ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

সেন্টমার্টিন আক্রান্ত হলে জবাব দেবো: কাদের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৩:৪৪ পিএম, ১৫ জুন ২০২৪

সেন্টমার্টিনে মিয়ানমারের গোলাগুলি নিয়ে দেশটির সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, যুদ্ধ পরিহার করে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা চলছে এবং চলবে। তবে আক্রান্ত হলে জবাব দেওয়া হবে।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ কিছু সংকট আছে। তাদের ৫৪টি নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী রয়েছে। তাদের নিজেদের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। তাদের অভ্যন্তরীণ সংকটে আমরা যদি ভুক্তভোগী হই (সাফার করি) তাহলে সেটা হবে অত্যন্ত দুঃখজনক। সেখানে সরকারে আছে সামরিক শাসক। আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করছি। তবে আমরা আক্রান্ত হলে সে আক্রমণের জবাব দেবো। আমাদের খাটো করে দেখার কিছু নেই। আমরা প্রস্তুত আছি।

আরও পড়ুন

রোহিঙ্গা সমস্যা বাংলাদেশের ওপর জেঁকে বসেছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, মানবিক কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদারভাবে সীমান্ত খুলে দিয়েছিলেন। এজন্য তাকে মানবতার মা বলা হয়। এখন বিশ্বের বড় বড় দেশ ও সংগঠন এজন্য আমাদের প্রশংসা করে। কিন্তু রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনে যে সাহায্য তার পরিমাণ কমে গেছে। অর্থনৈতিক চলমান সংকটে আমরা চিন্তায় আছি। ১০-১২ লাখ রোহিঙ্গা বাড়তি চাপ সৃষ্টি করে আছে। এখন দরকার আমাদের কাঁধ থেকে রোহিঙ্গাদের বোঝা নামিয়ে ফেলা। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী যেখানেই যান সবার আগে রোহিঙ্গা প্রসঙ্গ উপস্থাপন করেন।

এসময় সড়কে যানজট নিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, কিছু কিছু জায়গায় যানজট হলেও কোথাও ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়নি।

তিনি বলেন, এবারের ঈদটা ভিন্ন। পশুবাহী গাড়ি, সড়কের পাশে পশুর হাট একটা সমস্যা। রাস্তা কোনো সমস্যা নয় যানজটের জন্য। এবার সড়কে অনেক বেশি যানবাহন। যানবাহনের ভিড়টা অনেক বেশি। কোথাও কোনো যানজট হচ্ছে না অস্বীকার করে লাভ নেই। কিন্তু ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়নি। আশা করি সামনের দিনগুলো ভালো যাবে। আজ এবং আগামীকাল গার্মেন্ট ছুটি হলে চাপটা বাড়তে পারে।

‘যে কোনো সময় সরকারের পতন হবে’- বিএনপির এমন দাবি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এককথায় বলবো এটা তাদের দিবাস্বপ্ন। সরকার পরিবর্তন হয় গণঅভ্যুত্থানে, অথবা নির্বাচনে। ২০২৪ এর ৭ জানুয়ারিতে নির্বাচন হয়ে গেল। গণঅভ্যুত্থানে সরকারের পতন ঘটবে এটা হাস্যকর। তাদের নেতাকর্মীরাই তো আন্দোলনে শামিল হয় না। তাদের নেতাকর্মীরা আন্দোলনের মানসিকতায় নেই। আর জনগণ যে আন্দোলনে সম্পৃক্ত থাকে না সেটা কখনো গণঅভ্যুত্থান হতে পারে না। এদেশে একমাত্র গণঅভ্যুত্থান ৬৯ সালে হয়েছে। এরপর আর কোনো অভ্যুত্থান হয়নি। ৯০ এ গণআন্দোলন হয়েছে গণঅভ্যুত্থান নয়। যে আন্দোলনে স্বৈরাচার এরশাদের পতন হয়েছে।

আরও পড়ুন

মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর বাংলাদেশকে নিয়ে সাম্প্রতিক মন্তব্য প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের সংবিধান অনুসরণ করি, সংবিধান অনুযায়ী চলবো। ডোনাল্ড লু কোথায় কী বললেন সেটা নিয়ে আমাদের মাথা ঘামানোর প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। তারা কোন সময় কোন বিষয়কে নিয়ে নিন্দা করে আবার প্রশংসা করবে সেটা তাদের বিষয়। আমরা আমাদের নীতিমালার আলোকে সংবিধানকে অনুসরণ করে এগিয়ে যাবো।

প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, সুজিত রায় নন্দীসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতারা।

এসইউজে/জেডএইচ/জেআইএম