প্রধানমন্ত্রী বুঝতে পেরেছেন তার যাওয়ার সময় হয়েছে: দুদু
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুঝতে পেরেছেন তার যাওয়ার সময় হয়েছে- এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
সম্প্রতি দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী দখলদার প্রধানমন্ত্রী, আইনের ভাষায় তিনি প্রধানমন্ত্রী নন। তিনি দাবি করেছেন তাকে উৎখাত করা হবে, অর্থাৎ তিনি বুঝতে পেরেছেন তার যাওয়ার সময় হয়েছে। তিনি এটা বুঝতে পারছেন, ফিল করছেন তাকে এখন যেতে হবে। কখন কীভাবে যাবেন তিনি যদি নির্ধারণ করেন তাহলে বিষয়টি সহজ হবে।’
শনিবার (৪ মে) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুন নবী খান সোহেল এবং নির্বাহী কমিটির সদস্য হাবিবুর রশিদ হাবিবসহ কারাবন্দি সব নেতাকর্মীর মুক্তির দাবিতে এ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়।
প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলে গত ১৫ বছরের যে জঞ্জাল, যে লুটপাট, যে নির্মমতা সেটার অবসান ঘটবে। তাহলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পথ সুগম হবে। একটা ভালো নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যারা জনপ্রিয়, জনগণ যাদেরকে চায় তাদেরকে তারা ক্ষমতা নিয়ে আসবে।’
বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কথায় মনে হচ্ছে বাংলাদেশে রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তিনি বলতে চাইছেন তারপরে কে (আসবেন)? এটাতো তার নির্ধারণ করার দরকার নেই। তার দল নির্বাচনে যাবে জনগণই নির্ধারণ করবে এই ফ্যাসিবাদের পরে কারা ক্ষমতায় এসে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করবে। এটা ভাবা যায় না সারা বিশ্বের কোনো রাজনৈতিক দলের দেড় লাখ মামলায় ৫০ লাখের অধিক বিরোধীদলের নেতাকর্মী আসামি। এটা ভাবা যায় না।’
আন্দোলনেই সফলতা আসবে দাবি করে দুদু বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতি এমন একটি পর্যায়ে চলে গেছে এর থেকে বেরিয়ে আসতে হলে আমাদেরকে আন্দোলন, আন্দোলন এবং আন্দোলন করতে হবে। এই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমাদের সফলতা আসবে। আন্দোলন চলছে, চলবে। এই ফ্যাসিবাদ সরকারকে আমরা যতদিন পর্যন্ত পরাজিত করতে না পারবো, পদত্যাগ করতে বাধ্য যতদিন পর্যন্ত আমরা করতে না পারবো- ততদিন আন্দোলন চলবে।’
তিনি বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এরশাদবিরোধী আন্দোলনের মহানায়ক। তিনি শুধু দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া নয়, সারা বিশ্বে তিনি গণতন্ত্রের মাতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। আপনি তাকে মিথ্যা মামলায় দণ্ডিত করে সাজা দিয়েছেন এবং তার প্রাপ্য জামিন না দিয়ে দণ্ড দ্বিগুণ করেছেন। এখন তিনি কারাগারে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান যিনি গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছেন। মাঝেমধ্যে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা আমাদের দলের নেতার উদ্দেশ্যে বলেন সাহস থাকলে দেশে আসুন। আপনাদের যদি এতই সাহস হয়ে থাকে তাহলে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন দিন। বাপের বেটা যদি ওবায়দুল কাদের হয়ে থাকেন একটু আসেন না কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচন করি।’
প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের উপদেষ্টা নাজমুল হাসান। সংগঠনের সভাপতি সাইদুর রহমানের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, জাতীয় পার্টির (জাফর) মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন প্রমুখ।
কেএইচ/কেএসআর/জেআইএম
সর্বশেষ - রাজনীতি
- ১ আওয়ামী লীগকে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি বলার যৌক্তিকতা নেই: মঈন খান
- ২ দোসররা আওয়ামী লীগকে রক্ষার চেষ্টা চালাচ্ছে: জাতীয় নাগরিক কমিটি
- ৩ বাংলাদেশ পাকিস্তানও হবে না, আফগানিস্তানও হবে না: ডা. শফিকুর রহমান
- ৪ চট্টগ্রামকে ভারতের অংশ করার উসকানি, জামায়াতের নিন্দা
- ৫ বিএনপির ৩১ দফা নিয়ে যা ভাবছে রাজনৈতিক দলগুলো