ঢাকা-৫
আওয়ামী লীগে প্রার্থী জট, আসতে পারে চমক
ঢাকা-৫। জাতীয় সংসদের ১৭৮ নম্বর আসন। যাত্রাবাড়ী, ডেমরা ও কদমতলী থানার কিছু অংশ নিয়ে গঠিত ঢাকার প্রবেশমুখের আসনটি ২০০৮ সাল থেকে দখলে রেখেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। ফলে এবারও বাড়তি নজর দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে নৌকা পেতে চান দলটির অন্তত অর্ধডজন নেতা। তবে এ অর্ধডজনের মাঝেও যোগ্য নেতার সংকট দেখছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ থাকায় যোগ্য প্রার্থী নির্বাচন করাই দলটির জন্য মূল চ্যালেঞ্জ। প্রার্থী সংকটে মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতাদের বাইরে থেকে ‘চমক’ আসতে পারে বলেও ধারণা অনেকের।
১৪টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত এ আসনটিতে ৪ লাখ ৭১ হাজার ১২৯ জন ভোটারের মধ্যে ২ লাখ ৪১ হাজার ৪৬৪ জন পুরুষ এবং ২ লাখ ২৯ হাজার ৬৬৫ জন নারী। এখানে ২০০৮ সাল থেকে টানা তিনবার নির্বাচিত হয়ে সংসদ সদস্য ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান মোল্লা। ২০২০ সালে তার মৃত্যুর পর আসনটিতে উপ-নির্বাচনে জয়ী হয়ে সংসদ সদস্য হন যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কাজী মনিরুল ইসলাম মনু।
স্থানীয়রা বলছেন, কাজী মনিরুল ইসলাম মনু যখন নির্বাচিত হন তখন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কাছে তুঙ্গে ছিল তার জনপ্রিয়তা। কিন্তু নির্বাচিত হওয়ার পর এলাকার জনগণের কাছে না যাওয়া, তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভক্তি তৈরি করে দূরে রাখা, চাঁদাবাজ ও বালু ভরাট করে জমি দখলের অভিযোগ রয়েছে যাদের বিরুদ্ধে, তাদের আশ্রয় দেওয়াসহ নানান কারণে বিতর্কিত হয়ে পড়েছেন তিনি।
বর্তমান এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এলাকায় মানুষের কাছে আর আসেন না। বাজার, মার্কেটসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে তার লোকজন চাঁদা তোলে। খাবার খেতে আসা এক মাছ ব্যবসায়ীকে দেখিয়ে তিনি বলেন, আগে ১৫ টাকা চাঁদা দিতো। এখন নাকি ২০০ টাকা দিতে হয়
তারা আরও বলেন, সংসদ সদস্য হয়ে এলাকায় আর যান না মনিরুল ইসলাম মনু। স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গেও তার দূরত্ব বেড়েছে। ফলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন পাবেন কি না, তা নিয়ে রয়েছে সংশয়। এসব নিয়ে কথা বলতে তাকে একাধিকার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। ফোনে খুদেবার্তা পাঠিয়েও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন>> নৌকা নিয়ে ভোটে লড়ার প্রস্তুতি অর্ধশত আইনজীবীর
নতুন করে যারা মনোনয়ন চান তাদের মধ্যে রয়েছেন প্রয়াত হাবিবুর রহমান মোল্লার বড় ছেলে মশিউর রহমান মোল্লা সজল। তবে হাবিবুর রহমানের সময়ে মশিউর রহমানের নানান বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে।
এখানে মনোনয়ন চান ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল হাসান রিপন। তরুণ নেতাকর্মীদের একটি অংশ তার সঙ্গে রাজনীতি করছে। আলোচনায় আছেন যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুন-আর-রশিদ মুন্না। তার বিরুদ্ধেও রয়েছে বিস্তর অভিযোগ।
