রবের সঙ্গে ছিলেন শাহাজাহান সিরাজ, নুরে আলম সিদ্দিকী, আব্দুস কুদ্দুস পাটোয়ারী। স্বাধীনতার ইতিহাস তাদের আমরা কতটুকু সম্মান জানাতে পেরেছি?

বিএনপির এ সিনিয়র নেতা বলেন, ১৯৪৮ সালে ছাত্র ‘রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই’ উচ্চারণের মধ্যে স্বাধীনতার বীজ বপন করেছিল ছাত্ররা। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলন দেখেছি, ১৯৬২ সালে শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন দেখেছি। সেদিন হামিদুর রহমানের শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে ঢাকার রাজপথে হাজার হাজার ছাত্ররা আন্দোলন করেছিল। সেদিন ছাত্ররা বলেছিল এ শিক্ষানীতি ছিল ধনী শ্রেণির জন্য, পূর্ব পাকিস্তানের জন্য নয়। এরপর ৬৯ ও ৭১ সালে ছাত্র বিদ্রোহের ইতিহাস। লাখ লাখ মানুষের বুকের রক্তের ওপর দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। সেই সময়ে বাংলাদেশের মানুষ একটাই কথা বলেছিল আমরা গণতান্ত্র চাই।

এরই ধারাবাহিকতায় বিগত ১৫ বছর ধরে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে জনগণ। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্যদিয়ে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। এসব ইতিহাস একইসূত্রে গাঁথা। বাংলাদেশের ইতিহাসে ছাত্ররা যে ভূমিকা পালন করেছে তা অবিস্মরণীয়। এটা বিশ্ব ইতিহাসের অংশ হিসেবে থাকবে। আজকে নতুন করে লাল সবুজের পতাকা থেকে তরুণ ছাত্রদের শিক্ষা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি লেখক ও কবি শাহানা সুলতানার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসার সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন জেএসডি’র সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, সিনিয়র সহ-সভাপতি মিসেস তানিয়া রব, আয়োজক সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা এস এম সামসুল আলম নিক্সন, গণতান্ত্রিক পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক আমির হোসেন আমু প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্য শাহানা সুলতানা বলেন, বাংলাদেশের শুরু হয় ২ মার্চ জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে। আমাদের কেন জাতীয় পতাকা দিবস চাইতে হবে? এটা জাতির জন্য অত্যন্ত লজ্জাকর। আজকের এই দিন থেকে আমরা যাত্রা শুরু করলাম। ২ মার্চ জাতীয় পতাকা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিতে আগামী ৭ দিনের মধ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেবে সংগঠনটি।

কেএইচ/এমএএইচ/জেআইএম