ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

উপজেলা নির্বাচন কি প্রভাবমুক্ত হলো?

সালাহ উদ্দিন জসিম | প্রকাশিত: ০৬:৪১ পিএম, ০৯ মে ২০২৪

জাতীয় নির্বাচনের অভিজ্ঞতা থেকে উপজেলা নির্বাচন প্রশ্নাতীত করতে চেয়েছে আওয়ামী লীগ। অংশগ্রহণমূলক করতে সরে এসেছে দলীয় প্রতীক ব্যবহার থেকে। দলীয় প্রভাবমুক্ত রাখতেও মন্ত্রী, এমপি ও নেতাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়। তবু কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি ছিল কম, লড়েছেন মন্ত্রী-এমপির স্বজনরা। হামলা, জালভোট, ভয়ভীতি প্রদর্শন সবই ছিল। এতকিছুর পর প্রশ্ন উঠছে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট কি প্রভাবমুক্ত হলো?

আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচন প্রভাবমুক্ত রাখতে নির্দেশনা দেন। দলের শীর্ষ নেতারাও বলছেন ‘আত্মীয়-স্বজনের কালচারটি ভয়ঙ্কর।’ কেউ কেউ আবার এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি নন। পুরোপুরি প্রভাবমুক্ত নির্বাচন হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন কোনো নেতা।

চার ধাপের উপজেলা নির্বাচনে প্রথম ধাপে বুধবার (৮ মে) ১৩৯টিতে ভোট হয়। ৫৭টি ফলাফল জাগো নিউজের হাতে এসেছে। এর মধ্যে ৪৯ উপজেলায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী।

উপজেলা নির্বাচনের ইতিহাসে এবারই সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে। এই ভোটের হার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চেয়ে কম। দিনব্যাপী ভোটারশূন্য কেন্দ্রগুলোর চিত্র বেশি এসেছে গণমাধ্যমে। এমনকি প্রার্থীরাও লাইভে দেখিয়েছেন, ভোটার নেই। এরই মধ্যে নানান জায়গায় প্রতিপক্ষের ওপর হামলা, কেন্দ্র দখল, জালভোট দেওয়া, পলিং এজেন্ট বের করে দেওয়াসহ নানান অভিযোগ আসে। এমনকি জালভোট দেওয়া প্রিসাইডিং কর্মকর্তা গ্রেফতার, তিন নির্বাচন কর্মকর্তা আটক ও এজেন্টকে কারাদণ্ড দেওয়ারও খবর পাওয়া গেছে।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর এ নিয়ে চতুর্থবার উপজেলা নির্বাচন হচ্ছে। প্রথমবার ৬৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ ভোট পড়েছিল। এরপর ২০১৪ সালে চতুর্থ উপজেলা নির্বাচনে ভোট পড়ে ৬১ শতাংশ। সবশেষ ২০১৯ সালের পঞ্চম উপজেলা নির্বাচনে গড়ে ৪১ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছিল। ২০২৪ সালে প্রথম ধাপের নির্বাচনে ভোট পড়েছে মাত্র ৩৬ শতাংশ।

 

দলের নেতাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা সব সময় প্রকাশ হয় না, অপ্রকাশিত ব্যবস্থা গ্রহণের অনেক পদ্ধতিও প্রয়োগ হয়। সুতরাং, নির্দেশ অমান্য করার যথাযথ শাস্তি প্রয়োগ হবে সময়ের ধারবাহিকতায়।- আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন

 

বিএনপি-জামায়াতের মতো বড় বিরোধী দলগুলোর নির্বাচন বর্জনের মধ্যেও ক্ষমতাসীন মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের প্রভাবমুক্ত রাখা ছিল আওয়ামী লীগের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। অনেকটা নিজ দলের প্রার্থীদের মধ্যেই নির্বাচন হলেও অভিযোগ কম ছিল না। কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন অভিযোগ করেন, ‘কোনো কেন্দ্রে ভোটার নেই। আমি লাইভে দেখিয়েছি। সবাই আতঙ্কিত। ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে। আমার লোকদের ওপর হামলা করা হয়েছে। দু-একটা কেন্দ্র ছাড়া কোথাও আমার পলিং এজেন্ট দিতে দেয়নি। তারা দখল করে নিয়েছে। আমি এই নির্বাচন মানি না। পুনরায় নির্বাচন চাই। প্রয়োজনে নির্বাচন কমিশন বা হাইকোর্টে যাবো।’

এ নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল হক জাগো নিউজকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করবো না।’

ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ও কেরানীগঞ্জ মডেল থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন (বিপ্লব) অভিযোগ করেন, ‘শুভাঢ্যার ১, ২, ৩, ৫, ৭ নম্বর কেন্দ্রে দুপুর আড়াইটা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত জালভোট মারা হয়েছে। বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে আমার এজেন্টদের বের করে দিয়েছে। কয়েকবার জানানোর পরও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় পরিস্থিতি মোটামুটি ভালো থাকলেও, কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ থানায় প্রশাসনের কোনো সহযোগিতা পাইনি। যদি সিল-মারামারি না হতো, তাহলে ইনশাল্লাহ ভালো রেজাল্ট পেতাম।’

আরও পড়ুন

খোদ নিজ দলের প্রার্থীদেরই এমন অভিযোগ। এমন অবস্থায় নির্বাচন প্রভাবমুক্ত হয়েছে কি না? জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট এলাকার এমপি ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমি এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করবো না, স্যরি।’

একই অবস্থা দেশের বিভিন্ন উপজেলায়। প্রভাবশালীদের প্রভাবে ভয়ভীতি, কেন্দ্র দখল ও হামলার ভেতর দিয়েই অনুষ্ঠিত হয়েছে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচন।

তবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দাবি করেন, উপজেলা নির্বাচনে প্রথম পর্যায়ে কোথাও ক্যাজুয়ালিটি নেই, প্রাণহানির ঘটনা নেই। কিছু জায়গায় বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে, কিছু আহত হয়েছে, কিন্তু প্রাণহানির ঘটনা নেই। নির্বাচন কমিশন বলেছে, ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ভোটার উপস্থিতি। এ পরিস্থিতিতে আমি মনে করি ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক।

 

আত্মীয়-স্বজনের কালচারটি ভয়ঙ্কর। এটা পরিবর্তন করতে হবে। এটা ডার্টি চিন্তা-ভাবনা। এতে ক্ষমতা করায়ত্ত করা হয়। বারবার মেসেজ দেওয়া হচ্ছে মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনরা যেন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে না দাঁড়ায়, অনেকেই সেই অবস্থান থেকে ফিরে এসেছেন। যারা আসেননি তাদের বিষয়ে দল সিদ্ধান্ত নেবে।- আবদুর রহমান

 

তিনি বলেন, এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরাই বেশি জিতেছে। অন্য দলের হিসাবটা পরে দিতে পারবো। আমরা মনে করি ভোটার টার্ন আউট সন্তোষজনক। প্রাণহানি নেই নির্বাচনে- এটাকে শান্তিপূর্ণই বলতে হবে। নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন খুবই দৃঢ় অবস্থা নিয়েছে। দলে নেতাকর্মীরাও যথাযথ দায়িত্ব পালন করেছে। যে কারণে প্রথম ধাপে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।

স্বজনদের প্রভাব নিয়ে যা বলছে আওয়ামী লীগ

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন জাগো নিউজকে বলেন, ‘দলের চেয়ে দেশ বড়। দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচনটি অবাধ, নিরপেক্ষ, উৎসবমুখর ও অর্থবহ করার স্বার্থে আওয়ামী লীগ এই মুহূর্তে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। দলের নেতাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা সব সময় প্রকাশ হয় না, অপ্রকাশিত ব্যবস্থা গ্রহণের অনেক পদ্ধতিও প্রয়োগ হয়। সুতরাং, নির্দেশ অমান্য করার যথাযথ শাস্তি প্রয়োগ হবে সময়ের ধারবাহিকতায়।’

‘দলীয় নির্দেশের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে অনেক মন্ত্রী-এমপির জনপ্রিয় স্বজনরা পরের ধাপগুলোতে মনোনয়ন জমা দেননি। এটিও একটি অর্জন। পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়ায় মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের অংশগ্রহণ খুব সামান্য।’

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আবদুর রহমান বলেন, ‘আত্মীয়-স্বজনের কালচারটি ভয়ঙ্কর। এটা পরিবর্তন করতে হবে। এটা ডার্টি চিন্তা-ভাবনা। এতে ক্ষমতা করায়ত্ত করা হয়। এর মানে হলো এগুলো অন্য মতলব থেকে করা। এটা না থাকাই ভালো। বারবার মেসেজ দেওয়া হচ্ছে মন্ত্রী এবং এমপিদের আত্মীয়-স্বজনরা যেন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে না দাঁড়ান, অনেকেই সেই অবস্থান থেকে ফিরে এসেছেন। যারা আসেননি তাদের বিষয়ে দল সিদ্ধান্ত নেবে।’

