‘শালারা ধান্ধাবাজ, নেতা দেখলেই সেলফি তোলে’
‘শালারা ধান্ধাবাজ। নেতা দেখলেই সেলফি তুলতে পাগলা হয়ে যায়। আন্দোলনের কর্মসূচিতে এত কর্মী থাকে কোথায়। দল ক্ষমতায় আইলে এই সেলফি দিয়া ব্যবসা করবো।’ শনিবার সকাল আনুমানিক ৮টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনষ্টিটিউটের বিএনপির ৬ষ্ঠ কাউন্সিল অধিবেশনস্থলের অদূরে ফুটপাতে চায়ের টং দোকানে দাঁড়িয়ে এভাবেই ক্ষোভ প্রকাশ করে কথাগুলো বলছিলেন মধ্যবয়সী এক লোক।
কৌতুহলবশত সামনে এগিয়ে যেতেই দেখা গেল কর্মী পরিবেষ্টিত হয়ে আছেন বিএনপির শীর্ষ নেতা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব:) হান্নান শাহ্। তিনি কিছু কর্মীকে ডেকে পরামর্শ ও নির্দেশনা দিচ্ছিলেন। এ সময় শুরু হয় সেলফি তোলার প্রতিযোগিতা। কর্মীরা একে অপরকে ঠেলাধাক্কা দিয়ে সেলফি তুলতে ব্যস্ত। অনেকেই নিজের ক্যামেরাটি অন্যের কাছে দিয়ে সেলফি তুলে দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছিলেন। বিষয়টি হান্নান শাহরও চোখ এড়ায়নি।
এক পর্যায়ে হান্নান শাহ্ ধমক দিয়ে বলে উঠেন, তোমরা এখান থেকে সরে যাও। ভেতর (সম্মেলনস্থল) থেকে যেভাবে নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে সেভাবে কাজ করো। যেভাবেই হউক সম্মেলন সফল করতে হবে।
কিছুক্ষণ আগে যে লোকটি ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বললেন, বুঝলেন সাংবাদিক ভাই, দীর্ঘদিন বিএনপির রাজনীতি করি। দলটিকে ভালবাসি। কিন্তু বর্তমানে দল আগের মতো শক্তিশালি নেই।
গত ৭/৮ বছরে হাসিনার সরকার বিএনপির নেতাকর্মীদের দমন পীড়ন করে দলের কোমড় ভাইঙ্গা দিছে। এখন সেই আগের মতো নেতাও নাই কর্মীও নাই। সবাই সুবিধার রাজনীতি করে। ম্যাডাম আন্দোলনের ডাক দিলে কেউ মাঠে নামে না।
তার মতে বর্তমানে অবৈধভাবে ক্ষমতাসীন সরকারকে হটাতে হলে রাজপথে রক্ত ঝরানোর বিকল্প নেই।
তিনি আরো বলেন, এখন ধান্ধাবাজে দল ভরে গেছে। নেতা দেখলেই সেলফি তুলে রাখে। দল ক্ষমতায় আইলে এগুলো দেখাইয়া ব্যবসা করবো বলেই সোজা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে চলে গেলেন তিনি।
এমইউ/এএইচ/এমএস