‘প্রহসনের নির্বাচন’ বর্জনের আহ্বান ছাত্রদল-বামপন্থি ছাত্রজোটের
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ‘প্রহসনের নির্বাচন’ বলে আখ্যা দিয়ে তা বর্জনের আহ্বান জানিয়েছে ছাত্রদল ও বামপন্থি ছাত্রসংগঠনগুলোর মোর্চা গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানিয়েছে ছাত্রসংগঠনগুলো। বিবৃতিতে ছাত্রদল ডামি নির্বাচন বর্জন করতে দেশের শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। অন্যদিকে, ভোট বর্জনের আহ্বানের পাশাপাশি ‘আওয়ামী ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের’ বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট।
ছাত্রদলের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছেন- সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এ বি এম ইজাজুল কবির ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম। গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের পক্ষ থেকে যৌথ বিবৃতি পাঠিয়েছেন জোটের সমন্বয়ক ও ছাত্র ফেডারেশনের (জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল) সভাপতি মিতু সরকার, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (মার্ক্সবাদী) সভাপতি সালমান সিদ্দিকী, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল সভাপতি ছায়েদুল হক, ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রাগীব নাঈম, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক দিলীপ রায়, বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তাওফিকা প্রিয়া এবং পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি অঙ্কন চাকমা।
ছাত্রদলের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা জনগণের মতামতকে অবজ্ঞা করে দেশে বাকশাল এবং ‘এক নারীর শাসন’ চিরস্থায়ী করার জন্য আগামী ৭ জানুয়ারি তামাশার আয়োজন করছে। এ তামাশায় সব প্রার্থী ফ্যাসিস্ট হাসিনা নিজেই নির্ধারণ করে দিয়েছেন। কে দলীয় প্রার্থী, কে ডামি প্রার্থী সবই শেখ হাসিনার নির্দেশে ঠিক করা হয়েছে। তারা দেশের জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হচ্ছে। দেশকে বিদেশি বেনিয়াদের হাতে তুলে দেওয়ার লক্ষ্যে ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচন আয়োজনের চক্রান্তে শামিল হয়েছে। তাই, ডামি নির্বাচন থেকে নিজেকে বিরত রাখুন।
গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আগামী ৭ জানুয়ারি ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো আরেকটি প্রহসনের নির্বাচন করতে যাচ্ছে। এরই মধ্যে সব বিরোধীদল এ নির্বাচন বর্জন করেছে। আওয়ামী লীগ, তাদের ‘ডামি প্রার্থী’ ও কিছু কিংস পার্টি ছাড়া এ নির্বাচনে কেউ অংশ নিচ্ছে না। তাই একতরফা নির্বাচন থেকে রিবত থাকুন। প্রহসনের নির্বাচনে ভোট দিয়ে আমরা সরকারের দুঃশাসনকে বৈধতা এবং দীর্ঘায়িত হতে দিতে পারি না।’
আল সাদী ভূঁইয়া/এমএএইচ/এএসএম