ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

দলের ভাঙন নিয়ে আমরা শঙ্কিত নই

সায়েম সাবু | প্রকাশিত: ০৯:৪৮ পিএম, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ফের ভাঙনের সুর বিএনপিতে। এরই মধ্যে বিএনপির দুই প্রভাবশালী নেতা শীর্ষ পদে যোগ দিয়েছেন ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার গড়া দল তৃণমূল বিএনপিতে। বিএনপি থেকে পদত্যাগকারী নেতা শমসের মবিন চৌধুরী ও বহিষ্কৃত তৈমূর আলম খন্দকার তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দেওয়ার পরেই আলোচনা হচ্ছে, ফের কি ভাঙতে যাচ্ছে বিএনপি?

অন্তত জাতীয় নির্বাচন কেন্দ্র করে তৃণমূল বিএনপিকে নির্বাচনী মাঠে চায় সরকার, যেখানে বিএনপি থেকে আসা বড় একটি অংশ নির্বাচনে অংশ নেবে। শমসের মবিন চৌধুরী সে ইঙ্গিতই দিয়েছেন ২৫০ আসনে নির্বাচনে প্রস্তুতির কথা বলে।

তৃণমূল বিএনপির অবস্থান, বিএনপির ভাঙন, সরকার প্রসঙ্গ নিয়ে কথা হয় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও প্রচার বিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির সঙ্গে।

আরও পড়ুন>> ‘হাসিনা সরকারের পতন ঘটলেও বিএনপি ক্ষমতায় আসবে না’

তৃণমূল বিএনপি বিষয়ে জানতে চাইলে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘কে কোথায় যাচ্ছে, কিচ্ছু শুনি নাই, দেখি নাই, জানি না। এরপর তো আর কোনো মন্তব্য থাকতে পারে না।’

কিন্তু বিএনপির সাবেক দুই নেতার তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দেওয়া তো এখন আলোচিত ঘটনা। জবাবে তিনি বলেন, ‘বহিষ্কৃতদের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য নেই। শমসের সাহেব পুরোই অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। মানুষের আবেগ তার বোঝার ক্ষমতাও থাকার কথা নয়। আর তৈমূর আলম খন্দকার রাজনীতিক কিন্তু দলের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক ছিল না সম্প্রতি।’

‘সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য নামছে। সরকারের পুতুল হিসেবে খেলবে। তাতে কোনো লাভ হবে না। এর আগেও সরকার এমন খেলা খেলেছে, তাতে কোনো লাভ হয়নি।’

সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য নামছে। সরকারের পুতুল হিসেবে খেলবে। তাতে কোনো লাভ হবে না। এর আগেও সরকার এমন খেলা খেলেছে, তাতে কোনো লাভ হয়নি।– মির্জা আব্বাস

আরও পড়ুন>> রাজনৈতিক নবায়ন অপরিহার্য হয়ে পড়ছে

‘সরকার বিএনপি ভাঙনের আরও চেষ্টা করবে। তবে কোনো ফল পাবে না। মানুষ আর কোনো ষড়যন্ত্র মেনে নেবে না। যারা সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করবে তারাই আগামীতে সমাজ থেকে খারিজ হয়ে যাবে।’ বলছিলেন মির্জা আব্বাস।

একই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির সঙ্গে এদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। অপাঙতেয় এই নেতারা আওয়ামী লীগের বি-টিম হিসেবে কাজ করছে বহু আগে থেকে। আরেকটি একদলীয় নির্বাচন করার জন্য তারা আওয়ামী লীগকে সহযোগিতা করছে, তা আমরা আগে থেকেই জানি। এখন তাদের চরিত্র গোটা জাতি জানতে পারছে।’

‘২০১৪ ও ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগ একইভাবে নির্বাচন করেছে এবং সেখানে কিছু ব্যক্তি এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে দিয়েছে। কিন্তু এবার আর সুযোগ মিলবে না। দেশের মানুষ এখন ঐক্যবদ্ধ। সরকারের পতন ছাড়া জাতির সামনে আর কোনো পথ খোলা নেই। আমরা আন্দোলন আরও দুর্বার করার মধ্য দিয়ে একদফা দাবি আদায় করেই ছাড়বো ইনশাআল্লাহ।’ বলেন এ্যানি।

আরও পড়ুন>> জামায়াতকে ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই

আওয়ামী লীগ তো গত দুটি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নিজেদের অবস্থান আরও পোক্ত করতে পেরেছে। বিএনপি এবার সফল হবে?

ভাঙন নিয়ে আমরা শঙ্কিত নই। বিএনপি জনগণের দল। জনগণই বিএনপিকে নিয়ন্ত্রণ করে। যারা ব্যক্তি স্বার্থ বড় করে দেখে দলের সঙ্গে বেঈমানি করে তারা কখনই দলের ছিল না। আমরা এই জুলুম-নির্যাতনের মধ্যেও ঐক্যবদ্ধ আছি। এটিই আমাদের প্রথম সফলতা।–শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি

জবাবে বলেন, ‘এটি কি রাজনীতি? আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ কী? পালানোর পথ খুঁজছে। ক্ষমতায় না থাকলে আওয়ামী লীগের কী পরিণতি হবে, তাতে দলটির নেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। একটি ফ্যাসিবাদী দল জোর করে ক্ষমতা দখল করে রেখেছে। কিন্তু শেষটাও ভাবতে হবে। ক্ষমতায় কেউই চিরদিন স্থায়ী করতে পারেনি। আওয়ামী লীগও পারবে না। প্রকৃতির বিধান এটি। অযথা বিপদ বাড়িয়ে তুলছে। এতে দেশের ক্ষতি জনগণের ক্ষতি।’

বিএনপি আরও ভাঙন কবলে কি না? ‘ভাঙন নিয়ে আমরা শঙ্কিত নই। বিএনপি জনগণের দল। জনগণই বিএনপিকে নিয়ন্ত্রণ করে। যারা ব্যক্তি স্বার্থ বড় করে দেখে দলের সঙ্গে বেঈমানি করে তারা কখনই দলের ছিল না। আমরা এই জুলুম-নির্যাতনের মধ্যেও ঐক্যবদ্ধ আছি। এটিই আমাদের প্রথম সফলতা।’

আন্দোলন প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা কোনো ঢিমে-তালে নেই। মনে রাখতে হবে নীরবতাও আন্দোলনের অংশ। আমরা জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে পেরেছি। আমরা বোঝাতে সক্ষম হয়েছি এই স্বৈরাচার সরকারের পতন ছাড়া মুক্তির কোনো পথ নেই। যে কোনো মুহূর্তে জনবিস্ফোরণ ঘটবে। জনগণ তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবেই। অতীতে কোনো আন্দোলনই বৃথা যায়নি।’

এএসএস/এএসএ/জেআইএম