ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

আমেরিকার ভিসানীতি আমাদের জন্য লজ্জার: আযম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০২:২৭ পিএম, ০৬ জুন ২০২৩

ভিসানীতির পর সরকার দিশেহারা হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান। মঙ্গলবার (৬ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টু, যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফরুজ্জামান বাবরের বিরুদ্ধে সাজা বাতিল ও গ্রেফতার নেতাদের মুক্তি এবং ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়।

এসময় আযম খান বলেন, সরকার বলছে যুক্তরাষ্ট্র ভিসানীতি বিএনপির বিরুদ্ধে প্রয়োগ করছে। আমরা ভিসানীতিকে স্বাগত জানাই। আমরা সুষ্ঠু ভোটের বিরুদ্ধে নই। আমরা চাই সুষ্ঠু নির্বাচন। সরকারপ্রধান বলছেন তারা যুক্তরাষ্ট্র যাবে না। যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোনো পণ্য কিনবে না। বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের ২০ মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ আছে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি বাজার। করোনার সময় যুক্তরাষ্ট্র ছয় কোটি ভ্যাকসিন বিনামূল্যে দিয়েছে। মিয়ানমার থেকে যে রোহিঙ্গারা এসেছেন তাদের খাবার-পরানোর দায়িত্ব পালন করছে যুক্তরাষ্ট্র। এখন সরকার শুধু অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। এ সরকার দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে জনগণকে বিপদে ফেলতে চায়। তা জনগণ মেনে নেবে না।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের ওপর ভিসানীতি দেয়, স্যাংশনস দেয়। এটা আমাদের জন্য আনন্দের নয়, লজ্জার কথা। স্বাধীন সার্বভৌমত্ব একটি রাষ্ট্রে অন্য দেশ নিষেধাজ্ঞা দেয়। শুধুমাত্র সেই দেশের সরকারের দুঃশাসন, দুর্নীতির কারণে। তাদের দুর্বৃত্তায়নের কারণে। বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে বিএনপির নেতাকর্মীদের সাজা দিচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিনা কারণে বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে, হয়রানি করছে। এর প্রমাণ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে থাকার কারণে গণতন্ত্র ফিরে আনার লক্ষ্যে ভিসানীতি প্রয়োগ করেছে।

তিনি বলেন, আজ এমন একটা অবস্থায় পৌঁছে গেছে আওয়ামী লীগ, তারা সম্পূর্ণভাবে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। জনগণের আশপাশে তারা নেই। জোড় করে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য তারা সব সাংবিধানিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। গণঅভ্যুত্থানে তাদের বিদায় করা হবে।

আযম খান বলেন, জিয়াউর রহমান তলাবিহীন ঝুঁড়ি থেকে দেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছিলেন। দেশের জনগণকে এক কাতারে নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ দেশকে বিভক্ত করেছে। শহীদ জিয়ার পথ ধরে বেগম খালেদা জিয়া দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রেখেছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে আসতে দিচ্ছে না। বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণ করা হচ্ছে। বিচার বিভাগের ঘাড়ে বন্দুক রেখে সরকার বেআইনি কাজ করছে। বিচারপতিদের আমি বলবো, আপনারা সরকারের এমন অন্যায় নির্দেশ মেনে নেবেন না। অন্যথায় জনগণ আপনাদের বিচার করবে। সব ফরমায়েশি সাজা বাতিল করে গ্রেফতার নেতাকর্মীদের মুক্তি দিন।

বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবীব লিংকন, বিএনপির শিশুবিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম সিদ্দিকী, বিএনপির প্রান্তিক জনশক্তি উন্নয়ন বিষয়ক সহ-সম্পাদক অপর্ণা রায় দাস, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন ভুলু, বিএনপির নির্বাহী কমিটির আলমগীর হোসেন প্রমুখ।

কেএইচ/ইএ/জেআইএম