ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

মজুরি আর ভোটাধিকারের আন্দোলন এক সুতোয় গাঁথা: জোনায়েদ সাকী

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৪:৫৩ পিএম, ২৭ অক্টোবর ২০২৩

শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলন এবং ভোটাধিকারের আন্দোলনকে এক সুতোয় গেঁথে ফেলার আহ্বান জানিয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।

শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) নির্বাচনকালীন রাজনৈতিক আবহাওয়ায় শ্রমিকদের বিপদগ্রস্ত না করে অবিলম্বে ২৫ হাজার টাকা মজুরি ঘোষণার দাবিতে আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করে এ আহ্বান জানান তিনি। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি।

সমাবেশে শ্রমিকদের ২৫ হাজার টাকার মজুরির আন্দোলন আর ভোটাধিকারের আন্দোলনকে এক সুতোয় গেঁথে ফেলার আহ্বান জানিয়ে জোনায়েদ সাকি বলেন, আগামী দিনে ভোট আদায় হলে আপনাদের (শ্রমিক) যথাযথ মজুরি আদায় হবে, ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার হবে। এবং কেবল পাঁচ বছর পর নয়, প্রতিবছর এমন ইনক্রিমেন্ট দিতে হবে, যেনো বাজার দরের সঙ্গে সমন্বয় থাকে। বিশেষ পরিস্থিতিতে তিন বছরের মাথায় মজুরি সমন্বয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। সেই অনুযায়ী ট্রেড ইউনিয় ও শ্রম আইন বদলাতে হবে।

তিনি আরও বলেন, সরকার পাঁচ বছরের সাড়ে চার বছরের মাথায় এসে একটি মজুরি কমিশন গঠন করেছে। সরকার, মালিক ও শ্রমিকদের নিয়ে ত্রি-পক্ষীয় কমিশন। আমরা সবসময় দেখি শ্রমিকদের প্রতিনিধি কীভাবে নির্বাচন করা হয়। শ্রমিকদের প্রতিনিধি যখন নির্বাচিত হন, তখন সেটা কতটা শ্রমিকদের প্রতিনিধি থাকেন আর সরকারি দলে আওতার মধ্যে লোকেরা থাকেন সেটা আমরা আমাদের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে জানি।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী আরও বলেন, সবাই জানেন বাজারের কী অবস্থা। করোনা এবং বিশ্ব বাজারে দাম বৃদ্ধির অজুহাত দেখিয়ে দেশে যতটা না যৌক্তিকভাবে দাম বাড়ার কথা, তার থেকে বেশি দাম বাড়তে থাকলো। এ দেশে সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে।

সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার বলেন, আপনারা দেখেছেন গত ২২ তারিখে শ্রমিকদের সব আশা-প্রত্যাশাকে ভুলন্ঠিত করে কীভাবে মালিকপক্ষ মাত্র ১০ হাজার ৪০০ টাকা মজুরি প্রস্তাব করেছে। আপনারা সবাই জানেন আজ বাজারে কী অবস্থা। শ্রমিকরা যখন কারখানা থেকে বাসায় ফেরে তাদের পক্ষে ডিম, মাছ, মাংস কেনা সম্ভব হয় না। শ্রমিকরা যখন বাড়ি ফেরে তখন তাদের হাতে থাকে শাক-সবজি। শ্রমিকদের কোনো পুষ্টিকর খাবার কেনার সামর্থ্য নেই। যখন শ্রমিকরা বেঁচে থাকার লড়াইয়ে হিমশিম খাচ্ছে, তখন ১০ হাজার ৪০০ টাকার প্রস্তাব শ্রমিকদের সঙ্গে তামাশা ছাড়া আর কিছুই না। আমরা এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করছি। এটি মালিকদের স্বার্থের প্রস্তাব।

আরএ/এমআইএইচএস/জেআইএম