স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন ও র্যাব মনিটরিং সেলের প্রস্তাব জামায়াতের
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে পুলিশ ও র্যাবের সংস্কার প্রস্তাব তুলে ধরেছে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলাম। সংস্কার প্রস্তাবে পুলিশের জন্য স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন ও র্যাবের জন্য র্যাব মনিটরিং সেল গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে দলটি।
বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে রাষ্ট্র সংস্কার প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন জামায়াত ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের।
পুলিশ বাহিনীর ব্যাপক সংস্কার করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ১৮৬১ সালে ব্রিটিশ সরকার প্রণীত পুলিশ আইন পরিবর্তন এবং পুলিশের জন্য একটি পলিসি গাইডলাইন তৈরি করতে হবে। পুলিশ সদস্যদের নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি এবং চাকরিচ্যুতির জন্য স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন করতে হবে।
পুলিশের মধ্যে মারণাস্ত্রের ব্যবহার বাতিল করতে হবে জানিয়ে জামায়াতের এই নায়েবে আমির বলেন, নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি এবং চাকরিচ্যুতির ক্ষেত্রে কোনো রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক ব্যক্তির সুপারিশের সুযোগ রাখা যাবে না তথা সর্বপ্রকার দলীয় ও ব্যক্তিগত প্রভাব বা হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে। পুলিশ ট্রেনিং ম্যানুয়ালের মধ্যে ধর্মীয় শিক্ষা ও নৈতিক অনুশাসন অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
রিমান্ড চলাকালে জিজ্ঞাসাবাদের ক্ষেত্রে আসামিপক্ষের আইনজীবীর উপস্থিতি এবং নারী আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাদের অভিভাবকের উপস্থিতি করতে হবে। বিচার বিভাগীয় সদস্যদের দ্বারা পুলিশ ট্রাইব্যুনাল গঠনের বিধান থাকতে হবে। পুলিশের ডিউটি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা উন্নত করতে হবে। পুলিশ আইন পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও পরিমার্জনের মাধ্যমে আধুনিকায়ন করতে হবে।
র্যাব বিষয়ক সংস্কার
মুহাম্মদ তাহের বলেন, র্যাব ও অন্যান্য বিশেষায়িত বাহিনীর প্রতি জনসাধারণের আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে। গত ১৫ বছর যারা র্যাবে কাজ করেছে তাদের স্ব স্ব বাহিনীতে ফিরিয়ে আনতে হবে এবং তাদের পুনরায় র্যাবে নিয়োগ দেওয়া যাবে না। বিচারবহির্ভূত সব হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, র্যাবের সামগ্রিক কার্যক্রম মনিটরিংয়ের জন্য সেল গঠন করতে হবে। কোনো র্যাব সদস্য আইনবহির্ভূত কোনো কাজে জড়িত হলে এই সেল তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করবে। মিডিয়ার ক্ষেত্রে নীতিমালা প্রণয়ন ও অনুসরণ নিশ্চিত করতে হবে।
এএএম/এমআইএইচএস/জেআইএম