ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

সহিংসতামুক্ত নির্বাচন চায় আওয়ামী লীগ: কাদের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৫:০৯ পিএম, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলছেন, সহিংসতামুক্ত একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চায় আওয়ামী লীগ। তাই নির্বাচনবিরোধী কোনো ধরনের সহিংসতা প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। অপরাধ প্রমাণিত হলে সে যেই হোক তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।

রোববার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দলীয় কিংবা স্বতন্ত্র কারও প্রতিই কোনো পক্ষপাত করবে না আওয়ামী লীগ। নির্বাচনবিরোধী কোনো সহিংসতা করলে কমিশন যে ব্যবস্থা নেবে তা সমর্থন করবে আওয়ামী লীগ। আইন ভঙ্গ করলে আইনের আওতায় পড়তে হবে।

নির্বাচন ঘিরে সারাদেশে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সর্বত্র নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই, কোনো সহিংসতা চাই না। নেত্রী সেটা বারবার বলছেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থী কিংবা প্রার্থীর কোনো সহযোগী যদি সহিংসতায় জড়ায়, তাহলে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আইনগত ব্যবস্থায় আমরা সমর্থন জানাই। যৌক্তিক কারণে কারও প্রার্থিতা গেলে আমাদের কিছু বলার নেই, ইসি স্বাধীন।

বিএনপির অসহযোগ আন্দোলনের ডাক নিয়ে এদিন আবারও সতর্ক বাণী উচ্চারণ করেন সেতুমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিএনপি বলছে ট্যাক্স দেবে না, না দিলে জেলে যেতে হবে। ইউটিলিটি বিল না দিলে শাস্তি পেতে হবে। বিদ্যুৎ বিল না দিলে লাইন কেটে যাবে, পানির বিল না দিলে পানির লাইন কেটে যাবে। খাজনা-ট্যাক্স না দিলে শাস্তি পেতে হবে। ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন করবেন না। অনেকে আঙুল ফুলে কলা গাছ হয়েছেন এরই মধ্যে। তারেক রহমানের অসহযোগ করলে আমও যাবে, ছালাও যাবে।

তারেক রহমানকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বিদেশে বসে রিমোট কন্ট্রোলে উদ্ভট আন্দোলনের ডাক দিচ্ছেন, সাহস থাকলে দেশে আসেন না কেন? বাংলাদেশে খোমেনি স্টাইলে বিপ্লব হবে না। হয় রাজপথে না হয় জেলে যেতে হবে, বিদেশে বসে আন্দোলন হবে না।

বিএনপির ডাকা অসহযোগ আন্দোলন নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা খাজনা-ট্যাক্স-ইউটিলিটি দেবে না, এটা তাদের বাপ-দাদার সম্পত্তি? দেশ কি আরেকবার স্বাধীন হচ্ছে? এটা কি বঙ্গবন্ধুর অসহযোগ?

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‌‘ষড়যন্ত্র হচ্ছে। কিন্তু এদেশে আর ওয়ান/ইলেভেন হবে না। পিটার হাস ভারতে গেছেন। কিন্তু ভারতের অবস্থান এক জায়গায়। তারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না।’

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সহিসংতার বিষয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তদন্ত করছে। যারা দোষী হবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যে যা বলার বলুক, আমরা আমাদের লক্ষ্য-অভিমুখে অবিচল। আমাদের অগ্রযাত্রা থামবে না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা নির্বাচন বর্জন করছে, দেশের জনগণই তাদের বর্জন করতে শুরু করেছে। যারা সন্ত্রাস করছে, তাদের রাজনৈতিক অস্তিত্ব আরও অনিশ্চয়তা বাড়বে, নেতিবাচক রাজনীতির জন্য, সন্ত্রাসের পথ তারা বেছে নিয়েছে। এ সন্ত্রাসের রাজনীতি আর গণতন্ত্র বিপরীতমুখী। যারা সন্ত্রাস করে, তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা শোভা পায় না।

এসইউজে/এমএএইচ/জেআইএম