ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

পুলিশের লাঠিচার্জে আহত

সাঁটার ফেলে কাউন্টারে আশ্রয় নিয়েছিলেন গয়েশ্বর

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৩:৪৯ পিএম, ২৯ জুলাই ২০২৩

রাজধানীর ধোলাইখাল। এখানে ‘সাগর ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি’ নামে একটি পরিবহনের কাউন্টার রয়েছে। পুলিশের লাঠিচার্জে আহত হয়ে এই কাউন্টারে আশ্রয় নিয়েছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তখন তার সাদা পাঞ্জাবিতে রক্ত ছিল। কাউন্টারের সাঁটার ফেলে ভেতরে চেয়ারে বসেছিলেন তিনি। সেখানে গিয়ে সাঁটার খুলে পুলিশ সদস্যরা ভেতরে প্রবেশ করেন।

এরপর এই কাউন্টার থেকেই গয়েশ্বরকে ধরে নিয়ে যান লালবাগ জোনের সহকারী কমিশনারের নেতৃত্বে কয়েকজন পুলিশ সদস্য। তখন কয়েকজন পুলিশ সদস্য তাকে চেয়ার থেকে উঠিয়ে বের করছিলেন। এসময় গয়েশ্বরকে খুড়িয়ে খুড়িয়ে হাঁটতে দেখা যায়। তখন তার কাছে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে কিছুই বলতে পারেনি তিনি। এরপর পুলিশের গাড়িতে করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

আরও পড়ুন: কোমর থেকে নিচ পর্যন্ত বেধড়ক পিটিয়েছে: গয়েশ্বর

jagonews24

এরপর দুপুরের দিকে ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ জানান যে, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে সংঘর্ষের সময় সেভ করা হয়েছিল। ওই সময় বিএনপির কর্মীরা ঢিল ছুঁড়তে থাকেন। তখন তাকে সেভ করে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়। এরপর ডিবির গাড়িতে করে বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয় তাকে।

আরও পড়ুন: দিনভর সংঘর্ষ: ৯০ নেতাকর্মী আটক, ২০ পুলিশ আহত

এর আগে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শনিবার নয়াবাজার (বাবুবাজার ব্রিজের প্রবেশ মুখ) মোড়ে বিএনপির অবস্থান নেওয়ার কথা ছিল। এর বদলে দলটির কয়েকশত নেতাকর্মী ধোলাইখাল মোড়ে অবস্থান নেন। এসময় অনেকের হাতে ছিল বাঁশ ও প্লাস্টিকের পাইপে বাধা জাতীয় পতাকা। বিএনপির নেতাকর্মীরা শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন।

jagonews24

ধোলাইখাল মোড়ের রাস্তার ডান দিকে ৫০ জনের মতো পুলিশ সদস্য দাড়িয়ে ছিলেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের সামনে এসে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।

আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর পাঠানো দুপুরের খাবার-ফল-জুস দেওয়া হলো আমানকে

সরজমিনে দেখা যায়, স্লোগানের একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ। বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট নিক্ষেপ করতে থাকেন। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নিক্ষেপ করে কাঁদানে গ্যাস।

jagonews24

সংঘর্ষের প্রথম দিকে বিএনপি নেতা আব্দুস সালামসহ দলটির কয়েকজন নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ। এছাড়া বেশ কয়েকজন বিএনপির নেতাকর্মী আহত হন। এছাড়া সূত্রাপুর থানার এসআই নাহিদসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্যও আহত হন।

পুলিশের লালবাগ জোনের ডিসি জাফর হোসেন বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিল পুলিশ। বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশকে দেখে উস্কানি দিতে থাকেন। উস্কানির একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে।

জেএ/জেডএইচ/জেআইএম