গণঅধিকার পরিষদ থেকে অপসারণ, যা বললেন রেজা কিবরিয়া
গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়কের পদ থেকে ড. রেজা কিবরিয়াকে অপসারণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। শনিবার (১ জুলাই) বেলা ১১টায় মো. রাশেদ খানের নেতৃত্বে হওয়া সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। পরে রাতে ড. রেজা কিবরিয়া পাল্টা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি নিজের ফেসবুকে প্রকাশ করেন। যেখানে তিনি দাবি করেন, রাশেদ খানের নেতৃত্বে হওয়া সভাটি অবৈধ। ওই সভায় কোনো কোরাম পূরণ হয়নি।
রেজা কিবরিয়ার প্রেস সচিব ও গণঅধিকার পরিষদের সহ-দপ্তর সমন্বয়ক শাহাবুদ্দিন শুভ সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শনিবার বেলা ১১টায় পল্টনে প্রিতম জামান টাওয়ারে গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়ার আহ্বানে জরুরি সভা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জীবননাশের হুমকি পেয়ে পথিমধ্যে থেকে ফিরে যান তিনি।
আরও পড়ুন: গণঅধিকার পরিষদের সভায় রেজা কিবরিয়ার চেয়ারে রাশেদ খান
বিজ্ঞপ্তিতে রাশেদ খানকে বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক দাবি করে বলা হয়, রাশেদ খানের সভাপতিত্বে একটি কোরামবিহীন সভা হয় যা অবৈধ। সভায় ৪২ জন উপস্থিত ছিলেন এবং অনেকে রেজুলেশনে সই করেননি। তারপরও ৮৬ জন উপস্থিত দেখিয়ে যে প্রেস রিলিজ দেওয়া হয়েছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। সভা চলাকালীন ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়ের নামে বহিরাগত লোকজন জড়ো করে একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতির তৈরির পূর্ব পরিকল্পনা ছিল নুরুল হক নুরের।
রেজা কিবরিয়ার সংবাদ বিজ্ঞপ্তি আরও দাবি করা হয়, গণঅধিকার পরিষদের দপ্তর সম্পাদক শাকিলুজ্জামান সই করা যে বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়েছে তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট।
এর আগে বেলা ১১টায় ড. রেজা কিবরিয়ার অনুপস্থিতিতে পূর্বঘোষিত দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্যদের বিশেষ জরুরি সভা হয়। সভায় ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন দলটির এক নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রাশেদ খান। দলের চলমান সংকট নিরসনে জরুরি পরিস্থিতি বিবেচনায় ১০ জুলাই দলটির জাতীয় কাউন্সিলের আগ পর্যন্ত তিনি এ পদে দায়িত্ব পালন করবেন।
আরও পড়ুন: ‘বিশৃঙ্খলা এড়াতে’ জরুরি সভায় আসলেন না রেজা কিবরিয়া
এরপর বিকেলে এই সভার বিষয়ে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য আহ্বায়কের (ড. রেজা কিবরিয়া) প্রতি অনাস্থা প্রস্তাব সমর্থন করায় তাকে অপসারণের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
গণঅধিকার পরিষদের দুই নেতা নুরুল হক নুর ও রেজা কিবরিয়ার পরস্পরবিরোধী অবস্থান এবং পাল্টাপাল্টি অভিযোগে দলটিতে চলছে অস্থিরতা। তাদের মধ্যে বিরোধের জেরে পাল্টাপাল্টি বহিষ্কারও চলছে।
সম্প্রতি দলের আর্থিক অস্বচ্ছতাসহ নানা ইস্যুতে রেজা কিবরিয়ার সঙ্গে নুরুল হক নুরের মতপার্থক্য তৈরি হয়। সরকারের সঙ্গে নুরের ‘আঁতাতের’ ইঙ্গিত করেন রেজা কিবরিয়া। এমনকি নুরুল হকের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে বৈঠক করার অভিযোগ করেন।
অন্যদিকে নুরুল হক পাল্টা অভিযোগ করেন যে, রেজা কিবরিয়া ইনসাফ কায়েম কমিটির কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। এজন্য অর্থ পাচ্ছেন তিনি।
জেডএইচ/