ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

ঢাকা-৮

অভিভাবক খুঁজছে আওয়ামী লীগ, মনোনয়নে এগিয়ে মেনন

রাসেল মাহমুদ | প্রকাশিত: ০২:৩২ পিএম, ১৫ নভেম্বর ২০২৩

ঢাকা-৮ বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ১৮১ নম্বর আসন। আসনটি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৮, ৯, ১০, ১১, ১২, ১৩, ১৯, ২০ ও ২১ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। রাজধানীর একেবারে কেন্দ্রে অবস্থিত এ আসনভুক্ত এলাকায় দেশের বড় দুই রাজনৈতিক দল ছাড়াও প্রায় অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়। এছাড়া জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম, হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট, পুলিশ সদরদপ্তর, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) সদরদপ্তর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ বহু প্রতিষ্ঠানও এ এলাকায়।

রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এ আসনটিতে স্বাধীনতার পর থেকে অধিকাংশ সময়ই আওয়ামী লীগের বাইরে অন্য রাজনৈতিক দল থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। যেখানে সবশেষ টানা তিনবার মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য হয়েছেন মহাজোটের শরিক দল বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। দলটির নেতাদের ধারণা, এবারও আসনটিতে মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে প্রবীণ এ রাজনীতিক।

আরও পড়ুন: এলাকাবিমুখ ফিরোজ রশীদ, মনোনয়ন দৌড়ে মান্নাফি-সাঈদ খোকন

টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকলেও ঢাকা-৮ আসনে নিজেদের দলীয় প্রতিনিধি পাননি সেখানকার আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। এনিয়ে তাদের মধ্যে এক ধরনের অভিমান, অসন্তোষ ও আক্ষেপও রয়েছে। এমনকি তাদের অনেকে মনে করেন, ঢাকা-৮ আসনে আওয়ামী লীগের অভিভাবক দরকার। সেখানকার দলীয় নেতাকর্মীদের কোনো অভিভাবক নেই। আগামী সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়ে আসনটিতে আওয়ামী লীগের ভিত মজবুত করা হবে, এমনটিই প্রত্যাশা তাদের।

টানা তিনবার মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য হয়েছেন মহাজোটের শরিক দল বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। দলটির নেতাদের ধারণা, এবারও আসনটিতে মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে প্রবীণ এ রাজনীতিক

বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে ঢাকা-৮ আসনটিই বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর আন্দোলন-সংগ্রামের মূল কেন্দ্রবিন্দু। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে আসনটিতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী প্রত্যাশা করছেন এলাকার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। এ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী এবং দলটির তৃণমূল নেতারা বলছেন, টানা তিন মেয়াদে দল ক্ষমতায় থাকলেও সেখানে প্রতিনিধিত্ব জোট শরিকের। দলীয় এমপি না থাকায় এক ধরনের অভিভাবকশূন্যতা তৈরি হয়েছে, যা সরকারবিরোধী আন্দোলন প্রতিহত করার ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব ফেলছে।

স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কে এম শামসুল হুদা ঢাকা-৮ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর প্রায় ৫০ বছরের মধ্যে শুধু ১৯৯৬ সালে এ আসনে সংসদ সদস্য (হাজী মোহাম্মদ সেলিম) পেয়েছিল আওয়ামী লীগ। ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি, ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টি আর ১৯৯১ সালের নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এ আসনে নির্বাচিত হন। ২০০৮ সাল থেকে আসনটিতে টানা তৃতীয় মেয়াদে মহাজোটের শরিক হিসেবে মনোনয়ন পান ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। এরমধ্যে বিরোধীদলগুলো ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচন বর্জন করে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে। এতে মেনন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

আরও পড়ুন: ঢাকা-১৪/গরমে পানি সংকট বর্ষায় জলাবদ্ধতা, উদাসীন জনপ্রতিনিধি

স্বাধীনতা-পরবর্তীকালে গত ৫২ বছরে ঢাকা-৮ আসনে মাত্র দুবার সংসদ সদস্য পেয়েছে আওয়ামী লীগ। বাকি সময়ে ছিলেন অন্য দলগুলোর প্রার্থী। সবশেষ ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় নির্বাচনে মহাজোটের শরিক হিসেবে টানা তিন মেয়াদে এ আসনে মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হন মেনন। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আরও একবার আসটিতে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন এই হেভিওয়েট প্রার্থী।

