তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে বাধ্য করা হবে: শাহাদাত
দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনকে বেগবান করতে হবে জানিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে শেখ হাসিনাকে বাধ্য করা হবে। আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের পায়ের তলায় মাটি নেই। তাই তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে ভয় পায়। নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচনে তাদের যত ভয়। কারণ নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে তারা ক্ষমতায় আসতে পারবে না। এ দেশের জনগণ তাদের ভোট দেবে না। আওয়ামী সরকার বিগত ১৪ বছরের জনগণের টাকা লুটপাট করেছে। লুটপাট করে ব্যাংক খালি করেছে। দেশের অর্থনীতি পঙ্গু করে দিয়েছে। দুর্নীতি করে দেশের রিজার্ভ তলানিতে নিয়ে এসেছে। এ আওয়ামী সরকার বাংলাদেশকে একটি তলাবিহীন ঝুঁড়িতে পরিণত করেছে। এ সরকারকে আর বেশিদিন ক্ষমতায় থাকতে দেওয়া যাবে না। তাই রোববার (২৮ মে) পদযাত্রা সফল করতে হবে।
শনিবার (২৭ মে) বিকেলে নগরীর কাজির দেউড়ি সংলগ্ন নাসিমন ভবন মাঠে মহানগর বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত এক প্রস্তুতি সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নে কেন্দ্র ঘোষিত রোববারের পদযাত্রা সফল করতে কোতোয়ালি, বাকলিয়া, চকবাজার, সদরঘাট, চাঁদগাঁও, পাঁচলাইশ, বায়েজীদ থানা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন নিয়ে এ প্রস্তুতি সভার আয়োজন করে মহানগর বিএনপি।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, শুক্রবার খাগড়াছড়িতে যাওয়ার পথে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানের গাড়ি বহরে হামলা করা হয়েছে। আজকের প্রস্তুতি সভা থেকে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি। সেইসঙ্গে অবিলম্বে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. কামরুল ইসলামের সঞ্চালনায় আয়োজিত প্রস্ততি সভায় বক্তব্য দেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রমবিষয়ক সম্পাদক এম নাজিম উদ্দিন, মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব বাবুল হাসেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান।
এছাড়া সভায় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এম এ সবুর, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আব্দুর সাত্তার, এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, শাহ আলম, ইস্কান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জয়নাল আবেদিন জিয়া, হারুন জামান, আবুল ফয়েজ, আর ইউ চৌধুরী শাহিন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, গাজী সিরাজ উল্লাহ, নগর যুবদলের সভাপতি মোশারফ হোসেন দীপ্তি, থানা বিএনপির সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী, আজিম উদ্দিন, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, মোহাম্মদ হারুন, নগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, নগর মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা জেলি চৌধুরী, থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নূর হোসেন, মনির চৌধুরী, জাকির হোসেন, আব্দুল কাদের জসিম, সিনিয়র সহ-সভাপতি এমআই চৌধুরী মামুন, নগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক মোহাম্মদ সাইফুল আলম, সদস্যসচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন, নগর কৃষকদলের সচিব কামাল পাশা নিজামী চৌধুরী, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নবাব খান, মশিউল আলম শ্বপন, মনজুর আলম মঞ্জু, আব্দুল্লহ আল সগীর, শামছুল আলম, আলাউদ্দিন আলী নুর, আক্তার খান, এসএ মফিজুল্লাহ, আসলাম, ইলিয়াস, রাসেল পারভেজ সুজন, ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদ এমএ হালিম বাবলু, হাজী ইমরান উদ্দিন, মোস্তাক আহমেদ, আবুল বাশার, মাসুদুল কবির রানা, নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এমডিআইএইচ/এমএএইচ/জেআইএম