ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে ড্যাবের মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০২:৫২ পিএম, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান বলেছেন, আজকে সারাদেশের মানুষ রাজপথে নেমে এসেছে। জনগণ তাদের হ্যাডম দিয়ে আপনাদের রুখে দেবেন। একজনের (শাহাজাহান ওমর) হ্যাডমের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। দেশের মানুষ শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমেই তাদের অধিকার পুনরুদ্ধার করবে এবং সরকারের নির্বাচন নির্বাচন নাটক রুখে দেবে।

শনিবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

চিকিৎসকদের হয়রানি ও গ্রেফতার বন্ধ, বেগম খালেদা জিয়াসহ বন্দিদের মুক্তি এবং দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল বাতিল ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে চিকিৎসকদের এই মানববন্ধনের আয়োজন করে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)।

বেগম সেলিমা রহমান বলেন, আমরা কোন দেশে বাস করছি? আজকে গুম খুন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার ব্যক্তিরা তাদের কথা বলতে পারে না। মানবাধিকার দিবস সামনে রেখে জাতীয় জাদুঘরের সামনে কর্মসূচি করতে দেয়নি। সরকার এতো ভীতু যে তাদেরকে কর্মসূচি করতে দেয় না।

তিনি বলেন, জনগণের ট্যাক্সের টাকায় যাদের জীবন চলে সেই পুলিশ বেআইনিভাবে দমন পীড়ন ও গ্রেফতার করছে। তারা গণতন্ত্রের আন্দোলন রুখে দিতে মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দিচ্ছে। শান্তি বাহিনীর মতো সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে। আমরা যখনই সমাবেশ দিই তখনই তারা পাল্টা শান্তি সমাবেশ করে। শান্তি বাহিনীর মতো বিএনপি ও বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে হানা দিচ্ছে। মনে রাখবেন এটাই শেষ দিন নয়।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, এই সরকার দেশের মানুষের ভাত ও ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। ২২ হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। সাড়ে ৮ শতাধিক নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছে। এমনকি মৃত ব্যাক্তিকেও সাজা দিয়েছে। কী ভয়ংকর পরিস্থিতি? আজকে একই মামলায় মির্জা ফখরুলসহ অনেকেই কারাগারে আর একই মামলায় শাহজাহান ওমরের জামিন মিলে! কী প্রহসন। এটা তো প্রমাণিত যে, বিরোধী দলকে রাজনৈতিকভাবে হয়রানির জন্য এসব করা হয়েছে। তবে এবার জনগণের বিজয় সুনিশ্চিত।

received0

ড্যাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি ডা. এমএ সেলিম বলেন, আমরা কী আজকে সত্যি স্বাধীনতা অর্জন করেছি? আজকে বিরোধী দলের প্রায় দুই লাখ নেতাকর্মী ঘরবাড়ি ছেড়ে বনে বাদারে রাত কাটাচ্ছে। আজকে প্রধানমন্ত্রী মার্চ মাসে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন! কেনো? আপনি পদত্যাগ করে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন।

অন্য বক্তারাও বলেন, আওয়ামী ও প্রধানমন্ত্রী কতটা দেউলিয়া হলে পরে একতরফা নির্বাচন করতে গিয়ে ডামি প্রার্থী দিয়েছেন! এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন কীভাবে হবে? সুতরাং অবিলম্বে জনগণের দাবি মেনে নিয়ে পদত্যাগ করুন।

তারা আরও বলেন, ১৪ আর ১৮ সালের মতো এবছর আর আসন ভাগাভাগি ও লোক দেখানো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। ২০২৪ সালের নির্বাচনেও পুতুল সরকার পুতুল কমিশন গঠন করে আরেকটি সাজানো নির্বাচন উপহার দিতে চাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী দেশে নাকি এত উন্নয়ন করছে। অথচ তিনিই বলেছেন দেড় মাস পর দেশে দুর্ভিক্ষ নামবে।

ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ডা. মেহেদী হাসানের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান। আরও বক্তব্য দেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, জিয়া পরিষদের ডা. আবদুল কুদ্দুস, ড্যাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি ডা. এম এ সেলিম, উপদেষ্টা ডা. রফিকুল কবির লাবু, কোষাধ্যক্ষ ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ-অ্যাবের সভাপতি প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইউট্যাব) প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফর রহমান, সিনিয়র সাংবাদিক আমীরুল ইসলাম কাগজী বিপ্লবসহ বিভিন্ন চিকিৎসক নেতা উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধন শেষে প্রেসক্লাব চত্বরে একটি বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।

আরএএস/এসএনআর/এমএস