যারা স্লোগান দিতে পারে তাদের নিয়েই নাচে। অথচ এর বাইরেও দীর্ঘদিন ধরে যারা রাজনীতি করছে তাদের রাজনীতি করার কোনো ধরনের সুযোগ দেওয়া হয় না। কোথাও ডাকে না। বর্তমানে এখানে আওয়ামী লীগের অবস্থা ভালো নয়।
অভিযোগের বিষয়ে হারুন-আর-রশিদ মুন্না জাগো নিউজকে বলেন, আমি ব্যবসা করি, মানুষের সঙ্গে লেনদেন থাকে। ভবন নির্মাণে বাধা দেইনি। আমার ব্যবসায়িক কাজে আমি বরং টাকা পাই। সে টাকাও এখনো আমি পাইনি।
আরও পড়ুন>> সংগঠন গোছানো-ভোটারদের কেন্দ্রে আনাই আওয়ামী লীগের বড় চ্যালেঞ্জ
নির্বাচনী প্রচারণার বিষয়ে তিনি বলেন, নিয়মিত জনসংযোগ ও সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের লিফলেট জনগণের কাছে বিতরণ করছি। দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করছি। আমার সভাপতি দুজনই (হাবিবুর ও মনু) এমপি হয়েছেন। এবার মনোনয়ন পাওয়াটা আমার হক। তারপরও যিনিই মনোনয়ন পাবেন দলের প্রয়োজনে তার জন্যই আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবো।
আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সাবেক সদস্য ও শহীদ শেখ কামালের স্ত্রী শহীদ সুলতানা কামালের ভাতিজি নেহরীন মোস্তফা দিশিও এবার আসনটিতে রয়েছেন আলোচনায়। তবে তার বিরুদ্ধে দলীয় নেতাকর্মীদের চেয়ে পরিবার ও আত্মীয়দের রাজনীতিতে কাছে রাখার অভিযোগ স্থানীয় নেতাদের।
আমরা প্রতিদিন কাজ করে খাই। নেতারা নির্বাচন এলেই সবার কাছে আসে। অন্য সময় পাওয়া যায় না। এমপি হওয়ার পর একবারও আসতে দেখিনিই তাকে।
এছাড়া আলোচনায় রয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক চৌধুরী সাইফুন্নবী সাগর। গত উপ-নির্বাচনের আগে প্রচার প্রচারণায় ছিলেন তিনি। তবে এবার তার কোনো প্রচার প্রচারণা এখনো তেমন চোখে পড়েনি।
আরও পড়ুন>> ঢাকা ১০ আসন: কে ধরবে নৌকার হাল?
মনোনয়ন চান এশিয়ান টিভি ও এশিয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান হারুন-উর-রশিদ। যাত্রাবাড়ী এলাকায় তার পুরাতন কিছু পোস্টার দেখা গেলেও নতুন কোনো প্রচার চোখে পড়েনি। এছাড়া স্থানীয় রাজনীতিতেও সক্রিয় নন এ শিল্পপতি।
এছাড়া নৌকার প্রার্থী হতে আলোচনায় রয়েছেন ১৪ দলের শরিক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মো. শহীদুল ইসলাম, ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খান মাসুদ। এলাকায় অ্যাডভোকেট মাসুদের ব্যানার-পোস্টার দেখা গেছে।
যা বলছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা
ডেমরা থানা আওয়ামী কৃষক লীগের নেতা মো. সোলেমান পাটোয়ারী। দলীয় রাজনীতি ছেড়ে সারুলিয়া এলাকায় একটি হোটেল পরিচালনা করেন। স্থানীয় রাজনীতির বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, বর্তমান এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এলাকায় মানুষের কাছে আর আসেন না। বাজার, মার্কেটসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে তার লোকজন চাঁদা তোলে। খাবার খেতে আসা এক মাছ ব্যবসায়ীকে দেখিয়ে তিনি বলেন, আগে ১৫ টাকা চাঁদা দিতো। এখন নাকি ২০০ টাকা দিতে হয়।
