‘স্টেডিয়াম না বানিয়ে নিত্যপণ্যের দাম কমাতে নজর দিন’
আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মারা আজ ইউনূস সরকারকে জ্যামে ফেলে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম।
তিনি বলেন, ‘সেই জ্যামে পড়ে (অন্তর্বর্তী সরকার) এখন ঘুরপাক খাচ্ছে। কোনটা আগে করবে, কোনটা পরে করবে- এখন পর্যন্ত এটাই ঠিক করতে পারছে না। জনজীবনের দিকে দৃষ্টি দেন। স্টেডিয়াম একটা লং প্ল্যান, এক বছরে পারবেন না অনেক বছর লাগবে। চাল ডাল তেল পানির দাম কমানো যায় কি না সেদিকে দেখেন।’
রোববার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সব রাজনীতিবিদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আলোচনা সভা করে ‘জাগ্রত বাংলাদেশ’।
আব্দুস সালাম বলেন, ‘একটা কথা কঠিন মনে হলেও বলতে হয়, ড. ইউনূসের মামলা যদি একদিনে প্রত্যাহার হতে পারে- তাহলে কেন তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহার হবে না? আজকের বাস্তবতায় যেমন এ সরকারকে দরকার, ঠিক তেমনিভাবে আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে যদি রাজনৈতিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হয় তাহলে তারেক রহমানকেও দেশে দরকার।’
- আরও পড়ুন
- সারাদেশে ২২০ স্টেডিয়াম হবে জুলাইয়ের শহীদদের নামে
- ৩ মাসেও আওয়ামী লীগের দোসরদের উৎখাত করা যায়নি
- সরকার পরিচালনায় অদক্ষতা জনগণ সহজভাবে নেবে না: তারেক রহমান
তিনি বলেন, ‘এটাতো সবচেয়ে লজ্জার ব্যাপার যে ৫ আগস্টকে কেন্দ্র করে ছাত্র-জনতা আহত হলো, পঙ্গু হলো তাদের তিন মাসের ব্যবধানে এসে প্রতিবাদ জানাতে হলো। এর চেয়ে দুর্ভাগ্যতো আর কিছু নেই। দুর্ভাগ্য হলো তারা (সরকার) কোনটা আগে করবে কোনটা পরে করবে, তাদের চিকিৎসা না করে তারা (সরকার) ঘোষণা দিচ্ছে আড়াইশ স্টেডিয়াম করতে হবে বাংলাদেশে। এ দায়িত্ব তাদের? তাদের দায়িত্ব হলো একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করে রাজনীতিবিদদের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়া।’
বিএনপি চেয়ারপারসনের এ উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সামনে রমজান মাস, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম যাতে না বাড়ে সেদিকে নজর দেন। টিসিবির ট্রাকের পেছনে মানুষের লাইন লেগেছে। দেখলাম ট্রাকও যাচ্ছে মানুষও তার পেছনে দৌঁড়াচ্ছে। আলামত ভালো না। দৃষ্টিটা ওইদিকে দেন। নির্বাচনের দিকে দেন আর ইমিডিয়েট যে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসহ ডেঙ্গু, যানজট এগুলো কীভাবে কমাবেন সেদিকে নজর দেন। স্টেডিয়াম বানাতে যাবেন না। শেখ হাসিনাও ৪২ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার পরিকল্পনা করেছিল। তাই আজ যেটা দরকার সেটা করেন আর শর্ট করে আনেন। কর্মসূচি কমিয়ে আনেন।’
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জাগ্রত বাংলাদেশের সভাপতি মো. জহিরুল ইসলাম কলিম। এতে বিএনপির নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
এনএস/কেএসআর/এএসএম