ঢাকা-৮ আসনে আওয়ামী লীগের অভিভাবক দরকার। সেখানকার দলীয় নেতাকর্মীদের কোনো অভিভাবক নেই। তাই আগামী সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়ে আসনটিতে আওয়ামী লীগের ভিত মজবুত করা হবে, এমনটিই প্রত্যাশা

মাঠ পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতা নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন চাইবেন। তাদের মধ্যে জোর আলোচনায় রয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য মাসুদ সেরনিয়াবাত, ঢাকা মহানগর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক তারেক সাইদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ এবং আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মোল্লা কাওছার। আসনটিতে নোয়াখালী অঞ্চলের মানুষের বসবাস বেশি থাকায় নতুন চমক হিসেবে আসতে পারেন অন্য কোনো প্রার্থীও।

আসনটিতে নিজেদের শক্ত অবস্থান না থাকলেও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরিক হিসেবে ভোটে আসায় সব প্রতিকূলতা উতরে যায় ওয়ার্কার্স পার্টি। এছাড়া জাতীয় নেতা হিসেবে পরিচিত মুখ রাশেদ খান মেনন। তার রাজনৈতিক মেধা ও প্রজ্ঞা কাজে লাগিয়েও ভোটের বৈতরণী পার হয় ওয়ার্কার্স পার্টি। অন্যদিকে, জোট শরিক হিসেবে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীদের অকুণ্ঠ সমর্থন তো থাকেই। তবে গুরুত্ব বিবেচনায় এবার আসনটিতে নিজেদের দলের সংসদ সদস্য চাইছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ও নেতাকর্মীরা।

আরও পড়ুন: ‘জলাবদ্ধ’ মিরপুরে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান তিন হেভিওয়েট প্রার্থী

ঢাকা-৮ আসনে প্রায় চার দশক ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করা ২১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিলাল রায় জাগো নিউজকে বলেন, এ আসনে আমাদের দলীয় একাধিক যোগ্য প্রার্থী রয়েছেন। কিন্তু মহাজোটের কারণে এখানে দলের কেউ নির্বাচন করতে পারছেন না। দীর্ঘদিন এখানে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নেই। আওয়ামী লীগের একজন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে আমরা তাকে যতটা কাছে পাবো, বর্তমান এমপিকে ততটা পাই না। কারণ, তিনি অন্য একটি দল থেকে এসেছেন। ঢাকার রাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ আসনে দলের কেউ মনোনয়ন পেলে আমরা খুশি হবো।

বৃহত্তর ঐক্যের স্বার্থে গত তিন নির্বাচনেই আসনটি ছাড় দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এলাকাবাসী এখানে নৌকা প্রতীকের প্রতিনিধি চায়। তবে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা যে সিদ্ধান্ত নেবেন আমরা তৃণমূল থেকে তার বিপক্ষে যেতে পারি না

তিনি বলেন, বৃহত্তর ঐক্যের স্বার্থে গত তিনটি নির্বাচনেই আসনটি ছাড় দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এলাকাবাসী এখানে নৌকা প্রতীকের প্রতিনিধি চায়। তবে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা যে সিদ্ধান্ত নেবেন আমরা তৃণমূল থেকে তার বিপক্ষে যেতে পারি না।

রাজধানীর মতিঝিল এলাকার ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান কাউন্সিলর মোজাম্মেল হক জাগো নিউজকে বলেন, নেত্রী যাকে মনোনয়ন দেবেন তাকে নিয়েই আমরা কাজ করবো। শেষ পর্যন্ত দলের কেউ মনোনয়ন না পেলে মহাজোটের প্রার্থীকে নিয়েই নির্বাচনে বিজয় ছিনিয়ে আনতে হবে।

আরও পড়ুন: ঢাকা-৭/নাগরিক সুবিধায় নজর নেই, বিভক্ত আওয়ামী লীগ

২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনকালীন প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, ঢাকা-৮ আসনে মোট ভোটার দুই লাখ ৬৪ হাজার ৮৯৩। ভোটাররা জানিয়েছেন, নির্বাচন এলে এলাকায় প্রার্থীদের পদচারণা বাড়ে। তারা সকাল-দুপুর-রাত ভোটারদের দরজায় কড়া নাড়েন। কিন্তু ভোটের পর প্রার্থীদের আর দেখা মেলে না।

