ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

দেশের ভবিষ্যৎ আগামী কয়েক দিনের ওপর নির্ভর করছে: ফখরুল

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০২:২০ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

দেশের ভবিষ্যৎ কী হবে তা আগামী কয়েক দিনের ওপর নির্ভর করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ নিজেরা রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে এখন বিএনপিকে ভাঙার ষড়যন্ত্র করছে। কোনো প্রচেষ্টাতেই কাজ হবে না।

বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে প্রয়াত বিএনপি নেতা আ স ম হান্নান শাহ্’র ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ফখরুল বলেন, জেনারেল আ স ম হান্নান শাহ ছিলেন বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী। দেশ ও দেশের রাজনীতিকে ভালোবেসে বিএনপিতে যোগ দিয়েছিলেন। নিজে নেতৃত্ব দিয়ে দল সংগঠিত করা এবং দুর্দিনে ঢাল হয়েছিলেন তিনি।

তিনি বলেন, আজ দেশের অবস্থা ভয়াবহ। পুরো বাংলাদেশ বিপদগ্রস্ত। বিএনপি নয়, জাতি বিপদগ্রস্ত। বিএনপি সংগঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রবিরোধী জবড়দখলকারী এ সরকার। রাষ্ট্রের মূল আত্মা ধ্বংস করেছে। সব ধরনের অধিকারই হরণ করা হয়েছে। সরকারের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে, তাদের স্কুলপড়ুয়া ছেলে মেয়েদের তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।কোথায় যাবো না যাবো, কোন অনুষ্ঠানে যাবো, যাবো না, সেসবও নিয়ন্ত্রণ করা হয় এখন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, যে দেশগুলো মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়ে গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়, তারা ভিসা নীতির আওতায় পড়ে। কেন জাতিকে এই অবস্থায় পড়তে হবে? এটা খুশির কথা না, লজ্জার। এজন্য সম্পূর্ণ দায়ী ভয়াবহ কর্তৃত্ববাদী সরকার। নিজেদের স্বার্থে ক্ষমতায় থাকতে গোটা দেশ ও জাতিকে জিম্মি করে ফেলেছে। মনে হয় তারা রাজা, আমরা সবাই প্রজা।

খালেদা জিয়ার সাজা নিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছে সরকার এমন মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়াকে নিয়ে সরকার মিথ্যা কথা বলছে। রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই তাকে আটক রাখা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর অধীনে কোনো নির্বাচনে এ দেশের মানুষ অংশ নেবে না। তাদের অধীনে নির্বাচন হবে না। আমরাও যাবো না। তারা দেউলিয়া হয়ে গেছে, এজন্য অন্যদের দল ভাঙতে চায়। এগুলো করে লাভ হবে না। মানুষকে দমিয়ে রাখতে পারবে না। বর্তমানে যে সংকট, এ সংকট গোটা জাতির। আওয়ামী লীগের হাতে দেশ কতটা নিরাপদ থাকবে? আগামী দিনের দেশ কেমন হবে, তা নির্ভর করছে আগামী কয়েক দিনের ওপর। তাই সবাইকে রাজপথে বের হয়ে আসতে হবে।

কেএইচ/এমএইচআর/এএসএম