ঈদের আগে কারাবন্দি আলেমদের মুক্তি চায় হেফাজত
আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগে কারাবন্দি হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মী ও আলেমদের মুক্তি দাবি জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানিয়েছেন সংগঠনটির আমীর আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও সিনিয়র নায়েবে আমীর আল্লামা মুহাম্মদ ইয়াহইয়া।
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, মিথ্যা মামলা দিয়ে দেশব্যাপী হেফাজতের শত শত নেতাকর্মী ও আলেমকে গ্রেফতার করে জেলে রাখা হয়েছে। যাদের একটা অংশকে বিনা বিচারে এখনো কারাবন্দি করে রাখা হয়েছে। বিনা বিচারে কাউকে বন্দি করে রাখা ‘বিচার বহির্ভূত শাস্তি’। ব্যক্তি, গোষ্ঠী, কোন বাহিনী বা সরকার যেই করুন না কেন, এটা অপরাধকর্ম। যা বাংলাদেশের সংবিধান, নাগরিকের মৌলিক মানবাধিকার এবং বিদ্যমান আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন।
তারা বলেন, বিচার বহির্ভূতভাবে আলেম-ওলামাদের শাস্তি দেওয়ার যে কৌশল সরকার প্রয়োগ করছে, তা চীনের জিনজিয়ান প্রদেশে বসবাসকারী মুসলিম উইঘুর সম্প্রদায়ের ওপর পরিচালিত নির্যাতনের সঙ্গে তুলনীয়। এসব মানবতাবিরোধী অপরাধ নিয়ে তদন্ত করার জন্য আমরা মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
বিবৃতিতে হেফাজতের দুই শীর্ষ নেতা সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগে মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী, মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজী, মুফতি মাহমুদুল হাসান গুনবি, মাওলানা মামুনুল হকসহ কারাবন্দি সব আলেম-ওলামা ও হেফাজতে ইসলামীর নেতা-কর্মীদের শর্তহীনভাবে মুক্তি দিন। তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করুন। তাদের পরিবারে ফিরে গিয়ে ঈদ-উৎসব পালনের অধিকার দিন।
অন্যথায় দ্রব্যমূল্যের আকাশছোঁয়া ঊর্ধ্বগতি ও বহুমাত্রিক নাগরিক অসন্তোষে বিক্ষুব্ধ বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গন যেভাবে অস্থির হয়ে ওঠছে, সেখানে দেশের ইসলাম অনুরাগী তৌহিদী জনতাকে শান্ত রাখা দরূহ হয়ে পড়বে।
এসএম/এমএএইচ/এমএস