যতই গ্রেফতার করেন আন্দোলন চলবে: ফারুক
সরকারের উদ্দেশ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদিন ফারুক বলেছেন, আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার করছেন, গ্রেফতার করছেন। এ অবিচার, গ্রেফতার করে কোনো কাজ হবে না, আন্দোলন চলবেই।
তিনি বলেন, আমাদের দাবি নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচন। আমাদের এ দাবির সঙ্গে দেশের ৮৫ ভাগ মানুষ একমত।
রোববার (২০ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতন্ত্র ফোরাম আয়োজিত দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি এবং সারাদেশে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার বন্ধের দাবিতে প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।
জয়নুল আবেদিন ফারুক বলেন, এদেশের মানুষ সরকারের কাছে অনেক ধোকা খেয়েছেন আর ধোকা খেতে চায় না। তাই এদেশের জনগণ আজ রাজপথে আন্দোলনে শামিল হয়েছেন। আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটাতে হবে, এর কোনো বিকল্প নেই। বাংলাদেশের আনাচে কানাচে যে যেখানে আছেন সেখান থেকেই স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে এবং যতদিন পর্যন্ত এই সরকারের পতন না হবে ততদিন পর্যন্ত বুকের তাজা রক্ত ঢেলে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, আজকে আমরা সবার সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে এ সরকারের পতন নিশ্চিত করতে চাই। আজ আমাদের লড়াই ভোট অধিকারের লড়াই। আজকের লড়াই গণতন্ত্রের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই। যতদিন পর্যন্ত লড়াই প্রতিষ্ঠিত না হবে ততদিন পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো। বাংলাদেশের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে তারা যে খেলা শুরু করেছেন তা এ দেশের ইতিহাসে কাল অধ্যায় হয়ে রচিত থাকবে।
আরও পড়ুন> ছাত্রদলের ৬ নেতা গ্রেফতার/জনমনে ভীতি ও আতঙ্ক ছড়াতে আগ্নেয়াস্ত্র রাখা হয়: ডিবি
সরকারের উদ্দেশ্যে সাবেক চিফ হুইপ বলেন, আপনারা দেশের জনগণের যে টাকা লুট করেছেন তার হিসাব যখন দিতে পারেন না তখন আপনাদের ক্ষমতায় থাকার কোনো অধিকার নেই। আপনারা আমাদের লোকদের, নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছেন নির্যাতন করছেন। কত গ্রেফতার করবেন? গ্রেফতার করে শেষ করতে পারবেন না। আমাদের আন্দোলন চলবে। আমাদের যে আন্দোলন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি এটা বর্তমানে দেশের ৮৫ ভাগ মানুষেরও দাবি। এই দাবি আপনাকে মানতে হবে।
বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমতুল্লাহ বলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি দেশের প্রতিটি মানুষ এখন চায়। খালেদা জিয়া কোনো অন্যায় করেননি। তিনি অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেন না। তিনি গণতন্ত্রের মা, জনসাধারণের দেশনেত্রী, তাকে জোর করে আটকে রেখেছেন। আপনারা চিরদিন ক্ষমতায় থাকবেন না এদেশের জনগণ ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আপনাদের ক্ষমতাচ্যুত করবে। আজ বাংলাদেশের জনসংখ্যা হচ্ছে ১৮ কোটির ওপরে। ১৮ কোটি মানুষ আজ ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। সেই সময়ে পুলিশ ছিল জনগণের বন্ধু। আজ পুলিশের কিছু অংশ সরকারের পক্ষ নিয়ে স্বৈরাচার সরকারের সঙ্গে আঁতাত করছে। আজকে এই চোর সরকার দেশটাকে কোথায় নিয়ে গেছে। এই চোরেরা আজ ভয়ে আতঙ্কিত।
আরও পড়ুন> নাশকতার প্রস্তুতি/রাজধানীতে অস্ত্রসহ ছাত্রদলের ছয় নেতা গ্রেফতার
গণতন্ত্র ফোরামের সভাপতি ভিপি ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মিয়া মো. আনোয়ার, কৃষক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলম, ঢাকা মহানগর ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক কাজী রফিক, মৎস্যজীবী দলের সদস্য ঈসমাইল হোসেন সিরাজী।
কেএইচ/এসএনআর/এমএস