ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

৫ আগস্টের স্বাধীনতা কোনো একনায়কত্ব চায় না: সেলিমা রহমান

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০২:১৪ পিএম, ১১ অক্টোবর ২০২৪

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে বলেছেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে। ৫ আগস্টের স্বাধীনতা কোনো একনায়কত্ব চায় না।

শুক্রবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী নাগরিক পরিষদের তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সেলিমা রহমান বলেন, গত আন্দোলনে আমাদের মা-বোনরা, সন্তানরা শহীদ হয়েছেন। আমরা স্বাধীন হয়েছি ঠিকই, শান্তিতে নিঃশ্বাস নিতে পারছি, তবে আমাদের লক্ষ্য অর্জন হয়নি। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্বপ্ন এখনো পূরণ হয়নি। দীর্ঘদিন কারাগারে রেখে বেগম খালেদা জিয়াকে অসুস্থ করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিএনপিকে জনগণের দলে পরিণত করেছেন। যেদিন সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে পারবো সেদিন আমাদের সুদিন হবে। আমাদের শহীদরা সার্থক হবে। বাংলাদেশের জন্য আমাদের ত্যাগ কাজে আসবে।

তিনি বলেন, বিগত আন্দোলনে ছাত্র-জনতাসহ সবার অবদান ছিল। আমরা বিভাগীয় সমাবেশ করেছি প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে। বাধা উপেক্ষা করে মানুষ সমাবেশ সফল করেছেন। তারা দুই থেকে তিন দিন আগেই সমাবেশে অংশ নিতে ছুটে আসেন। অথচ সমাবেশ যাতে সফল না হয় সরকারের লোক পরিবহন বন্ধ করে দিয়েছিল। মূলত তারা ভয় পেয়ে এসব করেছিল। যেমনটি করেছিল ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর ঢাকার মহাসমাবেশে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানিসহ সিনিয়র অনেক নেতাকে তারা কারাবন্দি করেছিল। গত আন্দোলনে সবার অংশীদারত্ব আছে। সুতরাং দুঃখ পাওয়ার কিছু নাই।

সেলিমা রহমান বলেন, ড. ইউনূস বাংলাদেশের গর্ব। তার নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দেশ পরিচালনা করছে। আমরা বিশ্বাস করি, তিনি প্রয়োজনীয় সংস্কার করে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেবেন। আজকে পুলিশ কাজ করছে না। ডিবির সাবেক কমিশনার হারুন আমেরিকায় বসে মিডিয়ায় সাক্ষাৎকার দেয়! তাকে কে পাচার করেছে? আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মারা এখনো ঘাপটি মেরে আছে। তারা গার্মেন্টস শিল্পসহ নানাভাবে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে চায়।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মূল লক্ষ্য গণতন্ত্র, সুশাসন ও ভোটাধিকার। আমাদের অনকে কাজ এখনো বাকি। কত যে শহীদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন তার সঠিক হিসাব নেই।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের নেতা মাইনুল ইসলাম বাদল তালুকদার ও সঞ্চালনা করেন আবুল বাশার আহমেদ।

কেএইচ/এসএনআর/জিকেএস