জন্মদিনের পৃথক অনুষ্ঠান
দেবর-ভাবির দ্বন্দ্ব প্রমাণ করে না: রওশন
‘দলীয়ভাবে নেতার জন্মদিন স্মরণ করে কর্মসূচি পালন করেছে, বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে আমিও দোয়ার আয়োজন করেছি। এতে কোনোভাবেই দ্বন্দ্ব বা বিভেদ প্রমাণ করে না। এরশাদের স্মৃতি নিয়ে এগিয়ে যাবে তার দল। যারা তার নির্দেশনা অনুযায়ী চলবেন না, তাদের চলার পথ সুগম হবে না।’
সোমবার (২০ মার্চ) গুলশানে বিরোধীদলীয় নেতার বাসভবনে জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ৯৪তম জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটা ও দোয়া মাহফিলে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিরোধীদলীয় নেতা ও পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ এ মন্তব্য করেন।
এদিন কাকরাইলে আলাদা অনুষ্ঠান করে এরশাদের জন্মদিন উদযাপন করেছে, তার ভাই ও দলটির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরের অনুসারীরা।
এরশাদ পত্নী বলেন, আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসায় আমি আবার সুস্থ হয়ে ফিরে এসেছি। জাতীয় পার্টি এরশাদের নিজস্ব পার্টি। কল্যাণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে তিনি এই পার্টি দাঁড় করিয়েছেন। তিনি আর আমাদের মাঝে নেই। তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে সবাইকে দোয়া করার আহ্বান জানান জাপার প্রধান পৃষ্ঠপোষক।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এরশাদ পুত্র রাহগির আল মাহি সাদ এরশাদ বলেন, আমার কাছে আপনারাই পরিবার। সে কারণে দলের নেতাকর্মীরা পরিবারের সদস্য বলেই আপনারা আমার আপনজন। সবাইকে নিয়েই এগিয়ে যাবো আমি।
এ সময় আরও বক্তব্য দেন সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বিরোধী দলীয় নেতার মুখপাত্র কাজী মামুনূর রশীদ, সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ও চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা, বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গা, সাবেক প্রতিমন্ত্রী গোলাম সরোয়ার মিলন, প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু।
সাবেক উপদেষ্টা রফিকুল হক হাফিজ, প্রেসিডিয়াম সদস্য নাজমা আক্তার এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য ক্বারী হাবিবুল্লাহ বেলালী, সাবেক প্রেসিডিয়াম ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গহীর, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা রওশন আরা মান্নান, সাবেক উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম নূরু অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
এসএম/এমআরএম/জিকেএস