ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

ঈদের আগে খালেদা জিয়াসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি রিজভীর

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০২:১৫ পিএম, ০৭ এপ্রিল ২০২৪

ঈদের আগেই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ফরমায়েশি সাজা বাতিল এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিও জানান তিনি।

রোববার (৭ এপ্রিল) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, সাজানো মিথ্যা মামলায় জর্জরিত বিএনপির তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত প্রায় সব নেতাকর্মী। কারও কারও বিরুদ্ধে চারশ থেকে পাঁচশ মামলাও রয়েছে। একদিকে মামলার চাপ আরেক দিকে ব্যবসা বাণিজ্যসহ সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে বিএনপির অনেক নেতাকর্মী। এছাড়াও এখনও যারা কারবান্দি রয়েছেন এমন নেতাকর্মীর সংখ্যাও কম নয়। কারাগারের চার দেয়ালের মধ্যে এবারও ঈদ করতে হচ্ছে দলটির অজস্র নেতাকর্মীকে। অবৈধ ও ডামি নির্বাচনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে রাজনৈতিক মামলায় বন্দি হন এসব নেতাকর্মী।

তিনি বলেন, পবিত্র রমজান প্রায় শেষ পর্যায়ে, আর দুই -তিন দিন পর উদযাপিত হবে মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে বড় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। কিন্তু ডামি নির্বাচনের ‘বাকশাল টু’ সরকারের ভয়াবহ দুঃশাসনে পড়ে এ পবিত্র রমজানেও নিদারুণ কষ্টে জীবনযাপন করছে সাধারণ মানুষ। নিত্যপণ্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি, গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানি সংকট তো আছেই। এছাড়াও অবৈধ সরকারের লুটপাটের অর্থনীতির কারণে দেশে দুর্ভিক্ষ ক্রমশ সম্প্রসারিত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে মানুষের মনে ঈদের কোনো আনন্দ নেই। বিশেষ করে মধ্যম ও স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য এবারের ঈদ সবচেয়ে নিরানন্দ ও বেদনাদায়ক।

রিজভী বলেন, গত বছরের ২৮ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী বিএনপির কর্মসূচি ঠেকাতে সারাদেশে গণহারে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। ওই সময় বিএনপির মহাসচিবসহ এবং অনেক শীর্ষ নেতাসহ প্রায় ২৬ হাজার নেতাকর্মীকে কারাগারে বন্দি করা হয়।

৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর বেশির ভাগের জামিনে মুক্তি মিললেও পরে আবারও নতুন মামলায় অনেককে কারাগারে পাঠানো হয়। ডামি নির্বাচন করতে একদিকে চলে গ্রেফতার নির্যাতন আরেকদিকে শুরু হয় নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুরোনো মামলার সাজার রায়। প্রায় একশ মামলায় কমপক্ষে ১৮শ নেতাকর্মীকে আদালতের মাধ্যমে সাজা দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, এখনও কারাবন্দি রয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, লায়ন আসলাম চৌধুরি, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, প্রকাশনা সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব, নির্বাহী কমিটির সদস্য লুৎফুজ্জামান বাবর, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, ২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী মিয়া নুরুদ্দিন অপু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও দিনাজপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আখতারুজ্জামান মিয়া, ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান, যশোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আজিজুর রহমান মুসাব্বির, ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি ইখতিয়ার রহমান কবির, স্বেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, যশোর জেলা বিএনপির সদস্য মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চসহ ৫১ জন, চিরিরবন্দর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরে আলম সিদ্দিকী নয়ন, সাভার উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাভার উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কফিল উদ্দিনসহ হাজারো নেতাকর্মী।

কেএইচ/এসএনআর/জেআইএম