‘দেশকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার করুন’
‘আগামী দিনে দেশকে রাজনৈতিক নেতৃত্বশূন্য করার ষড়যন্ত্র হিসেবে নির্বাচন ব্যবস্থা ও সব ধরনের রাজনৈতিক স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন করতেই বিগত দুটি সংসদ নির্বাচনের নামে দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা নষ্ট ও লুটপাট করা হয়েছে। এ অবস্থায় দেশকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে হলে বর্তমান নির্বাচন ব্যবস্থায় আমূল সংস্কার করতে হবে।’
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ছয়টি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত নতুন ‘জাতীয় জোট’র আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবে নতুন এ রাজনৈতিক জোটের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় জোটের আহ্বায়ক ও নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ কংগ্রেসের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট কাজী রেজাউল হোসেন।
তিনি বলেন, বর্তমান নির্বাচন ব্যবস্থায় সরকারের ইচ্ছার বাইরে কেউ নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ নাই। এ অবস্থায় আগামী সংসদ নির্বাচনে হলে রাজনীতিতে কোনো ইতিবাচক পরিবর্তন হবে না। বরং বর্তমান কমিশনের অধীনে নির্বাচন হলে আগামী দিনে দেশের বাকি সব অর্জনও ধ্বংস হয়ে যাবে।
রেজাউল হোসেন আরও বলেন, সরকারের ব্যর্থতায় দেশ এখন ব্যর্থ রাষ্ট্রের তালিকায় পড়ার ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে। বিদেশিরা নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে। এতে দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা দারুণভাবে শঙ্কিত। আগামী দিনে দেশ কোন দিকে যাবে সেটা কল্পনাও করতে ভয় হচ্ছে।
কাজী রেজাউল হোসেন বলেন, আমরা জোট করেছি নির্বাচনে যেতে। কিন্তু বর্তমান সরকার ও নির্বাচন ক্ষয়প্রাপ্ত নির্বাচন কমিশনের প্রতি সাধারণ জনগণের ন্যুনতম আস্থা নাই। নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার হলে জাতীয় জোট ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে। জাতীয় জোট’র দলগুলোর মধ্যে রয়েছে- বাংলাদেশ কংগ্রেস, গণঅধিকার পার্টি-পিআরপি, বাংলাদেশ পিপলস পার্টি, বাংলাদেশ গ্রিন পার্টি, বাংলাদেশ সৎ-সংগ্রামী ভোটার পার্টি ও বাংলাদেশ বেকার সমাজ।
বাংলাদেশ কংগ্রেসের মহাসচিব ও জাতীয় জোটের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মো. ইয়ারুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে জোট ঘোষণাকালে গণঅধিকার পার্টি-পিআরপির চেয়ারম্যান সরদার মো. আব্দুস সাত্তার, বাংলাদেশ বেকার সমাজের সভাপতি মো. হাসান, বাংলাদেশ পিপলস পার্টি’র চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা কামাল বাদল, বাংলাদেশ গ্রিন পার্টির চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মনছুর আহমেদ ও বাংলাদেশ সৎ-সংগ্রামী ভোটার পার্টির চেয়ারম্যান মো. মোবারক হোসেন।
পরে জোটের আহবায়ক অ্যাডভোকেট কাজী রেজাউল হোসেন নতুন জোটের আনুষ্ঠানিক ঘোষণাপত্র পাঠ করেন। এতে বেশ কিছু প্রস্তাবনা, ছয় দফা সুপারিশ ও নির্বাচনকালে সরকারের প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়।
এফএইচ/এসজে