ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

ঈদের পর কর্মসূচি দেবে ১৪ দল

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৫:০১ পিএম, ০৪ জুন ২০২৪

ঈদুল আজহার পর ১৪ দলের ব্যানারে কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামার ঘোষণা দিয়েছেন জোটের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু।

তিনি বলেন, জোটে গোলমাল তৈরি হয়েছে, তা দ্রুতই নিরসন করা হবে। জোটের সমস্যা সমাধানে ঈদের আগে আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করা হবে। ১৪ দলীয় জোট ঐক্যবদ্ধ থাকবে এবং ঈদের পরে জোটগতভাবে ইতিবাচক কর্মসূচি দেওয়া হবে।

মঙ্গলবার (৪ জুন) রাজধানীর ইস্কাটনে নিজ বাসায় জোটের বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

আমির হোসেন আমু বলেন, বিগত নির্বাচন কেন্দ্র করে নিজেদের মধ্যে যেটুকু গোলমাল তা নিরসন করার জন্য শিগগির আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক হবে। সেগুলো নিরসন করে ঈদের পর থেকে আমরা ইতিবাচক কর্মসূচি গ্রহণ করবো। তার মাধ্যমে এগিয়ে যাবো।

জোটের ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণে আজকের (মঙ্গলবার) বৈঠক হয়েছে উল্লেখ করে আমির হোসেন আমু বলেন, আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই- ১৪ দল সাম্প্রদায়িক শক্তি ও আন্তর্জাতিক বলয়ের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে একটি আদর্শিক জোট। এটি কোনো চাওয়া-পাওয়ার জোট নয়। সেই আদর্শের জোট হিসেবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করে যাচ্ছি।

আজকে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করার জন্য শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৪ দল আছে, থাকবে এবং ঐক্যবদ্ধভাবে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করবে। কারণ, আমরা মনে করি আদর্শিক যে সংঘাত, সেই সংঘাতের বিপক্ষ শক্তি শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে চক্রান্তে লিপ্ত। সেটা মোকাবিলা করা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিষয়ে তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয় সিন্ডিকেট আছে, তার কারণে এটি হচ্ছে। যদি সিন্ডিকেট থেকে থাকে, সরকারের জানা থাকলে তাদের বিষয়ে সক্রিয় ও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। যেন জনগণ দ্রব্যমূল্য নিয়ে যে অসুবিধায় আছে তার সুরাহা হয়।

আগামী দিনে জোটের ঐক্যবদ্ধ থাকার ঘোষণা দিয়ে আমু বলেন, আপনারা (সাংবাদিক) স্থির থাকতে পারেন, ১৪ দল ছিল, আছে এবং থাকবে। যে শক্তির বিরুদ্ধে ১৪ দল গঠিত হয়েছিল, সেই শক্তি এখনো তৎপর, ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকা উচিত এবং থাকবো।

এক প্রশ্নের জবাবে বর্ষীয়ান এ রাজনীতিক বলেন, পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে সরকার তৎপর। এ ব্যাপারে আমাদের বক্তব্যের প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। এটি রাজনৈতিক ব্যাপার না।

দায়িত্বে থাকাকালীন এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এত বড় দুর্নীতির অভিযোগ কীভাবে দেখেন- এমন প্রশ্নে আমির হোসেন আমু বলেন, দুর্নীতির অভিযোগ সরকার গঠন করবে, সরকার প্রমাণ করবে। দুর্নীতি করলে সেটি প্রমাণ হবে, শাস্তি হবে। জোটগতভাবে আমাদের কোনো মন্তব্য আছে বলে মনে করি না।

আপনারা বিব্রত কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা বিব্রত না। কারণ, মানুষের জীবনে অনেক কিছু ঘটে, দেশের মধ্যে অনেক কিছু ঘটে। ব্যক্তিগতভাবে কেউ দুর্নীতি করে এবং ধরা পড়লে তার জন্য আমাদের বিব্রত হওয়ার কারণ নেই। যারা দোষী, ধরা পড়বে, শাস্তি পাবে। তার জন্য আমরা বিব্রত হবো কেন?

ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সবসময় ১৪ দল অবস্থান নিয়েছে। এবারও যে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান সুস্পষ্ট। এই দুর্নীতি রোধ করতে না পারলে সরকারের যে অর্জন তা ক্ষুণ্ন হবে। সেটা বেনজীর হোক বা আজিজ।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় পার্টি-জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন ও আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

এসইউজে/এমকেআর/জেআইএম