ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

গুলিস্তান মোড়ে শেখ হাসিনার বিচার করা উচিত: দুদু

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৮:০০ পিএম, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

গুলিস্তান মোড়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচার করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।

তিনি বলেন, তাদের বিচার হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট, নিম্ন আদালতে নয়- গুলিস্তান মোড়ে করা উচিত। তারা যেভাবে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করেছে, এটা ভাবা যায়? যারা হত্যাকারী তাদের রক্ষা করার জন্য সেনাবাহিনী ছিল। আর দেশের কৃষক-শ্রমিক যারা দেশকে রক্ষা করছে, তাদের রক্ষা করার জন্য আনসার বাহিনীও নেই।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আমাদের করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

দুদু বলেন, যাদের হাতে বাংলাদেশ পড়েছিল, শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের হাতে, আমরা চোর উৎপাদনের হাতে পড়েছিলাম। শেখ মুজিব জীবিত থাকা অবস্থায় তার ছেলে ব্যাংক ডাকাত হিসেবে ঘোষিত হয়েছে। অপশাসনের কী ভয়ংকর পরিণতি তা আমরা দেখেছি। তার দুটি কন্যা ছিল, তারা এত বড় লুটেরা-খুনি, যা ইতিহাসের ভয়ংকর অধ্যায় হিসেবে থাকবে। তারা যখন লুকিয়ে থেকে পালিয়ে গিয়ে রাজনীতির কথা বলে, তখন আমার মনে প্রশ্ন জাকে রাজনীতির অর্থটা কী।

ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমরা সমর্থন করেছি, দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ সমর্থন করেছে। সহযোগিতা করার জন্য উন্মুক্ত হয়ে আছে। এ সরকারের যারা আছেন তারা হয়তো রাজনীতি করেননি, কিন্তু তারা জ্ঞানী। তাদের বুঝতে হবে। কারণ বুঝেশুনেই তারা ক্ষমতা নিয়েছেন। তাদের মতো জানাশোনা লোক বাংলাদেশে কমই আছে। রাজনীতি বুঝতে হবে। যদি না বোঝেন তাহলে আমাদের কাছে আসুন, শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে যান, কৃষক শ্রমিকের কাছে যান। কে লুটেরা-খুনি এটা না বোঝার কিছু নেই। দিনের আলোতে তারা করেছে।

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া বাংলাদেশকে রক্ষা করার আর কোনো পথ নেই মন্তব্য করে এই বিএনপি নেতা বলেন, এই দেশ স্বাধীন করতে এক সাগর রক্ত দিয়েছে দেশের মানুষ। এ রকম রক্ত পূর্ব-এশিয়ার কোনো জাতি দেয়নি। শুধু তাই নয়, বিশ্বের অন্য কোনো জাতি দিয়েছে কি না আমার জানা নেই। সেই দেশে ৫২ বছর পরে এসে গণতন্ত্র-সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য কথা বলতে হবে, এটা বড়ই ট্রাজেডি। এর থেকে বেরিয়ে আসতে হলে মানুষকে ভোটের অধিকার দিতে হবে। নির্বাচন করার ক্ষমতা দিতে হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, একটা নির্বাচন দেন। কিসের পুলিশ, কিসের প্রশাসন? এসব বাহানা আমাদের বাদ দিতে হবে। যে জাতি বিনা অস্ত্রে একটা ফ্যাসিস্ট সরকারকে তাড়িয়েছে। তাহলে নির্বাচনের জন্য এত প্রস্তুতি লাগবে কেন? আপনারা মানুষকে ছোট করে দেখবেন না। নির্বাচন দেন, নির্বাচন কীভাবে করতে হয় দেশের জনগণ জানে। পাকিস্তান আমলে পাকিস্তান সেনাবাহিনী, পাকিস্তানের কর্মকর্তাদের আঙুল দেখিয়ে একটা দলকে বিজয়ী করেছিল। জিয়াউর রহমানকে অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়েছিল দেশের মানুষ। বেগম জিয়াকে কেউ পাত্তাই দেয়নি। আওয়ামী লীগ, এ দেশের বুদ্ধিজীবী- কেউ দেয়নি। বেগম জিয়া এরশাদকে হটিয়ে নির্বাচন করে বিজয়ী হয়ে তিনি প্রমাণ করেছিলেন তিনি যোগ্য।

আসে দিন যায় পত্রিকার সম্পাদক এস এম রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম রাজন, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম আব্দুল্লাহ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশ লিবারেল পার্টির চেয়ারম্যান শেখ মহিউদ্দিন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক এম জি আর নাসির মজুমদার, আব্দুল হক, মানবাধিকার কর্মী মঞ্জুর হোসেন ঈসা, কৃষক দল নেতা এসকে সাদী, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।

কেএইচ/ইএ/জেআইএম