খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে যোগ দিচ্ছেন নেতাকর্মীরা

বিভিন্ন এলাকা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে যোগ দিচ্ছেন নেতাকর্মীরা। এসময় তারা নানা ধরনের স্লোগান দিচ্ছেন। নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবি জানাচ্ছেন। ইতো মধ্যে মূল সমাবেশ মঞ্চের চারপাশসহ পল্টন থানা পর্যন্ত নেতাকর্মীদের আনাগোনায় ভরে গেছে। অনেকে অবস্থান করছেন পল্টন এলাকার বিভিন্ন গলিপথ ও মার্কেটের সামনেও।

শুক্রবার (২৮ জুলাই) নয়াপল্টন, ফকিরাপুল, দৈনিক বাংলা ও মতিঝিল এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

আরও পড়ুন> সরকারের বিভিন্ন এজেন্ট মহাসমাবেশে ঝামেলা করতে পারে: আমান

সমাবেশস্থলে আসা নেতা-কর্মীদের অনেকে দাবি করছেন ঢাকা অভিমুখে পথে পথে তল্লাশি করা হয়েছে। একাধিক কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

চাঁদপুর থেকে আসা ছাত্রদল কর্মী রহমান পাটোয়ারি জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের সমাবেশস্থলে আসার সময় তল্লাশি করা হয়েছে। অনেককে হয়রানি করা হয়।

পাবনা থেকে আসা বিএনপি কর্মী হামিদুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, সাভার থেকে চেক করা হয়েছে,অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমিন বাজার এলাকায় আমাদের পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সমাবেশ স্থলের বাইরে মতিঝিল, ফকিরাপুল, দৈনিক বাংলা, কালভার্ট মোড় এলাকায় রয়েছে বিপুল সংখ্যক বিএনপিকর্মী। তারা নিজ নিজ এলাকার নিজ নেতার ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে অবস্থান নিয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতিও রয়েছে চোখে পড়ার মতো। পুলিশ-গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে বিপুল পরিমাণ আনসার সদস্যরাও রয়েছে।

এদিকে, রাত থেকে মহাসমাবেশে আসা তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা বলছেন, সরকার পতনের এক দফা দাবির আন্দোলনে তারা ঢাকায় এসেছেন। যতক্ষণ সরকার পদত্যাগ না করবে ততক্ষণ পর্যন্ত তারা রাস্তায় অবস্থান করবেন। মহাসমাবেশ থেকে সর্বোচ্চ কঠোর কর্মসূচি প্রত্যাশা করছেন তারা।

আরও পড়ুন>‘সরকার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত রাস্তায় থাকবো’

গাজীপুরের বিএনপি নেতা ইকবাল হাসান সরকার বলেন, ‘দফা এক, দাবি এক; শেখ হাসিনার পদত্যাগ। এই দাবি আদায়ে প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতি ভবন ঘোরাও কর্মসূচি চাই। যতক্ষণ পর্যন্ত শেখ হাসিনা সরকার পদত্যাগ না করবে ততক্ষণ আমরা রাস্তায় আমরণ অবস্থান করবো।’

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ফারহান উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘১৫ বছর ধরে নির্যাতিত হচ্ছি। জনগণকে মুক্তি দিতে, জনগণের গণঅধিকার, ভোটের দাবি নিয়ে রাস্তায় এসেছি। আমাদের এক দফা, এক দাবি; শেখ হাসিনার পদত্যাগ। সরকারের পদত্যাগ ঘটিয়ে বাড়ি ফিরবো। কেন্দ্রীয় নেতাদের অনুরোধ করছি, প্রয়োজনে অবস্থান ধর্মঘটের কর্মসূচি দেন। আমরা রাস্তায় থাকবো।

শেরপুর জেলা যুবদল নেতা সাজ্জাদুল আলম বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। এই দাবি আদায়ে রাজপথে নেমেছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ বন্ধ করে দিতে চাই।’

ইএআর/এসএনআর/জিকেএস