ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

ক্ষমতার মসনদ যে কোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়বে: ফখরুল

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:২৮ পিএম, ১৪ মার্চ ২০২৩

জনগণের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর না করলে বর্তমান অবৈধ সরকারের ক্ষমতার মসনদ যে কোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বর্তমান সরকারের সব অপকর্ম ও অপশাসনের অবসান ঘটাতে জনগণ এখন ঐক্যবদ্ধ বলেও জানান তিনি।

মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) রাতে দলের সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, জাতীয়তাবাদী শক্তিকে নির্মূল করার গভীর চক্রান্তের অংশ হিসেবে বিএনপি নেতাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডে দণ্ডিত করছে আওয়ামী সরকার। আইন-আদালতকে কব্জায় নিয়ে মানুষের বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক অধিকারগুলো হরণ করে বানোয়াট ও কাল্পনিক মামলায় বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের মাধ্যমে সাজা দেওয়া বর্তমান সরকারের ঘৃণ্য অপকর্মগুলোর মধ্যে অন্যতম।

তিনি বলেন, এই অপকর্মের অংশ হিসেবেই মো. শহিদুল হক হায়দারীকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তাকে কারাদণ্ড দেওয়ার ঘটনায় আমি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। অবিলম্বে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তির আহ্বান জানাচ্ছি।

মির্জা ফখরুল বলেন, নির্লজ্জভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী আওয়ামী সরকার এখন ফ্যাসিবাদের চরম মাত্রায় এসে উপনীত হয়েছে। বিএনপিসহ বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের ভীত-সন্ত্রস্ত রাখতেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা মামলা দায়ের এবং আদালত কর্তৃক জামিন নামঞ্জুর বর্তমান আওয়ামী সরকারের প্রাত্যহিক কর্মসূচি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তিনি আরও বলেন, দেশকে বিরোধীদলশূন্য করতে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো কারণ ছাড়াই মিথ্যা মামলা দিয়ে কারান্তরীণ করা হচ্ছে। ভুয়া, বানোয়াট ও সাজানো মামলায় নেতাদের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানো বর্তমান গণধিকৃত সরকারের ধারাবাহিক অপকর্মেরই অংশ।

তিনি বলেন, দেশব্যাপী দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, গ্যাস-বিদ্যুৎতের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধিতে জনগণ দুর্বিষহ অবস্থার মধ্যে নিপতিত। রাষ্ট্র পরিচালনায় সরকারের ব্যর্থতা ঢাকতেই বিএনপি নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটক রাখার হিড়িক শুরু হয়েছে। এটি গণবিরোধী সরকারের চলমান দমন নীতিরই ধারাবাহিকতা।

কেএইচ/এমকেআর/এমএস