কাদের সাহেব কি ডানে বামে তাকিয়ে কথা বলছেন

সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ এবং সাবেক পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির দায় সরকার এড়াতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

মঙ্গলবার (৪ জুন) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

সরকারের উদ্দেশে রুহুল কবির রিজভী বলেন, বেনজীর যখন বন্দুকের ভাষায় কথা বলতেন তখন তো আপনারা তাকে অস্বীকার করেননি। বেনজীর-আজিজদের দুর্নীতির দায় আপনারা কখনই এড়াতে পারবেন না। তাদের দুজনের দুর্নীতির দায় সরকারের এবং রাষ্ট্রের।

রিজভী আরও বলেন, দেশে কোনো আইনি প্রক্রিয়া নেই। সবই আওয়ামী প্রক্রিয়া, সব গোপালগঞ্জ প্রক্রিয়ায় বিএনপি নেতাকর্মীদের কারাগারে নেওয়া হয়, সাজা হয়।

‘আজিজ-বেনজীর আওয়ামী লীগের কেউ নয়’ ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের বিষয়ে রিজভী বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব আজই বলেছেন— আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের কেউ দুর্নীতিবাজ নয়’। ওবায়দুল কাদের সাহেবকে বলতে চাই— আপনি কি ডানে বামে তাকিয়ে কথা বলছেন? নাকি আপনাদের স্বভাবসুলভ ডাহা মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন? আপনার কথাই যদি ঠিক হয়, তবে আপনাদের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ১৫ মামলা হয়েছিল কীভাবে? এছাড়া অসংখ্য আওয়ামী শীর্ষ নেতাদের নামে কীভাবে মামলা হয়েছিল?

ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, শীর্ষ নেতা মরহুম আব্দুল জলিল, শেখ সেলিম, আপনি নিজে এবং আপনাদের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী নেতারা গোয়েন্দাদের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছিলেন, সেটি কিন্তু এখনো অনলাইন মিডিয়াতে ভাইরাল। ব্যাংক খালি হওয়া, লাখ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়ে যাওয়া, আওয়ামী ঘনিষ্ঠ বিপুল অংকের ঋণখেলাপি, নজিরবিহীন আর্থিক কেলেঙ্কারির সঙ্গে যারা জড়িত তারা কি তাহলে আওয়ামী লীগের মাঝারি নেতা?

‘আপনার কথায় মনে হয়, মাঝারি নেতাদের দুর্নীতি করার অধিকার রয়েছে। আপনাদের কর্মচারীদের হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির খবর বের হচ্ছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বেনজীর যখন বন্দুকের ভাষায় কথা বলতেন তখন তো তাকে অস্বীকার করেননি।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, দলের স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শরাফত আলী সপুসহ সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, নির্বাহী কমিটির সদস্য তারিকুল আলম তেনজিং, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আবদুর রহিম প্রমুখ।

কেএইচ/জেডএইচ/জেআইএম