ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

ভারতের উচিত আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে শ্রদ্ধা করা: রিজভী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০২:০৪ পিএম, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শেখ হাসিনার ১৬-১৭ বছরের শাসনে কেউ একটি শব্দ করতে পারতো না। বাংলাদেশের মানুষ কি চাইতো আর চাইতো না সেটা শেখ হাসিনা ধার ধারতো না। মানুষের পিঠ দেওয়ালে এমনভাবে ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন যে মানুষ তার জীবনের মায়া না করে তার পতনের জন্য ঐক্যবদ্ধ ভাবে রাস্তায় নেমেছিল।

শনিবার (৭ মেপ্টেম্বর) শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত জিয়াউর রহমানের মাজারে নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পুষ্পার্ঘ অর্পণ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, যারা নিজের দেশের জনগণের ওপর অত্যাচার করে, হত্যা করে, আয়না ঘর বানিয়ে বছরের পর বছর মানুষকে আটকে রাখে তারা দেশ পরিচালনা করবে কীভাবে? কিছুদিন পুলিশ দিয়ে হত্যা গুম করে দেশ পরিচালনা করেছে। কিন্তু মানুষ তার জীবনের মায়া ত্যাগ করে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাস্তায় নেমে তাদের পতন করেছে। যেমনিভাবে ব্রিটিশদেরকে তাড়িয়েছে, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানিদের তাড়িয়েছে ঠিক তেমনি ৫ আগস্ট শেখ হাসিনাকে দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে।

রিজভী বলেন, ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দেশের বিভিন্ন কমান্ডোদের সঙ্গে বৈঠক, এটা উদ্বেগজনক নয়। এটা উসকানি কি না জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। আপনারা (ভারত) কি নববধূকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য, তার জমিদারী পুনরুদ্ধারের জন্য কাজ করছেন। তাহলে প্রতিরক্ষামন্ত্রী এভাবে কথা বলছে কেন?

ভারতের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ দেশ থেকে এক দানবকে তাড়িয়ে মুক্ত বাতাসে চলাফেরা করছে। আমি যে গ্রেফতার হতে পারি গুম হতে পারি এই শঙ্কা আর নাই। এখন মানুষ স্বাধীনভাবে চলাফেরা করছে, শান্তিতে ঘুমাতে পারছে। এটা কি আপনারা চাচ্ছেন না? বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরে আসুক, মানুষ শান্তিতে থাকুক এটা কী ভারতের নীতি নির্ধারকরা পছন্দ করে না?

নাকি এসব মেনে নিতে পারছে না? শেখ হাসিনা আজ বাংলাদেশে নাই এই কষ্ট কী ভারতের নীতি নির্ধারকরা মেনে নিতে পারছে না? আমরা যেমন ভারতের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে শ্রদ্ধা করি। ভারতের উচিত আমাদের স্বাধীনতা সর্বভৌমত্বকে শ্রদ্ধা করা।

ভারতের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, কোনো দল বা ব্যক্তির প্রতি যদি আপনাদের যোগাযোগ থাকে তাহলে বাংলাদেশের মানুষ এটা ভালোভাবে মেনে নেবে না। বাংলাদেশের জনগণ যেমন দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতন সহ্য করতে পারে তেমনি বিদেশি হানাদারদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ এবং তেজ দেখাতে জানে। বাংলাদেশ যে একটি বীরের জাতি এটা ভারতের মাথার মধ্যে কিন্তু রাখতে হবে।

বিএনপির সহ-নার্সেসবিষয়ক সম্পাদক ও ন্যাব সভাপতি জাহানারা বেগমের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকূল ইসলাম, সদস্য মো. মাহবুবুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার ইকবালুর রহমান রোকন, ন্যাব সাধারণ সম্পাদক মো. সুজন মিয়া, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আরিফুর রহমান তুষার, কেন্দ্রীয় ছাত্রদল সহ-সভাপতি ডা. আউয়াল, ন্যাব নেতা মাহমুদ হোসেন তমাল, শাহীনুর রহমান, মর্জিনা আক্তার, মমতাজ বেগম, বিএম রাশেদুল ইসলামসহ আরও অনেকে।

কেএইচ/এসএনআর/জিকেএস