মাতুয়াইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শান্তনুর খান শান্ত জাগো নিউজকে বলেন, বর্তমান এমপির ব্যক্তিগত সহকারী জিয়াউদ্দিন জিয়া যাত্রাবাড়ী থানা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক। তিনি তৃণমূল নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে বিএনপির লোকজনকে তার পাশে স্থান দিয়েছেন। পছন্দের লোকদের কাউন্সিলর বানিয়েছেন, যাতে তার অপকর্ম করতে সুবিধা হয়। অথচ তৃণমূলের নেতাদের দূরে রেখে এবং এলাকায় জনগণের কাছেও তিনি আসেন না।
ডেমরার সারুলিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি প্রবীণ নেতা সহিদুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, নেতারা মানুষের কাছে আসেন না। যারা স্লোগান দিতে পারে তাদের নিয়েই নাচে। অথচ এর বাইরেও দীর্ঘদিন ধরে যারা রাজনীতি করছে তাদের রাজনীতি করার কোনো ধরনের সুযোগ দেওয়া হয় না। কোথাও ডাকে না। বর্তমানে এখানে আওয়ামী লীগের অবস্থা ভালো নয়।
যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুর রহমান রতন জাগো নিউজকে বলেন, ডেমরায় চারটি ইউনিয়ন ছিল আসনটিতে। সিটি করপোরেশনের অধীনে আসায় এখন ওয়ার্ড হয়েছে। ফলে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যেসব কমিটি ছিল সেগুলোতে এখনো কোনো কমিটি হয়নি। সংসদ সদস্য মনু তাদের এখন আর কোনো কাজে ডাকেন না।
আসনটিতে আধিপত্য, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে হত্যাসহ নানান সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চলে। বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিরোধের জেরে হত্যাসহ আধিপত্য, মাদক ব্যবসা বন্ধে আওয়ামী লীগের নেতাদের জোরালো কোনো ভূমিকা নেই। বরং কারও কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে এসব অপকর্মে জড়িয়ে পড়ার।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের স্থানীয় একাধিক নেতা জাগো নিউজকে বলেন, গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আধিপত্য, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি ও রাজনৈতিক বিরোধের জেরে এসব হত্যাকাণ্ড হয়েছে। এসব ঘটনায় দলের নেতারা জোরালো কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। বিরোধী দলের লোকজনও তাদের ছত্রছায়ায় থাকে।
আসনটিতে থাকতে পারে চমক
আসনটিতে আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে গ্রুপিং ও নানান কাজের কারণে যোগ্য প্রার্থী সংকট রয়েছে। আবার যেসব নেতা কিছুটা ভালো ইমেজের, তাদের তেমন প্রচার প্রচারণা নেই। এ কারণে এবারের জাতীয় নির্বাচনে আসনটিতে আসতে পারে বড় চমক।
তৃণমূল নেতাদের অনেকেরই ধারণা, স্থানীয় যোগ্য নেতৃত্ব না থাকায় আসতে পারে কেন্দ্রীয় নেতাদের পক্ষ থেকে প্রার্থী। এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ হতে পারেন ঢাকা-৫ আসনের নৌকার মাঝি। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের এ প্রভাবশালী নেতা মাদারীপুরে গত দুই নির্বাচনে ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী’ নিক্সন চৌধুরীর কাছে পরাজিত হয়েছেন। এবার নৌকা চাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন নিক্সন চৌধুরী। ফলে কাজী জাফরউল্লাহকে মাদারীপুরের বাইরে এনে প্রার্থী করা হতে পারে বলে আলোচনা রয়েছে।
নির্বাচনী আমেজ
