‘বগুড়ায় নয়-ছয় করে হারানো হয়েছে, প্রতিবাদে ঢাকায় ভোট করছি’
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম। মনোনয়নপত্র দাখিল করে তিনি বলেন, বগুড়ার দুই উপ-নির্বাচনে আমাকে নয়-ছয় করে হারানো হয়েছে। এখানে আমার অংশগ্রহণ একটা প্রতিবাদের মশাল বলতে পারেন। এজন্যই আমি ভোট করছি।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) দুপুর ২টায় আগারগাঁওয়ে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) মনোনয়নপত্র জমা দেন হিরো আলম। এর আগে বুধবার রাতে অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়েও পারেননি।
পরে আজ দুপুরে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইনকে হিরো আলম বলেন, আমরা অনলাইনে কিন্তু (ফরম) পূরণ করিনি। আমরা চেষ্টা করেছি। খালি বলে... আপনার সার্ভার দুর্বল। টাকা ব্যাংকে জমা দিয়েছি (কিন্তু অনলাইনে মনোনয়ন ফরম জমা দিতে পারিনি)।
মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন হিরো আলম
এরপর সাংবাদিকদের হিরো আলম বলেন, আমার পেছনে কেউ নেই। ভবিষ্যতে যদি কোনো দলে যোগ দেই তাহলে বুঝবেন আমার পেছনে কেউ আছে। আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী, বিএনপি বা অন্য কোনো দল আমার সঙ্গে নেই।
তিনি বলেন, ‘বারবার তারা আমাকে কেন হারাইতেছে। আমার জেতা ভোট, কেন ক্ষমতা বুঝে পেলাম না। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ভোট করছি। ওরা ওইখানে আমাকে হারাইছে। এখানে আমাকে হারাবে কি না আমি দেখবো। প্রতিবাদের মশাল হিসেবে এখানে ভোট করছি। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমাকে হারাতে পারবে না।’
গাজীপুর সিটি নির্বাচনে বিশ্বাস অর্জন করেছি জানিয়ে হিরো আলম বলেন, গাজীপুরের নির্বাচন দেখে মনে হয়েছে ঢাকায়ও সুষ্ঠু ভোট হবে। তবে বরিশালের নির্বাচন আপনারা দেখেছেন। বরিশালের মতো ভোট হলে জিততে পারবো না।
ঢাকা-১৭ আসনে মূলত এলিট শ্রেণির মানুষের বসবাস। এই এলিটদের ভোট পাবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এলিট বলতে আপনি কী বোঝাতে চান? তারা ভোট দিতে আসেন কি না সেটা ভোটের দিন দেখবেন। কয়টা লোক আসে দেখবেন। শুধু ওইখানে এলিট শ্রেণি আছে, এর বাইরে নাই? শিক্ষিত লোক শুধু ওই এলাকায় আছে? কড়াইল বস্তি, ভাসানটেকে শিক্ষিত ব্যক্তিরা থাকে না? সব কি ওই এলাকায় থাকে?
এসএম/কেএসআর/জিকেএস