ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

এম এ মান্নান

গ্রামের মানুষ গণতন্ত্র বোঝে না, তারা রাস্তা-চিকিৎসা-ভাত-রুটি চায়

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৪:০৮ পিএম, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

গণতন্ত্রে উন্নয়নই প্রধান বিষয় উল্লেখ করে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী ও জাতীয় সংসদের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এম এ মান্নান বলেন, গ্রামের মানুষ ‘গণতন্ত্র’ এসব টার্ম খুব একটা বোঝে না। তারা ভাত-রুটি, চিকিৎসা, রাস্তাঘাট, টয়লেট ও বিশুদ্ধ পানি চায়।

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এনইসি সম্মেলন কক্ষে ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের (ডিজেএফবি) পুরান কমিটির বিদায়, নতুন কমিটির অভিষেক ও নতুন সদস্যদের বরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

দেশের মানুষ উন্নয়ন চায় জানিয়ে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্রে উন্নয়নই প্রধান বিষয় এটা পরিষ্কার হয়ে গেছে। আমরা রাজনীতি করি ও সব সময় গ্রামের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করি। গ্রামের মানুষ গণতন্ত্র বা এসব টার্ম খুব একটা বোঝে না। গ্রামে যখন যাই, তখন তারা ভাত-রুটি, ছেলের চিকিৎসা ব্যবস্থা, রাস্তাঘাট, টয়লেট ও বিশুদ্ধ পানি চায়। গণতন্ত্র ও উন্নয়নের মধ্যে পার্থক্য নেই। গ্রামে গ্রামে এখন উন্নয়ন বিষয় চলে এসেছে। কবে একনেক হবে কি কি প্রকল্প অনুমোদন হলো এটা গ্রামের মানুষ জানতে চায়। গ্রামে চায়ের দোকানে প্রকল্প ও উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হয়। মেট্রোরেল-পদ্মাসেতু নিয়ে মানুষ আলোচনা করে। এ বিষয়ে মানুষ জানতে চায়।

‘গ্রামের মানুষ গণতন্ত্র বোঝে না, তারা রাস্তা-চিকিৎসা-ভাত-রুটি চায়

গ্রাম ও শহর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের অনেকের মধ্যে গ্রাম ও শহর নিয়ে নানা ধরনের যুক্তি-তর্ক ও আলোচনা হয়। একমাত্র বঙ্গবন্ধুকন্যা গ্রাম ও শহরের মধ্যে কোনো পার্থক্য রাখেননি। গ্রামের উন্নয়নে সরকার নানা ধরনের সাহসী প্রকল্প গ্রহণ করছে। তবে আমার ভূমিকা ছিল ক্ষুদ্র। আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করেছি।

এম এ মান্নান আরও বলেন, পাকিস্তানি আমলে উন্নয়ন সাংবাদিক বলতে কিছু ছিল না। রাজনীতির খবরই শুধু দেখতাম। এখন সব কিছুর পরিবর্তন হয়েছে, মানুষ উন্নয়নের বিষয়ে জানতে চায়। নগর ও গ্রামের প্রথা ভাঙছেন শেখ হাসিনা। কায়েমি স্বার্থবাদীদের চোখে চোখ রেখে নিম্ন আয়ের মানুষের উন্নয়নে কাজ করছেন শেখ হাসিনা। তবে আমাদের সবাইকে জনগণের টাকা খরচে মিতব্যয়ী হতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন বলেন, ডিজেএফবি’র একটা বিষয় আছে উনারা সবাই এক। কেউ কখনো কারোর বিষয়ে ইতিবাচক ছাড়া নেতিবাচক কিছু বলেন না। দেশের উন্নয়ন তুলে ধরতে ডিজেএফবি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। আমরা উন্নয়নমূলক নানা কাজ করি, কিন্তু আপনারা এর ত্রুটি-বিচ্যুতি তুলে ধরেন। অনেক সময় নিজ ঘরের বিষয়ে নিজে ভুল-ত্রুটি ধরা যায় না, যা সাংবাদিকরা ধরিয়ে দেন।

ডিজেএফবির নতুন কমিটিতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন দৈনিক যুগান্তরের স্টাফ রিপোর্টার হামিদ-উজ-জামান এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন দৈনিক সমকালের সিনিয়র রিপোর্টার আবু হেনা মুহিব।

এমওএস/জেডএইচ/জিকেএস