ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

দেশকে অরাজকতা-দুর্নীতির দিকে ঠেলে দিয়েছে সরকার: অলি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৫:৪৫ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট অলি আহমদ বলেছেন, ‘সরকার নির্বিকার। সবাই নিজের ধান্দায় ব্যস্ত। সমগ্র দেশকে অরাজকতা, অপশাসন ও দুর্নীতির দিকে ঠেলে দেওযা হয়েছে, সর্বত্র হাহাকার। অন্যদিকে অতিবর্ষণ ও বন্যার কারণে মানুষের কষ্টের মাত্রা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। এ অবস্থার পরিবর্তন বা পরিত্রাণের কোনো লক্ষণ নেই। গরিবের ভাগ্য উন্নয়নের কোনো প্রকল্প নেই।’

শুক্রবার রাজধানীর পূর্ব পান্থপথথে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এলডিপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘নিত্যপণ্যের মূল্য হুহু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানুষের আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের সামঞ্জস্য নেই। এমনকি ডিম এবং আলুও বিদেশ থেকে আমদানি করার ব্যবস্থা হচ্ছে। রপ্তানি আয় প্রতিনিয়ত হ্রাস পাচ্ছে। আমদানিখাতে ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া দেশে নতুন কোনো বিনিয়োগ হচ্ছে না। কাঁচামালের অভাবে এরই মধ্যে অনেকগুলি কলকারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। নতুন অর্ডারের অভাবে কয়েকশ গার্মেন্টস কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। বেকারদের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। জনগণের বাঁচা মরার লড়াই, এদিকে তাদের কোনো মাথা ব্যথা নেই।’

তিনি বলেন, এমতাবস্থায় একমাত্র উপায় অবাধ সুষ্ঠু এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আওতায় জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। হয়তো এর মাধ্যমে মানুষের দূঃখ দূর্দশা লাঘব হবে।

অলি বলেন, আমাদের দাবি খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে যে সব গায়েবি মামলা এবং ফরমায়েশি মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়া, ফরমায়েশি সাজা প্রত্যাহার করে নেওয়া এবং বন্ধ করা। গ্রেফতার কর্মীদের মুক্তি দেওয়া। সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করা, তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। নির্বাচন কমিশন পুনঃগঠন করা, জনগণের সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করা, জনগণের হয়রানি বন্ধ করা।

সমাবেশে বক্তব্য দেন এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক এমপি নূরুল আলম তালুকদার, নেয়ামূল বশির, আওরঙ্গজেব বেলাল, এসএম মোরশেদ, সাকলায়েন, ভাইস-প্রেসিডেন্ট মাহে আলম চৌধুরী, উপদেষ্টা মাহবুবুর রহমান, কারিমা খাতুন, যুগ্ম মহাসচিব বিল্লাল হোসেন মিয়াজি প্রমুখ।

কেএইচ/এমআইএইচএস/জিকেএস