রাজধানীর সেগুনবাগিচার স্থানীয় এক বাসিন্দা শেখ মোহাম্মদ আসমত উল্লাহ জাগো নিউজকে বলেন, নির্বাচন এলে দেখি প্রার্থীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চান। ভোটারদের বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু বর্তমান সংসদ সদস্য (মেনন) নিজে কখনো এলাকায় আসেননি। গত পাঁচ বছরে তাকে কখনো আসতে দেখিনি। আবার সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে। এবার আসনটিতে কোন দলের কে মনোনয়ন পায় তা জানি না।

পল্টন এলাকার ব্যবসায়ী রাজিব আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, নির্বাচন এলে মিছিল-মিটিং বাড়ে। বর্তমান এমপি মেনন সাহেবকেও মিছিল-মিটিংয়ে দেখা যায়। তবে নির্বাচন শেষে তাকে আর এলাকায় দেখা যায় না। এখনো তো নির্বাচনের আমেজ শুরু হয়নি। এবার আওয়ামী লীগ এ আসনে কাকে প্রার্থী করে তা সময় এলেই জানা যাবে।

আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টিসহ বড় রাজনৈতিক দলগুলোর কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঢাকা-৮ আসন এলাকায়। ফলে রাজনৈতিকভাবেও এ আসনটির রয়েছে বাড়তি গুরুত্ব। জাতীয় নির্বাচন ঘিরে এসময়েও ঢাকার রাজনীতিতে সবচেয়ে উত্তাপ ছড়ানো এলাকা এ আসনটি। সরকারবিরোধী আন্দোলনগুলোও বেশিরভাগ এখানেই চলছে।

আরও পড়ুন: জরিপের ভিত্তিতে যোগ্যরা মনোনয়ন পাবেন: শেখ হাসিনা

স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী কোনো নেতা বা সংসদ সদস্য না থাকায় আসনটিতে শক্ত অবস্থান নিতে পারছে না দলের নেতাকর্মীরা। ফলে বিরোধীদের আন্দোলন মোকাবিলায় এ আসনটিতে অনেকটা অভিভাবকশূন্যতা তৈরি হয়েছে।

অভিভাবক খুঁজছে আওয়ামী লীগ, মনোনয়নে এগিয়ে মেনন

ঢাকা-৮ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, আসনটিতে বিএনপি-জামায়াতের বড় বড় নেতার বাসাবাড়ি ও বসবাস। দেশের অন্য কোথাও বিরোধীদের আন্দোলন দানা না বাঁধলেও এখানে সেটা হয় আওয়ামী লীগের দলীয় সংসদ সদস্য না থাকার কারণে। এর সুযোগ নিয়ে বিরোধীরা সহজে শক্তি সঞ্চয় করতে পারে। আসনটিতে আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের তেমন কোনো নেতার বাসাবাড়ি বা বসবাস নেই। এ সুযোগে বিরোধীরা আধিপত্য গড়ে তুলেছে। আসনটিতে আওয়ামী লীগ দিন দিন দুর্বল হচ্ছে।

আগামী নির্বাচনে নিজের প্রস্তুতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার প্রস্তুতি রয়েছে। দল মনোনয়ন দিলে আমি দলকে আসনটি উপহার দিতে পারবো, এ আত্মবিশ্বাস আমার আছে। এছাড়া এ আসনে দলের অন্য যেসব মনোনয়নপ্রত্যাশী রয়েছেন তারা একটি বিষয়ে একমত, এখানে নৌকা প্রতীক নিয়ে যে-ই আসবে, সবাই তার পক্ষে কাজ করবে।

দেলোয়ার হোসেন জানান, জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে তিনি শুধু দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গেই নয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। কাজ করছেন। তিনি মনে করেন, ঢাকা-৮ এলাকায় উচ্চশিক্ষিত মানুষের বাস। ফলে ভালো ও যোগ্য প্রার্থী না পেলে অনেকে ভোট দেওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারেন।