দলীয় নির্দেশনা অনুযায়ী নির্বাচন প্রভাবমুক্ত করা গেলো কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী জাগো নিউজকে বলেন, ‘অবশ্যই প্রভাবমুক্ত হয়েছে। অনেক জায়গায় এমপির প্রার্থী হেরেছে। ব্যতিক্রমও হয়েছে। কিছু জায়গায় এমপিদের সন্তান, স্বজন পাস করেছে। তবে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, প্রতিযোগিতামূলক ও শান্তিপূর্ণ করার টার্গেট ছিল আমাদের। জাতিরও প্রত্যাশা ছিল, সেটি হয়েছে।’

উপজেলা নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীদের পরিবারের সদস্যদের অংশ নিতে নিষেধ করার বিষয়ে গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের কথা হচ্ছে নির্বাচন যেন প্রভাবমুক্ত হয়। মানুষ যেন স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারে, আমাদের লক্ষ্য। সবকিছু নিজেরা নিয়ে নেবো, আমার নেতাকর্মীদের জন্য কিছু রাখবো না, এটা হয় না। সেই কথাটা আমি বলতে চেয়েছি। সবাই দাঁড়িয়েছে, নির্বাচন করছে, সেটার লক্ষ্য হলো নির্বাচন অর্থবহ করা।’

নির্বাচিতদের অধিকাংশই আওয়ামী লীগ নেতা ও স্বজন

১৩৯টি উপজেলার মধ্যে ৫৭টি ফলাফলে ৪৯টি উপজেলায় আওয়ামী লীগের নেতারাই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এর বাইরে জনসংহতি সমিতি–সমর্থিত দুজন, জাতীয় পার্টির দুজন নেতা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত এক নেতা ও ইসলামী আন্দোলনের বহিষ্কৃত একজন নেতা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এর বাইরে বিজয়ী দুজন চেয়ারম্যান কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন।

জানা যায়, মাদারীপুর সদরে চাচাকে হারিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের ছেলে আসিবুর রহমান খান, নোয়াখালীর সুবর্ণচরে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরীকে হারিয়েছেন সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীর ছেলে আতাহার ইশরাক ওরফে শাবাব চৌধুরী, বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নানের ছেলে ও পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য মোহাম্মেদ সাখাওয়াত হোসেন। সোনাতলায় চেয়ারম্যান পদে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নানের ছোট ভাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিনহাদুজ্জামান লিটন। 

পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন সংসদ সদস্য শ ম রেজাউল করিমের ছোট ভাই এস এম নূরে আলম সিদ্দিকী শাহীন, পিরোজপুর সদরে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এস এম বায়েজিদ হোসেন ও ইন্দুরকানিতে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউল আহসান গাজী বিজয়ী হয়েছেন।কুমিল্লার লাকসাম ও মনোহরগঞ্জ উপজেলায় স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলামের শ্যালক মোহাব্বত আলী এবং ভাতিজা আমিরুল ইসলাম ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় নির্বাচিত হয়েছেন দর্শনা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য আলি আজগারের সহোদর মো. আলি মুনছুর। জীবননগরে চেয়ারম্যান পদে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান।

দিনাজপুরের হাকিমপুরে কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কামাল হোসেন, জয়পুরহাটের কালাইয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিনফুজুর রহমান, ক্ষেতলালে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. দুলাল মিয়া সরদার ও আক্কেলপুরে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. মোকছেদ আলী মাস্টার নির্বাচিত হয়েছেন।

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান, কলমাকান্দায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক আবদুল কুদ্দুছ, জামালপুর সদর উপজেলায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ ও পাবনার সুজানগরে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আবদুল ওহাব।

রাঙামাটি সদর উপজেলায় জনসংহতি সমিতি সমর্থিত অন্ন সাধন চাকমা ও বরকল উপজেলায় একই দলের বিধান চাকমা বিজয়ী হয়েছেন। লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের চরকাদিরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইসলামী আন্দোলনের বহিষ্কৃত নেতা মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ ও রামগতিতে নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা ও বর্তমান চেয়ারম্যান শরাফ উদ্দীন আজাদ।

এছাড়া নওগাঁ, ফরিদপুর, চট্টগ্রাম, ঝিনাইদহ, লক্ষ্মীপুর, দিনাজপুর, হবিগঞ্জ, সিলেট, গোলাপগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, পঞ্চগড়, রাজবাড়ীর উপজেলাগুলোতেও নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদধারী নেতা।

এসইউজে/এএসএ/জিকেএস