জামায়াতের নায়েবে আমির
প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকদের ভাতা ৫০ হাজার টাকা করা উচিত
দেশের চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য পুলিশের দাবি জানিয়েছেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। একইসঙ্গে তিনি উচ্চতর কোর্সে অধ্যয়নরত প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকদের সর্বনিম্ন ভাতা ৫০ হাজার টাকা করার দাবিও জানিয়েছেন।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি কনভেনশন হলে চিকিৎসকদের অন্যতম জাতীয় সংগঠন ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের (এনডিএফ) ঢাকা মহানগর দক্ষিণের চিকিৎসক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. তাহের বলেন, সব জায়গায় পুলিশ আছে। শিল্প পুলিশ, মেট্রো পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ ইত্যাদি। ডাক্তারদের জন্যও স্বাস্থ্য পুলিশ থাকতে হবে। এমন আইন করতে হবে যে, ডাক্তারের গায়ে হাত দিলেই সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করা হবে। চিকিৎসকদের কোনো সুরক্ষা নেই, চিকিৎসকদের মারলে অনেকে খুশি হয়। অথচ অপেক্ষাকৃতভাবে বেশি সেবা দেন চিকিৎসকরা। অসুস্থ মানুষকে সুস্থ করতে পারেন চিকিৎসকরাই, অন্য কেউ পারে না।
- আরও পড়ুন
- বিএসএফের গুলিতে নিহত স্বর্ণা দাসের পরিবারের পাশে জামায়াত
- জঙ্গিবাদ খতম করার জন্যই ইসলাম এসেছে
তিনি বলেন, চিকিৎসকরা দেশের নিবেদিত প্রাণ হয়ে মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন। দেশের চিকিৎসা সেবায় রেফারেল সিস্টেম চালু হওয়া উচিত। এটি চালু হলে চিকিৎসকরাই উপকৃত হবেন। পেশার মানও বাড়বে। সমতা নিশ্চিত হবে। চিকিৎসা শিক্ষায় উচ্চতর কোর্সে অধ্যয়নরত প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকদের ভাতা ৫০ হাজার টাকা করা উচিত বলে মনে করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের সাবেক নির্বাচিত জিএস ডা. আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
জামায়াতের এই নেতা বলেন, উচ্চতর শিক্ষায় প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকদের যে ভাতা দেওয়া হয়, সেটি বর্তমান যুগের বিবেচনায় কম। প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকদের পরিবার-পরিজন আছে, তাদেরকে চালাতে হয়। এই ভাতা দিয়ে প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকদের চলতে কষ্ট হচ্ছে। উচ্চতর শিক্ষায় ভাতা আরও বাড়াতে হবে। এই ভাতার পরিমাণ অন্তত পক্ষে ৫০ হাজার টাকা করার দাবি জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, চিকিৎসকদের সুরক্ষায় আইন থাকতে হবে। এটির উপর জোর দিতে হবে।
চিকিৎসকদের নীতির উপর অবিচল থাকার উপদেশ দিয়ে ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, মানুষ যখন জানবে এই চিকিৎসক জামায়াত করে, তখন মানুষ বুঝে নেবে এই চিকিৎসক ইথিক্যাল প্র্যাক্টিস করে। কখনও অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা দেয় না। এই চিকিৎসক রোগীর কথা মনোযোগ দিয়ে শোনে। নীতি-নৈতিকতার উপর অবিচল থাকে। রোগী থাক, আর না থাক নৈতিকতা বিসর্জন দেয় না।
- আরও পড়ুন
- হিন্দু ভাইদের উসকানি দিচ্ছে আ’লীগের লোকজন: জামায়াত সেক্রেটারি
- জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের স্বাধীনতা ছিনিয়ে নেবে না
চিকিৎসকদের সামাজিক ও সংস্কারমূলক কর্মকাণ্ডে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, মনে রাখতে হবে, আমাদের টার্গেট শুধু হাসিনার পতন নয়, ৫৬ হাজার বর্গমাইলের এই বাংলাদেশকে নতুন আঙ্গিকে গড়ে তোলা। নতুন এই বাংলাদেশ গড়ে তোলায় এনডিএফকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। চিকিৎসক জাতিকে নিয়েই এই কাজ করতে হবে।
এনডিএফের সহ-সভাপতি ডা. আতিয়ার রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল, এনডিএফ সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম, এনডিএফ সেক্রেটারি অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হোসেন প্রমুখ।
এএএম/এসএইচএস/এএসএম