ছদ্মবেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চাপিয়ে দিচ্ছে আওয়ামী লীগ: ফখরুল
ছদ্মবেশে গণতন্ত্রের কথা বলে আওয়ামী লীগ একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চাপিয়ে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, এই আওয়ামী লীগ ১৯৭৫ সালে এদেশের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে একদলীয় শাসন কায়েম করেছিল। আজকে আবার তারা ভিন্ন কায়দায় ছদ্মবেশে মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চাপিয়ে দিচ্ছে।
সোমবার নয়া পল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল এই সমাবেশের আয়োজন করে।
মির্জা ফখরুল বলেন, যে আকাঙ্ক্ষা আর স্বপ্ন নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। সেই আকাঙ্ক্ষা ছিল একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। গণমানুষেরা তারা তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করবে ভোটের মাধ্যমে। শান্তিতে বসবাস করতে পারবে, কথা বলতে ও লিখতে পারবে স্বাধীনভাবে। সেই আশা-ভরসা নিয়ে সারাদেশের মানুষ যুদ্ধকে সমর্থন দিয়েছিল।
তিনি বলেন, সংবিধানে স্পষ্ট বলা আছে দেশের মালিক জনগণ। কিন্তু ৫২ বছর পর সেই বাংলাদেশের মানুষ তার মালিকানা হারিয়ে ফেলেছে। ২০১৪ সালে নির্বাচনে কেউ অংশ নেয়নি, কেউ যেন নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে সেই ব্যবস্থা করেছিল সরকার এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, ২০১৮ সালে রাতে নির্বাচন করেছে। আর এবার এক নাটকীয় মাধ্যমে নিজেরা ডামি প্রার্থী দিয়ে নিজেরাই ভোট করেছে। বিরোধীদল হিসেবে যারা দাবি করে তাদেরও আসন কর্তন করা হয়েছে। এ নির্বাচন কেউ গ্রহণ করেনি। দেশের জনগণ ভোট দেয়নি। এমনকি বিশ্ব এই নির্বাচন গ্রহণ করেনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, একটি শাসকগোষ্ঠী এদেশের মানুষের বুকের ওপরে চেপে ধরে বসে আছে এমন মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, এদের কোনো নৈতিক অধিকার নেই, শাসনতন্ত্র ও সাংবিধানিক অধিকার নেই।
এরা ১৯৭৫ সালে এদেশের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে একদলীয় শাসন কায়েম করেছিল জানিয়ে তিনি বলেন, আজকে আবার ভিন্ন কায়দায় ছদ্মবেশে মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চাপিয়ে দিচ্ছে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
এছাড়াও বক্তব্য দেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদিন ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাৎ, সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান।
কেএইচ/এমআরএম/জেআইএম