যাত্রাবাড়ী, ডেমরার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মনোনয়নপ্রত্যাশীদের বিভিন্ন সময়ের পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন। সরকারের নানান উন্নয়ন কাজের প্রচার-প্রচারণা করেছেন মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও সাফল্যের প্রচারণার অংশ হিসেবে লিফলেট বিতরণ ও নৌকায় ভোট দেওয়ার জন্য মানুষের কাছে যেতে শুরু করেছেন ঢাকা-৫ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা।
স্থানীয় রাজনীতিতে নির্বাচনী প্রচার ও এমপি পদে কারা হচ্ছেন প্রার্থী, সে আলোচনা রাস্তার মোড়ে, চা স্টলে। সারুলিয়া চা পট্টি এলাকায় স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নেতাদের প্রচার এখনো সেভাবে শুরু হয়নি। উঠান বৈঠক, মাঝে মাঝে জনসংযোগ করছেন কেউ কেউ। ফলে কারা হচ্ছেন প্রার্থী সেটা এখনো বোঝা কঠিন। সারুলিয়া চা পট্টিতে চা খেতে খেতে কথা হয় স্থানীয় ছগির হাওলাদারের সঙ্গে। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, আমরা প্রতিদিন কাজ করে খাই। নেতারা নির্বাচন এলেই সবার কাছে আসে। অন্য সময় পাওয়া যায় না। এমপি হওয়ার পর একবারও আসতে দেখি নাই তাকে।
পাশেই রতন নামের আরেক শ্রমিক জাগো নিউজকে বলেন, নেতাদের লোকজন থাকে সারা বছর চাঁদাবাজি আর দখল নিয়ে। আর নেতারা তাদের লোকজন নিয়ে থাকে। এলাকায় আমাদের খোঁজ রাখার কেউ নেই। নির্বাচন আসছে আবার দেখা যাবে নেতাদের।
আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী মশিউর রহমান মোল্লা সজল জাগো নিউজকে বলেন, নির্বাচনী প্রচারণা, জনসংযোগ, উঠান বৈঠক অনেক আগে থেকেই শুরু করেছি। মাঝে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটলেও সব কিছু গুছানোর কাজ চলছে। দল সংগঠিত করার কাজ করছি। মনোনয়ন পেলে নির্বাচনে জয়ের বিষয়ে আশাবাদী। আর অভিযোগ যেসব রয়েছে সেগুলো রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে করা হচ্ছে, যাতে আমাকে বিতর্কিত করা যায়।
মনোনয়নপ্রত্যাশী আরেক নেতা ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল ইসলাম রিপন। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, নির্বাচন সামনে রেখেই নয়, সারাবছর ধরেই আমি কাজ করি। এখন সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের প্রচার, নির্বাচনী জনসংযোগ করছি। ৬৭ নং ওয়ার্ডে সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের লিফলেট বিতরণ করেছি। জনগণের কাছে সরকারের কার্যক্রম তুলে ধরছি। মনোনয়ন পেলে যাতে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করা যায়।
নৌকার মনোনয়নপ্রত্যাশী চৌধুরী সাইফুন্নবী সাগর জাগো নিউজকে বলেন, উপ-নির্বাচনের পর থেকে তৃণমূল আওয়ামী লীগের মধ্যে নানান অসন্তোষ রয়েছে। তাই তাদের সংগঠিত করতে কাজ করছি। তাদের বিপদে আপদে পাশে থাকার চেষ্টা করছি। মনোনয়ন যিনিই পাবেন তাকে জয়ী করতে হলে তৃণমূলের নেতাদের ঐক্যবদ্ধ করতে হবে।
মনোনয়নপ্রত্যাশী হলেও প্রচারে না থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে তৃণমূলে কাজ করছি। দল নিশ্চয়ই জানে এখানকার রাজনীতি কেমন রয়েছে। তাই প্রচারণার চেয়ে দুর্দিনের কর্মীদের পাশে থাকার ও সংগঠিত করার চেষ্টা করছি; যাতে আগামী নির্বাচনে তারা দলের জন্য কাজ করতে পারে। মনোনয়ন পেলে তৃণমূল পর্যায়ে নৌকার পক্ষে তারা যেন কাজ করতে পারে।
আরএসএম/এমএইচআর/এএসএম