ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

নষ্ট রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে ফিরতে চাই না: সোহেল তাজ

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৪:০২ পিএম, ২৯ আগস্ট ২০২৪

দেশের বর্তমান পচা, নোংরা ও নষ্ট রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে ফিরতে চান না বলে জানিয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ।

তিনি বলেন, আমার কথা স্পষ্ট। আমি বারবার বলেছি, আমার রাজনীতিতে আসার কোনো সম্ভাবনা নেই। এই পচা, নোংরা ও নষ্ট রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে ফিরতে চাই না।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করে নিজের নিরাপত্তাজনিত বিষয়ে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।

গতকাল বুধবার দিনগত গভীর রাতে ফেসবুকে এক পোস্টে সোহেল তাজ অভিযোগ করেন, গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা তাকে অনুসরণ এবং পথরোধ করেছে। পোস্টের সঙ্গে সেই সন্দেহভাজন ব্যক্তির ছবিও প্রকাশ করেন সোহেল তাজ। সেই পোস্টে ‘হয়রানির শিকার’ হওয়ার অভিযোগ করে প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং সেনাবাহিনী প্রধানের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

এ নিয়েই আজ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেন সোহেল তাজ। সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমি মনে করি কোনো রাজনৈতিক দলের ওপরই প্রতিহিংসা বা নিপীড়ন করা সঠিক না। সেটা যে দলেরই হোক। এখানে অনেক নিরীহ নেতাকর্মী আছে। তাদের ওপর অত্যাচার ও নিপীড়ন করার নিন্দা জানাচ্ছি।

আরও পড়ুন

সোহেল তাজ বলেন, আমি আওয়ামী লীগসহ অন্য দলগুলোকে বলতে চাই, ভবিষ্যতে এগিয়ে যেতে হলে একটু আত্মসমালোচনা ও আত্মোপলব্ধি করাটা খুব প্রয়োজন।

তিনি বলেন, অনেক আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে ছাত্র-জনতা একটি পরিবর্তনের জন্য শত শত প্রাণের বিনিময়ে আজকের অন্তবর্তীকালীন সরকার এনেছে। এই সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা অনেক বেশি। আমরা চাই একটি গণতান্ত্রিক, সমৃদ্ধশালী ও প্রগতিশীল বাংলাদেশ। আমাদের বংশধর, নাতি-নাতনিসহ সবাই যেন একটি সুন্দর বাংলাদেশ পায় সে প্রয়াসেই এই আত্মত্যাগ। ছাত্র জনতার এই অভ্যুত্থান।

সাবেক এই স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে এই সরকারের সাফল্য কামনা করছি। আমি মনে করি যে কোনো ভালো কাজ কিংবা রাষ্ট্র সংস্কারের কাজের জন্য আইন-শৃঙ্খলার উন্নতি করা বড় একটি অংশ। সুশাসন পেতে হলে আইনের শাসন জরুরি। আমি ব্যক্তিগতভাবে আমার একটি বিষয় নিয়ে এখানে এসেছি। আমাকে বেশ কিছুদিন যাবত বিভিন্ন মহল থেকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমার প্রাণের ওপর হুমকি এসেছে।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন আমি একজন কর্মঠ মানুষ। প্রতিদিন আমাকে কাজ করতে হয়। গতকাল (বুধবার দিনগত মধ্যরাতে) আমি যখন কাজ শেষে আমার ডিওএইচএস-এর বাসায় ফিরছিলাম তখন একটি মোটরসাইকেল আমাকে ছায়ার মত ফলো করে। আমি যখন সেনানিবাস দিয়ে ঢুকি তখন ওই মোটরসাইকেলের চালক আমাকে থামতে বলেন। আমি দেখি তার শার্টে লাল-নীল লাইট জ্বলছে। তিনি আমাকে ইশারা করছেন থামতে। আমি বুঝতে পারছিলাম না তিনি কে।

সেই মুহূর্তের বর্ণনা দিয়ে সোহেল তাজ সাংবাদিকদের আরও বলেন, আমাকে থামানোর পর আমি তাকে অনেকবার জিজ্ঞেস করি আপনি কে? আপনার পরিচয় কী? আমাকে কেন থামতে বলেছেন? উনি বারবার আমাকে বলছেন- ‘আমাদের লোক আসবে। আপনার থামতে হবে।’ একপর্যায়ে আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম আপনি কি আমাকে চিনতে পেরেছেন? তিনি বললেন ‘হ্যাঁ, আপনি সোহেল তাজ।’ এরপর আমি আরও পাজলড হয়ে গেলাম। এরপর আমি তাকে ফোনে বলতে শুনেছি- ‘উনি জাহাঙ্গীর গেট দিয়ে ঢুকে গিয়েছেন। আপনারা এখানে এই লোকেশনে আসেন।’

আরও পড়ুন

‘আমি বারংবার তার পরিচয় জানতে চাইলাম। তিনি কোনো সদুত্তর দিলেন না। এরপর আবার ফোনে কথা বলে আমাকে বললেন- ‘আপনি চলে যেতে পারেন।’ আমি যেটা উপলব্ধি করতে পেরেছি সে যে ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলছিল তারা অন্য স্থানে অবস্থান নিয়েছিল। তারা ভেবেছিল আমি হয়তো মহাখালী দিয়ে যাবো’- বলেন সোহেল তাজ।

তিনি বলেন, আমি মনে করছি এখানে একটি অঘটন ঘটাবার পরিকল্পনা ছিল। আমি আজকে এই বিষয়গুলো স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে অবহিত করতে এসেছি। আমি মনে করি বাংলাদেশের সব নাগরিকের ব্যক্তি নিরাপত্তার অধিকার আছে। আমি তাকে বলেছি আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন অতি দ্রুত উন্নতি করেন। তিনি এ বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন।

সোহেল তাজ বলেন, আমি বর্তমানে সাধারণ নাগরিক হলেও আমার একটি পরিচয় আছে। সেই পরিচয়ের জায়গা থেকে অনেক মহলের অনেক কিছু করার প্রয়াস থাকতে পারে।

আইএইচআর/এমকেআর/এমএস