আরও পড়ুন: ঢাকা-৫/আওয়ামী লীগে প্রার্থী জট, আসতে পারে চমক

স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আসনটিতে নোয়াখালী অঞ্চলের মানুষের বসবাস বেশি। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের যেমন সমর্থক রয়েছে বিএনপিরও রয়েছে। ফলে এ আসনে ভোটের রাজনীতিতে নোয়াখালী অঞ্চলের মানুষের একটা বিশেষ প্রভাব বরাবরই থাকে।

অভিভাবক খুঁজছে আওয়ামী লীগ, মনোনয়নে এগিয়ে মেনন

আসনটিতে নৌকার মনোনয়নপ্রত্যাশী ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ রতন জাগো নিউজকে বলেন, এ এলাকায় বৃহত্তর নোয়াখালী এলাকার মানুষ বেশি বাস করে। অর্ধেকের বেশি ভোট এখানে আঞ্চলিকভাবে পাওয়া যায়। আমি ওই অঞ্চলের হওয়ায় এটা দলের জন্য অনেক ভূমিকা রাখবে। এছাড়া কাউন্সিলরের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে করোনায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। মশক নিধন ও অবৈধ দখলমুক্ত করার কাজ করেছি। দলের নির্দেশ মতো কাজ করে যাচ্ছি।

আওয়ামী লীগের অবস্থান বিষয়ে তিনি বলেন, সংসদ সদস্য নিজ দলের প্রতিনিধি হিসেবে একটি এলাকার অভিভাবক। দলকে সুসংগঠিত করতে হলে অভিভাবক দরকার। আমাদের এলাকায় আন্দোলন করতে হলে নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদীসহ আশপাশের জেলাগুলো থেকে নেতাকর্মীদের নিয়ে আসতে হয়। সংসদে দলীয় প্রতিনিধি না থাকায় এলাকায় সাংগঠনিকভাবে আওয়ামী লীগ অনেকটা দুর্বল হয়ে গেছে। আমরা এবার মনোনয়নের জন্য দলের সবাই কাজ করছি। আমরা চাই দলের কেউ আসুক। দলের বাইরে সংসদ সদস্য হওয়ায় নেতাকর্মীরা তার কাছে যেতে পারে না, যায়ও না।

আরও পড়ুন: গরমে পানি সংকট বর্ষায় জলাবদ্ধতা, উদাসীন জনপ্রতিনিধি

মহাজোটের শরিক দল হিসেবে আগামী নির্বাচনেও ঢাকা-৮ আসনে নিজেদের প্রার্থীর মনোনয়ন চায় বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি। এজন্য দলের নেতাকর্মীসহ খোদ রাশেদ খান মেননও জনসংযোগ করছেন বলে জানা গেছে।

ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবুল হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, প্রতি শুক্রবার নির্বাচনী জনসংযোগ চলছে। দলের সভাপতি (মেনন) বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন, ভোটারদের সঙ্গে কথা বলছেন। নির্বাচনের আগে জনসংযোগ আরও বাড়বে। এলাকায় অনেক উন্নয়ন হয়েছে। এবারের নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র সুসংহত হবে।

অভিভাবক খুঁজছে আওয়ামী লীগ, মনোনয়নে এগিয়ে মেনন

ঢাকা-৮ আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও মনোনয়ন চাইবে বাংলাদেশ ওয়ার্কাস পার্টি। এজন্য প্রস্তুত রয়েছেন দলটির সভাপতি এবং আসনটির বর্তমান এমপি রাশেদ খান মেনন।

প্রস্তুতি জানতে চাইলে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, এখন পর্যন্ত ঢাকা-৮ আসনে মনোনয়ন চাইবো সেটাই সিদ্ধান্ত। নির্বাচনের প্রস্তুতিও আছে। নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে। নির্বাচন করলে এ আসন থেকেই মনোনয়ন চাইবো।

আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাদের দলীয় প্রার্থী চাওয়ার বিষয়ে মেনন বলেন, তারা তাদের দলীয় নেতাদের মনোনয়ন চাইতেই পারেন। এটা অস্বাভাবিক কোনো বিষয় নয়।

আরও পড়ুন: উপেক্ষিত জনদুর্ভোগ, মনোনয়নে মনোযোগ নেতাদের

আরএসএম/এমকেআর/জেআইএম