ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

জুলাই বিপ্লবের অন্যতম নায়ক আবরার ফাহাদ: শিবির সভাপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৫:৫৭ পিএম, ০৭ অক্টোবর ২০২৪

ধারাবাহিক অনেক ঘটনার মধ্যদিয়েই জুলাই বিপ্লবের প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নির্মম নির্যাতনে নিহত শহীদ আবরার ফাহাদ এই বিপ্লবের অন্যতম নায়ক বলেও জানান তিনি।

সোমবার (৭ অক্টোবর) শহীদ আবরার ফাহাদের ৫ম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে ‘ফর ফ্রিডম অ্যান্ড ডিগনিটি: দ্য লিগেসি অব আবরার ফাহাদ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শিবির এ সভার আয়োজন করে।

তিনি বলেন, ‘আধিপত্যবাদ ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কথা বলার ফলে শিবির ট্যাগ দিয়ে ফ্যাসিবাদের সন্ত্রাসী বাহিনী ছাত্রলীগের রাতভর নির্যাতনে শহীদ হন আবরার ফাহাদ। দুঃশাসন, নির্যাতন, নিপীড়নের মাধ্যমে জাতিকে নিঃশেষ করা হয়েছে। এর ফলেই আধিপত্যবাদ ও ফ্যাসিবাদবিরোধী চেতনা ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং নিপীড়নের বিরুদ্ধে মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। তারই বহিঃপ্রকাশ আজকের নতুন বাংলাদেশ।’

সভায় ঢাবি শাখা শিবির সভাপতি সাদিক কায়েম বলেন, ‘আমাদের জাতীয় ঐক্যের প্রতীক শহীদ আবরার ফাহাদ। আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে যারা হুমকি হিসেবে দাঁড়িয়েছিল, তারাই ফ্যাসিস্টের রক্তচক্ষুতে পরিণত হয়েছে। দেশের সার্বভৌমত্বের রক্ষাকবচ হিসেবে যাদেরই আবির্ভাব ঘটেছে, তাদেরই বরণ করতে হয়েছে মৃত্যুর মতো নির্মম পরিণতি। আবরার ফাহাদ হত্যার দায় কেবল উক্ত ঘাতক দলেরই না, এই দায় তাদেরও যারা ছাত্রশিবিরের সঙ্গে যুক্ত থাকলেই নিপীড়ন করাকে বৈধতা দিয়েছিল।’

তিনি আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের পূর্বে বুয়েটে শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি সিরাজুল ইসলামের ওপর নির্মম নির্যাতনের ঘটনা তুলে ধরে বলেন, ‘সেদিন কেউ প্রতিবাদ করেনি। এর ফলেই আবরার ফাহাদকে শিবির আখ্যা দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করার বৈধতা তৈরি হয়ে যায়। কাজেই যারা শিবিরের ওপর নিপীড়নের ব্যাপারে নীরব ছিল তারাও আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী।’

সভায় অন্যদের মধ্যে ছাত্রশিবির ঢাবি শাখার অফিস সম্পাদক ইমরান হোসাইন, ছাত্র আন্দোলন ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, স্কিল ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল আমীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভা শেষে শহীদ আবরার ফাহাদসহ জুলাই বিপ্লবের সব শহীদ ও তাদের পরিবারের জন্য দোয়া করা হয়।

এএএম/ইএ/এএসএম